
ব্লগ: পঞ্চম শ্রেণির বিপ্লবী আর বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজি
বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে নতুন সংযোজন—
“পঞ্চম শ্রেণি পাস বৈষম্যবিরোধী নেতা সাইফুল ওরফে রাব্বি”।
হ্যাঁ, ভুল পড়েননি। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেই তিনি ঢাকায় চলে আসেন, আর সেখানেই তৈরি হয় এক মহান আন্দোলনসেনা। কিন্তু এই সেনার যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না অন্যায়-বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বরং হাসপাতালের ক্যাশবাক্সের সামনে।
পঞ্চম শ্রেণি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি
গ্রামের মানুষ অবাক হয়ে বলছে, “এই ছেলে তো সহজ-সরল ছিল, গরুর দেখাশোনা করত, গার্মেন্টসে কাজ করত। কবে যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হলো!”
বস, এটাই হলো ঢাকার জাদু!
যেখানে পঞ্চম শ্রেণির সার্টিফিকেটই যথেষ্ট, যদি সঠিক স্লোগান দিতে পারেন আর ‘সঠিক চামড়া’ পরতে জানেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নতুন সংজ্ঞা
একজন মৃত শিশু জন্ম নিল, সেটাকে কেন্দ্র করেই নাকি তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি।
তাহলে বুঝলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো.।
.... জীবিতরা নয়, মৃতরাও সমানভাবে বৈষম্যমুক্তভাবে লুটপাটের শিকার হোক।
নেতা বানানোর কারখানা/sb]
গ্রামে সবাই প্রশ্ন করছে: “পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েই কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হয়?”
উত্তরটা সহজ:
এখানে পড়াশোনা লাগে না, লাগে ‘স্পন্সর’।
কারা এসব ‘স্পন্সর’?
যাঁরা আন্দোলনকে ব্যবহার করেন নিজেদের দলীয় চাঁদাবাজি, হুমকি আর প্রেস কনফারেন্সের পেছনে।
নেতা বানানোর এই কারখানা এখন দেশব্যাপী।
এক বিপ্লবীর ট্র্যাজেডি/sb]
গার্মেন্টসে দুই হাজার টাকা আয় করে বাবা-মাকে পাঠাতো, আজ সেই ছেলে তিন লাখ টাকা দাবির আসামী।
বাবা এখনও ছাগল চরান, ছেলে এখন হাসপাতালের মালিক চরায়।
কোটা আন্দোলনের “বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক” থেকে এক লাফে হাসপাতাল-মহল ‘চাঁদাবাজি সমন্বয়ক’।
শেষ কথা/sb]
সাইফুল শুধু গ্রেপ্তার হয়নি, সে আসলে আমাদের সময়ের আয়না।
যেখানে শিক্ষার যোগ্যতা নয়, বরং স্লোগান আর সিন্ডিকেটের দয়া কাউকে নেতা বানিয়ে দেয়।
তাহলে প্রশ্নটা আবারই ফিরে আসে:
>>>প্রশ্ন: ঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে কেউ কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হয়?
>>>উত্তর: কারণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আজ আসলে বৈষম্যমূলক চাঁদাবাজির বৃত্তান্ত ছাড়া কিছুই নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


