
সেন্টমার্টিনে সাবমেরিন রিসোর্ট: সরকারের কূটনৈতিক "উদ্ভাবন"
বাংলাদেশের কূটনীতির ইতিহাসে আজ হয়তো সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে — "দেশ বিক্রি করা যায়, তবে এক ধাপে নয়, ধাপে ধাপে!"
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব দিয়েছে: সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক-তৃতীয়াংশে প্রথমে প্রমোদ কেন্দ্র, পরে ধীরে ধীরে সাবমেরিন ঘাঁটি।
মানে, আজ ককটেল, কাল কামান।
সরকারি সূত্র বলছে, "আমরা সরাসরি বিরোধিতা করছি না, চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া দেখে সিদ্ধান্ত নেব।"
অর্থাৎ, দেশটা এখন আত্মীয়পক্ষের বিরিয়ানির দাওয়াতের মতো—কে আগে আসবে, কে পরে আসবে, সেটাই নির্ধারণ করবে ভাগ্য।
এখানে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, প্রথম ধাপে দ্বীপে বিদেশিদের জন্য "প্রমোদ কেন্দ্র" হবে। সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারবে না।
অর্থাৎ, দেশের মানুষ নিজের দেশের সমুদ্রদ্বীপে যাবে ভিসা নিয়ে!
তারপর আসবে মূল পরিকল্পনা—সাবমেরিন ঘাঁটি।
প্রথমে স্নানঘর, পরে সাবমেরিন।
কে জানে, শেষ ধাপে হয়তো পাসপোর্টে "সেন্টমার্টিন ইমিগ্রেশন" খুলেই দেবে।
সরকারের কূটনীতি?
দেখতে অনেকটা সেই ছাত্রের মতো, যে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—নকল করবে পাশের থেকে, নাকি খাতাই জমা দেবে খালি।
কূটনৈতিক মহল বলছে, "এটা যেমন সুযোগ, তেমনি ঝুঁকি।"
কথাটা শোনালেও অনেকটা এরকম—বাড়ির একতলায় ওয়েস্টার্ন রেস্টুরেন্ট, ছাদে মিসাইল ডিপো, মাঝের ফ্লোরে কূটনৈতিক অফিস।
সত্যি বলতে কী, সেন্টমার্টিনের নীল জলে এখন শুধু পর্যটকের নৌকা ভাসবে না, ভাসবে সুপারপাওয়ারদের ভেসে থাকা যুদ্ধজাহাজ। আর সরকার বসে থাকবে চায়ের কাপে ঝড় তুলে—“চলুক, সুযোগও থাকুক, ঝুঁকিও থাকুক!”
শেষ পর্যন্ত হয়তো ভবিষ্যতের পর্যটক গাইডবুক লিখবে:
"Welcome to St. Martin — The only island where you can enjoy both scuba diving and submarine parking!"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


