দম ফেলার সময় নেই, একটু যে বসে বিশ্রাম নিবো তারো কোন জো নেই। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, কোমরে বেধে রাখা বোতল থেকে পানি খাবো তার কোন উপায় নেই। ছুটে চলছিতো ছুটেই চলছি..............লক্ষ একটাই পাহাড়ের ঐ চুড়াই আমাকে পৌছাতেই হবে, শুধু পৌছালেই চলবে না, আরো অনেকের চেয়ে আগেই যেতে হবে চুড়ায়। পা যুগল ছুটে চলছে পাথরে আবৃত পাহাড়ী পথে, জুতো দুমরে-মুচড়ে গেছে, পা যেন আর চলে না, একটু বসতে পারলে যেন স্বর্গীয় শুখ পেতাম। কিন্তু না বসা যাবে না, শরীরি সুখের কথা ভাবলে চলবে না। নিচে সবাই চেয়ে আছে আমার মুখ পানে, অপেক্ষা করছে কখন চুড়ায় উঠবো, কেউ কেউ অনবরত করতালি দিচ্ছে উৎসাহ্ দিতে আবার কেউ কেউ পার্থনা করছে। সবাই চেয়ে আছে বিজয়ের আশায়। এখন কি থেমে গেলে চলবে? আবারো দৌড়...............
পাহাড়ী পথ ঢেকে গেছে বন-জঙ্গলে, লুকিয়ে আছে নাম না জানা কত বিষাক্ত জন্তু জানোয়ার। আছে বাঘের ভয়, আছে সাপের ভয়। আছে পা পিছলে প্রান হারানোর ভয়। বুকটা দুরু দুরু কাপছে........... প্রান হারানোর ভয়ে বুকের কম্পন বেড়ে গেছে বহুগুনে, গা-মাথা ঘেমে লোনা জল টপ টপ করে পড়ছে পাহাড়ী পথে। কখনো মাথার ঘাম চোখে ঢুকে পড়ছে, সে কি জ্বালা............... চোখটা মুছে নিবো? না তা করা যাবে না উপরে উঠতে হবে, ছিনিয়ে আনতে হবে বিজয়। হাসি ফুটাতে হবে মুখ পানে চেয়ে থাকা ভালোবাসার মানুষদের। আবারো দৌড়.............
না আর পানি না। পাথরের ঘসায় ঘসায় পা ফেটে রক্ত ঝড়ে যাচ্ছে। ঝড়া রক্তে রন্জিত হচ্ছে পাহাড়ী পথ। যেন কালের সাক্ষী হয়ে রবে ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য। দুর্বিসহ কষ্টের চিহ্ন বয়ে বেড়াবে যুগ থেকে যুগান্তরে। কেউ বা গর্ববোধে বুক ফুলাবে কেউ বা স্মৃতি চারন কারবে। নয়তো বা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাবে এই রক্ত ঝড়া যাত্রা। না এতো কিছু ভাবলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে, ছিনিয়ে আনতে হবে জয়। আবারো দৌড়...............
ওহ্ বড্ড পিপাসা, পিপাসায় বুকটা ফেটে যাচ্ছে। প্রান পন চেষ্টা করেও কথা বলতে পারছি না। গলা শুকিয়ে কাঠ। একটু পানি হবে............।
এই শীতেও গা থেকে ঝড়া ঘামে বিছানার চাদর ভিজে গেছে.................. তাইতো আমাকে দৌড়াতে হবে। যত কষ্ঠই হোক না কেনো, ভালোবাসার মানুষগুলোর জন্য। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই দৌড়......................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



