তোফায়েল আহমেদের মরদেহ দাফন নিয়ে অচলাবস্থা
(আজকের কণ্ঠের প্রতিবেদন অবলম্বনে)
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জনাব তোফায়েল আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন দুই দিন আগে। অথচ এখনো পর্যন্ত তার মরদেহ হাসপাতালেই পড়ে রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরিবারের মধ্যে তৈরি হওয়া জটিল দ্বন্দ্ব।
সরকারের আশঙ্কা ও ভোলায় জানাজার বিতর্ক
একটি নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সরকার শঙ্কিত যে ভোলায় জানাজা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে লাখো মানুষের ঢল নামতে পারে। এটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রতি বিশাল জনসমর্থনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, যা সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
তাই সরকার চাইছে, ঢাকায় গোপনীয়তার সঙ্গে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করা হোক। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—তোফায়েল আহমেদকে তার জন্মভূমি ভোলায়, তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করার ব্যাপারে তারা অনড়।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও অচলাবস্থা
সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে পরিবারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি। তার ভাতিজা ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল কারাগারে, অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সদস্যরা আত্মগোপনে। ফলে দাফনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিবারের মধ্যে একক সিদ্ধান্ত আসছে না।
পরিবারের অভিযোগ—যারা বর্তমানে মরদেহ তদারকি করছেন, তারা অন্য সদস্যদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন, যা অচলাবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
শোক, বিস্ময় ও নীরবতা
এই কিংবদন্তি নেতার মৃত্যুতে ভোলাসহ সারা দেশে গভীর শোক নেমে এসেছে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কারণে তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। কিন্তু বিস্ময়করভাবে—যেসব সুবিধাবাদী নেতা তোফায়েল আহমেদের ছত্রছায়ায় থেকে বছর বছর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে তাদের কাউকেই আর দেখা যাচ্ছে না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও প্রশ্ন
তার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য। জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন—কবে এই অচলাবস্থার অবসান হবে এবং কবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবে দেশের মানুষ?
বিঃদ্রঃ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা হয়নি। আজকের কণ্ঠের প্রতিবেদন দেখেই এই পোস্টটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


