আমি নিরক্ষরতা বিষয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার পর থেকে এ এ নিয়ে আমার কৌতুহল আরো বেড়েছে। আপনারা মতামত দিয়ে আমার চিন্তা মাত করুন।
দেখুন পৃথিবীতে সাক্ষরতার হার এখনও অনেক কম, (সব মিলিয়ে) আর সাক্ষরতার ইতিহাসও অনেক নতুন। ১৬০০ সালে গুন্টারবাগের ছাপাখানা আবিষ্কারের পরই বই লেখা ও বই পড়ার ধুম পড়ে যায়। এর আগে পৃথিবীতে বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল সভ্যতায় (যেমন গ্রীসে, রোমান, ইসলামি, ভারতীয়, অটোমান) পড়া-লেখার কোন চল ছিল না।
ততকালে জ্ঞানার্জন ছিল ব্যাবহারিক ভিত্তিক। ছাত্ররা শিক্ষকের সাথে থেকে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করতো। শিখতো পরিবেশ, মানুষ, ঐতিহ্য থেকে।
খুবই সাম্প্রতিক সময়ে বই পড়া ও লেখা চালু হয় (১৭০০ সাল থেকে)। তাও গনসাক্ষরতার যুগ আসে ১৯৫০ সালের পর থেকে। তাই সাক্ষরতা একটি পাশ্চাত্য-উদ্ভাবিত, হাল নাগাদ, বৈষম্যমূলক, দুর্বল সিষ্টেম। নিরক্ষর হয়েও জ্ঞানার্জন করা যায়।
সাক্ষর হতেই হবে এই ধারনা বা নোশন সাম্রাজ্যবাদীদের অরোপিত, পুজিবাদিদের ফানুস।
লক্ষ্যনীয় যে কুরআন কিন্তু কোন লিখিত বই নয়। এটা মৌখিক ভাবে নাজিল হয়েছিল। বর্তমানে আমরা যে লিখিত কুরআন দেখি তা কুরআনের সামগ্রিকতার একটা অংশমাত্র।
তাই আসুন আমরা নিরক্ষরদের মূল্যায়ন করি। নিরক্ষরতা যুগ যুগ ধরে চলা আসা ইতিহাস, কোন পিছিয়ে-পড়া বিষয় নয়। নিরক্ষরতার অব্যক্ততার মধ্যেও থাকে অজস্র অস্পৃশ্য রত্ন, অপরদিকে সাক্ষরতার স্পষ্ট ব্যাখ্যার মধ্যে রয়েছে সমাধানহীনতার প্রবল সম্ভাবনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


