আগের পর্ব পাবেন এখানে
ভারতে প্রথম দিন
ভিসা পাবার পর দুদিন খুব ব্যস্ত সময় কাটলো। চূড়ান্ত হলো ৩০শে জানুয়ারী আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করবো। বিআরটিসি’র সরাসরি বাসের টিকিট (ফিরতি টিকিট সহ) কনফার্ম করা হলো। অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল শ্যামলী পরিবহনে যাবার জন্য, কিন্তু বর্ডার এ গিয়ে বাস পরিবর্তন, লাগেজ নিয়ে টানাটানি এসব দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পিছপা হলাম। যেহেতু দার্জিলিং এ প্রচুর শীত তাই যাত্রার আগের দুদিন কিছু শীতের পোষাক কিনলাম। বর্ডার এর ওপারে ঝামেলা এড়ানোর জন্য কিছু রুপী ও কিনলাম। ২৯ তারিখ সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ভ্রমন কর পরিশোধ করলাম। আপনি ইচ্ছা করলে বর্ডার এ গিয়েও এ কর পরিশোধ করতে পারেন।
অবশেষে হাজির হলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৩০শে জানুয়ারী, আমরা যাত্রা শুরু করবো ভারতের উদ্দেশ্যে। আমাদের প্রথম বিদেশ ভ্রমন, পাড়ি দিব দেশের সীমানা, হোক না সে বাস এ করে। আমার ১০ বছরের ছোট বোন তো খুবই উত্তেজিত ছিল যে তার বড় ভাই বিদেশ যাচ্ছে, কিন্তু তার উৎসাহে ভাটা পড়লো যখন শুনলো আমি বাসে যাচ্ছি। তার ধারণা ছিল বিমানে করে বিদেশে যেতে হয় বাসে করে বিদেশ যাওয়া যায় না। যাই হোক তারিখ ভোর ৬.৪৫ এর মধ্যে পৌছে গেলাম কমলাপুরের বিআরটিসি’র আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল। ৭.৩০ এ ছাড়বে আমাদের গাড়ি। সপ্তাহের তিন দিন একদিন পর পর বিআরটিসি’র দুটি বাস সরাসরি কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, বাকী তিন দিন কলকাতার ভূতল নিগম পরিবহনের দুটি গাড়ি ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। রবিবার দিন উভয় দেশের মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ থাকে। আমরা আমাদের মালামাল চেক করিয়ে ওয়েটিং রুম এ অপেক্ষা করতে থাকলাম। ৭.২৫ এ আমরা বাসে উঠলাম। ৭.৩০ এ দুটি বাস ই একসাথে চলতে শুরু করলো। গন্তব্য ভারতের পশ্চিমবংগের রাজধানী কলকাতার লবণহ্রদে বা সল্টলেকে অবস্থিত করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল। কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা রাজধানী ঢাকা পেরিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উঠলাম। এর মধ্যে বাসেই আমাদের সকালের নাস্তা সরবরাহ করা হল। ১০টার মধ্যে পৌছে গেলাম পাটুরিয়া ফেরি ঘাট। ফেরিতে উঠেই কিছু ফটোসেশন করলাম।
প্রমত্তা পদ্মা নদীঃ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া যাবার পথে ফেরিতে
১.
২.
৩.
৪.
ফেরি পার হয়ে বাস আবার চলা শুরু করলো তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ১২টার দিকে বাস থামলো মাগুরার এক হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে। এখানে ২০ মিনিটের বিরতি। বিরতিতে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। বিরতির পর বাস আবার চলতে শুরু করলো। দুপুর ২টার দিকে পৌছে গেলাম বাংলাদেশের বেনাপোল বর্ডার। ২ জন কাষ্টমস অফিসার বাসে উঠেই আমাদের মালামাল চেক করলেন, বাঙ্কারে রাখা লাগেজ আর চেক করা হল না। বুঝলাম এই সুবিধা শুধুমাত্র বিআরটিসি’র যাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য। বাস থেকে নামতেই দেখতে পেলাম স্বল্প দূরত্বেই অবস্থিত ভারত। একটিই রাস্তা মাঝখানে সীমানা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে দুটি দেশ। দুটি লোহার গেট, মাঝখানে কিছু জায়গা নো ম্যানস ল্যান্ড, এপাশে বাংলাদেশ ওপাশে ভারত। বাস থেকে নেমে ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে নিলাম। কিছুক্ষন পর লোহার গেট অতিক্রম করে বাস বাংলাদেশের বর্ডার পার হল, পিছনে রেখে গেলাম প্রিয় বাংলাদেশ।
বেনাপোল বন্দর(বাংলাদেশ), অদূরেই দেখা যাচ্ছে ভারত
নো ম্যানস ল্যান্ড পার হয়ে আরেকটি লোহার গেট অতিক্রম করতেই আমরা ভারতে প্রবেশ করলাম। ভারতে প্রবেশ করা মাত্রই বিএসএফের দুজন সদস্য আমাদের গাড়িতে উঠে চেক করে নিলেন। বাস থেকে নামতেই সবাই যার যার লাগেজ নিয়ে চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। আমাদের বাসের সুপারভাইজার আমাদের আগেই বলে দিয়েছিল যে ভারতীয় দালালদের হাতে যাতে পাসপোর্ট না দেই। আমি মনে মনে বললাম দালাল ছাড়া যখন ভিসা নিতে পেরেছি তখন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে আবার দালালের সহায়তা নিতে যাব কেন। তাছাড়া লাগেজে ও অবৈধ কিছু নেই যে দালালের সাহায্য নিতে হবে। কিছুক্ষন পরেই বুঝলাম যে জীবনের মস্ত বড় এক ভুল সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আমার বাকী তিন বন্ধু নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। লাইনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষনের মধ্যে এক দালাল এসে আমাদের নানা রকম পরামর্শ দিতে লাগলো। বলতে লাগলো “অফিসার যখন জানতে চাইবে কার কাছে কত টাকা পয়সা আছে অফিসারের কাছে সব সত্যি বলে দেবে, কোন কিছু লুকোছাপা করবেনা। তোমরা তিনজনই কি একসাথে?” আমি হ্যাঁ বলতেই আমাকে বললো “তুমি তিনটি পাসপোর্টই একসাথে নাও আর বলবে তোমরা তিনজনই একসাথে। এক কাজ করো তিনজন মিলে বাংলা ৩০০ টাকা দাও ইমিগ্রেশন পার করে দিই। কি দেবে?” আমি না বললাম, দেখি তাও পিছন ছাড়ছেনা। তিনটি পাসপোর্ট ই আমার সাথে তাই তিনজনকেই একসাথে চেকিংয়ের জন্য ঢুকানো হলো। দেখি আমাদের সাথে সাথে ঐ দালাল ও ঢুকলো। আমি তো আমার সিদ্ধান্তে অনড়। আমাদের তিনজনের চেকিং হচ্ছে আর ৫ হাত দূরে দাঁড়িয়েই ঐ বেটা সব কিছু প্রত্যক্ষ করছে। কাষ্টমস অফিসারের সাথে আরো একজন ছিল যে কাষ্টমসের কোন কর্মকর্তা ছিল কিনা আমি সে ব্যপারে আমি সন্দিহান। অফিসার আমাদের তিনজনেরই পাসপোর্ট দেখলো এবং ইস্যু করা তারিখ দেখেই বুঝে গেল তিনটি নতুন মুরগী পাওয়া গেছে। এদের রোষ্ট করতে হবে। সবার ডলার দেখতে চাইলো এবং জানতে চাইলো কার কাছে কতো টাকা আছে। আমাদের তিনজনের কাছেই ১০০০ করে ৩০০০ রুপী ছিল। আমি ৫০০ রুপী দেখালাম, বাকি দুজনই ২০০০ রুপি দেখালো। অফিসার বলল যে রুপি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করা যায় না। আমাদের তো মাথায় বাঁশ। অফিসার তার সাথের লোকটিকে বললো যে আমাদের কাছে ২৫০০ রুপি পাওয়া গেছে এখন কি করা যায়। ঐ লোকটি জিজ্ঞাসা করলো “তোমাদের তিনজনের মধ্যে কার সাথে কথা বলবো?’’ আমি এগিয়ে গেলাম। আমাকে বললো “তোমরা তো এই রুপি নিয়ে যেতে পারবে না”। আমি বললাম যে আমি যতদুর জানি রুপি নিয়ে যাওয়া যায়। সে আমাকে না করে দিল এবং বললো “এক কাজ করো তোমরা তিনজন মিলে ৫০০ রুপি দিয়ে বাকি রুপি নিয়ে যাও”। আমি বললাম “ কিছু কি কম নেয়া যায় না”। উত্তরে বললো “ আমি তো ইচ্ছা করলে সব রুপিই রেখে দিতে পারি, তোমাদের ভালোর জন্যই তো ৫০০ রুপি চাইলাম”। অগত্যা ৫০০ রুপি দিয়ে ছাড়া পেলাম লাগেজ চেকিং ছাড়াই। পিছন থেকে তো ঐ দালাল সাহেব সব কিছুই প্রত্যক্ষ করছিলেন। আমাদের ছাড়ার সাথে সাথেই বলতে লাগলো “ কি বলেছিলাম না? শুনলে না তো আমার কথা। এখন বোঝ। বেরিয়ে গেল তো ৫০০ টাকা (ওপারের ওরা ও রুপিকে টাকা বলে)। আমি তো বাংলা ৩০০ টাকা চেয়েছিলাম। আরে আমরা তো তোমাদের বন্ধু। দাও এখন পাসপোর্ট তিনটে দাও আর ১০০ করে বাংলা টাকা দাও ইমিগ্রেশনের সিল মারিয়ে আনি”। দিয়ে দিলাম ওদের হাতে টাকা আর পাসপোর্ট। আমরা তিনজনই তখন এরকম মুলি বাঁশ খাওয়ার যন্ত্রণায় কাতর। মনে মনে গালি দিলাম সুপারভাইজারকে, “শালা হারামি তোর কথা না শুনে পাসপোর্ট টা এদের হাতে দিলে বাঁশ কিছুটা কম খাওয়া লাগতো”। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের পাসপোর্ট আমাদের হাতে পৌছে দিল আর বললো “দাও ডলারগুলো ভাংগিয়ে দিই”। ওদের হাতে আর ডলার ভাংগালাম না। নিজেকেই মনে মনে বললাম “ দাদা এটা তোমার বাংলাদেশ না এটা ইন্ডিয়া”। কিছুক্ষনের মধ্যেই ঐ দালালের সাথে একটা ভাব হয়ে গেল। আমাদের নানা উপদেশ দিতে লাগলো। পাবলিক প্লেসে ধুমপান না করার পরামর্শ দিল। আমাদের জিজ্ঞাসা করলো “তেল খাও তো?” আমরা তো তিনজন একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলাম এ কোন তেলের কথা বলে। সে ই একটু পরে খোলাসা করে দিল “আরে দারু দারু। খেলে নিয়ে আসবে পার করে দোব”। যাক মদের নতুন একটা নাম শেখা হলঃ তেল। একটু পর দেখলাম আমাদের গাড়ির আরেক সহযাত্রীকে মন খারাপ করে কাষ্টমসের চেকিং শেষে বেরিয়ে আসতে। জানতে পারলাম তার মন খারাপের রহস্য। ঐ ভদ্রলোকের কাছে বাংলাদেশি ১০০০০ টাকা ছিল যা দেখে কাষ্টমসের মাথা খারাপ হয়ে যায় ঐ ভদ্রলোক ১০০০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান। বেচারা ও আমাদের মত সুপারভাইজারের কথা শুনতে গিয়ে বাঁশ খেয়েছেন। আমাদের সামনে এসেই উনি সুপারভাইজারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেন। বেচারা তার ব্যাথা কমানোর জন্য আমাদের সাথে থাকা দালাল সাহেবের কাছ থেকে একটি পাতার বিড়ি নিয়ে টানতে লাগলেন এবং উনি ঐ দালালকে বেনসন অফার করলেন। জানতে পারলাম ঐ দালালের নাম রানা, বাড়ি বর্ডারের কাছেই। তার একটা কার্ড ও আমাদের দিল। অবশেষে কাষ্টমসের চড়াই উতরাই পেরিয়ে দুই ঘন্টা পর বাস আবার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করলো। বাস যশোর রোড ধরে এগিয়ে চললো কলকাতার দিকে। পথিমধ্যে হাবরা নামক একটি স্থানে ১০ মিনিটের জন্য যাত্রা বিরতি করেছিল। সেখানে নেমে আমরা চা আর সিংগারা নিলাম এবং দুটোর পয়সাই জলে গেল। ওয়াক! থু! এমন অসাধারন(!!!) চা আর সিংগারা জীবনেও খাইনি। বিরতির পর বাস আবার চলতে শুরু করলো। পরদিনই ছিল স্বরস্বতী পুজা এবং এ উপলক্ষ্যে স্কুল, কলেজগুলো বর্নিল আলোকসজ্জা দ্বারা বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল, জোরে বাজছিলো হিন্দি গান। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেল। একসময় প্রবেশ করলাম কলকাতা শহরে। দমদম বিমানবন্দর পেরিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছিলাম আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ভারতীয় সময় ৭.৩০ এ আমরা করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে নামলাম। এখান থেকেই ডলার ভাংগালাম। লাগেজ বুঝে নিয়ে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে আসলাম। আমাদের এখনকার গন্তব্য নিউমার্কেটের কাছাকাছি মির্জা গালিব স্ট্রিট। প্রিপেইড ট্যাক্সি কাউন্টার থেকে একটি ট্যাক্সি নিলাম। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়ই এই প্রিপেইড ট্যাক্সি সিস্টেম চালু আছে। এর ফলে ট্যাক্সিওয়ালাদের নানা অলি গলি ঘুরিয়ে মিটারের রিডিং বাড়ানোর যে প্রবণতা তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কাউন্টারে ১০ টাকা (আমরা ও রুপীকে টাকা বলব) দিয়ে টিকিট কাটতে হলো এবং কাউন্টার থেকে বলে দেয়া হল ভাড়া হিসাবে ১৫০ টাকা দিয়ে দেবার জন্য। মাঝপথে এক জায়গায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে ছিলাম। তখন দেখলাম সবাই স্বরস্বতীর মুর্তি এবং ফুল কিনছে। ড্রাইভারের মাধ্যমে জানলাম এই জায়গার নাম বেলেঘাটা। জায়গাটা দেখতে আমার কাছে আমাদের শাঁখারীবাজারের মত মনে হল। একসময় ড্রাইভার আমাদের আমাদের গন্তব্যে নামিয়ে দিল। আমরা যখন ট্যাক্সি থেকে নামি তখন রাত প্রায় ৯.৩০। এবার শুরু হল আমাদের হোটেল খোঁজার পালা। হোটেলের রুম পছন্দ হয় তো দামে মিলে না। আমাদের ধান্দা হচ্ছে যত কমদামি হোটেলে থাকা যায়। কারণ টাকা বাঁচলে সেই টাকা দিয়ে শপিং করা হবে। আমরা যে জায়গায় ছিলাম সে জায়গাটা আমার কাছে মনে হল মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা। বেশিরভাগ হোটেলই মুসলমান মালিকানাধীন। বাংলাদেশি যারাই কলকাতায় আসে তারা বেশিরভাগ এই এলাকাতেই থাকে। অবশেষে রাহবার গেষ্ট হাউস নামে একটি হোটেলে ৩৫০ টাকা দিয়ে ৩ জ়নের জন্য একটি রুম নিলাম। এখানকার হোটেলগূলোতে ছয় থেকে আটজন থাকার মত রুম ও পাওয়া যাবে তুলনামুলক অনেক কমে ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে। রিসিপশনে আমাদের পাসপোর্ট জমা রাখা হল। কারণটা আর কিছুই না, কয়েক মাস আগে ঘটে যাওয়া মুম্বাইয়ে জংগি হামলার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়েই বেরিয়ে পড়লাম রাতের খাবারের উদ্দেশ্যে। প্রথমেই সায়েম আর প্রবাল ফোনের দোকানে ঢুকে দেশে কথা বলে নিল। আমি আজ আর দেশে ফোন করবো না, একবারে আগামীকাল সকালেই ফোন করব। কথা বলা শেষ করেই আমরা একটি খাবার হোটেলে ঢুকে রাতের খাবার সেরে নিলাম। কলকাতার এরা সব খাবারেই দেখলাম পাঁচ ফোঁড়ন ব্যবহার করে থাকে। খাবার ও অতটা মানসম্পন্ন ছিলনা। যাই হোক খাবার খেয়ে হোটেলে ফেরার পথেই চোখে পড়লো ডিস্কো ক্লাব যেখানে ডিজে পার্টি চলছিল। আমরা হোটেলে এসেই হিসাব নিয়ে বসে পড়লাম কার কত খরচ। আমাদের মধ্যে ঠিক করা ছিল যে কোন একজন একদিনের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে এবং রাতের বেলা তা তিন ভাগে ভাগ করা হবে। আমার মনে হয় আমাদের মত ছাত্ররা যারা বন্ধুদের সাথে ভ্রমনে বের হই তাদের জন্য এই পদ্ধতিটি বেশ কাজের।
সারাদিনের ভ্রমন ক্লান্তি শেষে প্রস্তুতি নিলাম ঘুমানোর। সবাই খুবই ক্লান্ত। কাষ্টমসের ঘটনাটুকু বাদ দিলে প্রথম দিন ভালোভাবেই কাটলো। বিছানায় শুয়ে টিভি দেখতে দেখতে কোন এক ফাঁকে চলে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।
(চলবে...............)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



