somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসিনাই যে যোগ্য—জনগণ আবার বুঝতে শুরু করেছে

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হাসিনাই যে যোগ্য—জনগণ আবার বুঝতে শুরু করেছে

‘কামডা শেখ হাসিনা ঠিক করেননি’—এই বাক্যটা আজকাল অদ্ভুতভাবে জনপ্রিয় হয়েছে।
কারণটা সহজ: যতই দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হোক, যতই কৃত্রিম নাটক বানানো হোক, জনগণের অভিজ্ঞতা বলে দেয়—দেশ চালানোর যোগ্যতা কার আছে আর কার নেই।

কয়েকদিন আগে একটি নাটক দেখানো হলো—নাম দেওয়া যায় “বোগাস-বু” নাটক। সেখানে শেখ হাসিনার বিচার করা হলো, নাটকীয়ভাবে মৃত্যুদণ্ডও শুনানো হলো।
লক্ষ্য ছিল মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়া, মানসিকভাবে দূরে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু ফল হলো উল্টো।
মানুষ হো হো করে হেসে উঠলো—
“রাজাকার করে শেখ হাসিনার বিচার! এইডা কোনো কতা!”

এটাই সেই জায়গা যেখানে গল্পটা ভিন্ন দিকে ঘুরে গেল।
যারা ভাবছিলো, শেখ হাসিনাকে ‘দুষ্ট চরিত্র’ বানিয়ে দেখালে জনগণ তার প্রতি বিরূপ হবে—তারা বুঝতে পারলো, বছর বছরের অভিজ্ঞতা মানুষকে বোকা হতে দেয় না।
মানুষ ঠিকই বলে উঠলো—
“দেশ যেভাবে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, শেখ হাসিনাকেই লাগবে আবার। অন্তত তিনি জানতেন কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়।”

লকারের গল্প—কী চমৎকার বেইজ্জতি!
কয়েক মাস আগে দুদকের এক দল “গোপন অভিযান” চালিয়ে শেখ হাসিনার দুইটি লকার খুঁজে পেলো।
মিডিয়া ডেকে বড়সড় আয়োজন—ওদের আশা ছিল, কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
ছবি তোলা হবে, ভিডিও বানানো হবে, প্রচারণা চালানো হবে—যেন শেখ হাসিনাই দেশের সব দুর্নীতির জননী!

কিন্তু লকার খুলতেই ঘটলো মহা কাণ্ড।
সেখানে পাওয়া গেলো সামান্য কিছু টাকা—যা আজকাল মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষও জমায়।

দ্বিতীয় লকার খুলতে আর নাটক দেখানো হয়নি।
চুপিচুপি খুলে, চুপিচুপি চলে গেল।
কোনো খবর নেই, কোনো ক্যামেরা নেই—কারণ দেখানোর মতো কিছুই ছিল না।

যে নারী দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও নিজের বাসায় ৬০০ টাকার কাপ,
সাধারণ ওয়ালটন ফ্রিজ,
সাধারণ এসি,
সাধারণ আসবাব ব্যবহার করতেন—
তার ‘সোনার খনি’ আবিষ্কার করার প্রত্যাশা করাটাই ছিল হাস্যকর।

আজকালকার ইনফ্লুয়েন্সার আসিফ ভূঁইয়া কিংবা রিজওয়ানার জীবনযাপন শেখ হাসিনার তুলনায় বহুগুণ বিলাসী।
কিন্তু প্রচারণা এমনভাবে সাজানো হয় যেন তিনি বিলাসিতার প্রতীক।

৮৩২ ভরির মিথ—আরেকটি স্ক্রিপ্ট
লকার কাণ্ডে পর্যাপ্ত নাটক জমলো না দেখে নতুন স্ক্রিপ্ট তৈরি হলো।
হঠাৎ বলা হলো—
“শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়া গেছে।”

কোন লকারে?
কোথায় প্রমাণ?
মিডিয়া ছিল?
ফিঙ্গারপ্রিন্ট?
ইনভেন্টরি?
কিছুই নেই।

কিন্তু স্ক্রিপ্ট তো স্ক্রিপ্ট—প্রচারণা চালানোই লক্ষ।

এইখানেই হাসিনার ‘অপরাধ’।
তিনি ঘোষণা দিলেন—
“যদি সত্যিই ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়া যায়, তা হলে কড়াইল বস্তির মানুষের মধ্যে দিয়ে দিন।”

এখন বড় বিপদ।
কারণ সেই সোনা তো বাস্তবে নেই।
অর্থাৎ নেই জিনিস বস্তিতে দিয়ে আসার নির্দেশ—এ যেন বেহুদা রকমের বড় চ্যালেঞ্জ!

কেন জনগণ আবার বুঝতে পারছে—হাসিনাই ছিলেন যোগ্য
রাজনীতির বিশ্লেষণ জনগণ করে অভিজ্ঞতা দিয়ে, প্রচারণা দিয়ে নয়।
আজ দেশ সংকটে—অর্থনীতি টলমল, কর্মসংস্থান কমছে, বাজারে আগুন, বিদেশি বিনিয়োগ কমছে, প্রশাসনে অস্থিরতা।

মানুষ এখন তুলনা করে—
শেখ হাসিনার সময়ে কী ছিল, আর এখন কী হচ্ছে।

তার সময়ে—
** জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম স্থিতিশীল
** পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ, যা জাতীয় আত্মবিশ্বাসের প্রতীক
** মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প—একটির পর এক মেগা-প্রকল্প
** গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাওয়া
** নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
** সর্বোপরি প্রশাসনের মধ্যে একটি ধারাবাহিকতা ও স্থিতি

আজকের দিনে এসে এই ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দেশ এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে শক্ত, স্থির, দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রয়োজন—এবং জনগণ জানে কার সেই যোগ্যতা আছে।

জনগণের চাওয়া—শেখ হাসিনা ফিরে আসুন
রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল হলে জনগণ ক্ষমা করে, কিন্তু অযোগ্যতা হলে জনগণ কঠিন বিচার দেয়।
এখন মানুষ বলছে—
“দেশটাকে বাঁচাতে আবার শেখ হাসিনাকেই লাগবে।”

নাটক, মিথ্যা কাহিনি, অদ্ভুত প্রচারণায় মানুষ বিভ্রান্ত হয় না।
তারা চোখে দেখে, জীবনে অনুভব করে।

আজ মানুষ তাই আবার বলছে—
শেখ হাসিনা শুধু একজন নেতা নন, কঠিন সময়ে দেশের জন্য দৃঢ় আশ্বাস ছিলেন।
তিনি ফিরে আসলে অন্তত দিকনির্দেশনা ফিরে আসবে, স্থিরতা ফিরবে, অর্থনীতি আবার দাঁড়িয়ে যাবে।

এই কারণেই যতই প্রচারণা চালানো হোক, যতই মঞ্চ বানানো হোক—
জনগণের মন থেকে শেখ হাসিনাকে চোখরাঙানি দিয়ে সরানো যাবে না।

কারণ অভিজ্ঞতা বলে দিয়েছে—
হাসিনাই ছিলেন যোগ্য, আর সেই যোগ্যতার বিকল্প আজও দেখা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
১৩টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×