
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন। ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি হিসাব ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩টি। তিন মাস আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে কোটিপতির হিসাব ছিল ৭৯ হাজার ৮৭৭টি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে। সূত্র এখানে অথবা এখানে। যাহা গাণিতিকভাবে বেড়েই চলছে। যখন ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুই স্থবির তখন কোটিপতির এতো উলম্ফন দেখে প্রশ্ন থেকেই যায় তাদের এই অর্থের উৎস কি?
কোন কাগজে যেন পড়েছিলাম কোটিপতি হওয়ার শীর্ষে নাকি আমরাই। আহা বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়া কত সহজ!
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমানো অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালে ছিল ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ। ২০১৯ সালে ছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ। ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ২৯ লাখ ফ্রাঁ। ২০২১ সালে ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ ফ্রাঁ। (প্রতি সুইস ফ্রাঁ ৯৫.৬৫ টাকা হিসাবে)। যদিও তথ্য পাওয়ার উৎস নিয়ে সন্দিহান কারন সুইস কতৃপক্ষের অর্থে উৎস্ ও তথ্য প্রদানে অনীহা আছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ সরকার বারবার বলে আসছে সুইস কতৃপক্ষ কোন তথ্য দেয়না। অতিসম্প্রতি এক প্রশ্নের উত্তরে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যাণ্ডে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়। তাহলে অর্থ কি দাড়ালো? আমরা ইচ্ছা করেই কোন তথ্য নেই না কারণ তাহলে যে থলের বিড়ার বেড়িয়ে পরবে!
সুই্স রাষ্ট্রদূতের ভাষ্যমতে ইহা দিনের আলোর মতোই পরিস্কার যারা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে নিয়োজিত তাদেরও কেউ কেউ এই পাচারে সক্রিয়ভাবে জড়িত তা নাহলে কেন পাচারকারীদের সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়না অথবা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার পর জানা যায় অথচ সেটা উদ্ধার হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




