
জনৈক ব্লগার আবেগ তাড়িত হয়ে খোড়া যুক্তি দিয়েছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা নিয়ে; আবেগ দিয়ে তো কিছু চলেনা হয়তো উনি সেটা ভুলে গিয়েছেন। সে যাই হোক আসল কথায় আসি।
হাসিনা জমানায় কাউয়া ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধের কথা বলতেই পরের দিন দরবেশের বুদ্ধিতে হাসিনা কইলো বদ্ধের দরকার নাই ঠিক তারপর কয়েক সপ্তাহেই লক্ষ্ লক্ষ ব্যাটারী চালিত রিক্সা ঢাকা শহর ছেয়ে গেলো । দরবেশ ব্যাটারী বিক্রেতাদের সি্ডিকেটের লোক, দরবেশের উদ্দেশ্য হলো ব্যাটারী বিক্রি। একটা রিক্সায় লাগে ৩টি ২০ ভোল্টের ব্যাটারী যেটা ৬ মাস চলে তার মানে একটা রিক্সায় বছরে লাগবে ৬ টি ব্যাটারী। ১ লক্ষ রিক্সায় বছরে লাগবে ৬ ০০ ০০০ ব্যাটারী এই ছয় লক্ষ ব্যাটারীর দাম ৬০০০০০ x ১৫০০০ (প্রতিটি ব্যাটারীর গড় দাম ধরে) =৯০০,০০,০০,০০০/-- টাকার ব্যবসা। বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা অথবা তারো বেশি। যার কারনে দরবেশ ব্যাটারী চালিত রিক্সার পক্ষে হাসিনাকে ব্যবহার করেছে শুধুমাত্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা দূরদর্শী কোন চিন্তা না করে শুধু টাকা কামানোর চিন্তা করেছে।
জনৈক ব্লগার রিক্সার জন্য আলাদা রাস্তা করে দিতে বলেছে যে ঢাকা শহরে ১ ইঞ্চি জায়গা পাওয়া চন্দ্র হাতে পাওয়ার চেয়েও কঠিন সেখান তিনি আলাদা রাস্তার কথা বলছেন ইহা আবেগীয় অথবা অজ্ঞতা। তিনি আবার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ব্যাটারী চালিত রিক্সাকে রকেট বানিয়ে দিতে বলছেন! তিনি আরো অনেক যুক্তি দিয়েছে যা অযৌক্তিক হিসেবেই মনে হয় সেদিকে আর গেলামনা।
কর্মক্ষম জনগোষ্টী যদি শুধুই রিক্সা চালায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে কীকরে? গ্রামাঞ্চলে কোন ধরনের শ্রমিক পাওয়া যায়না। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে কৃষি উৎপাদন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে অথবা যৌক্তিক পারিশ্রমে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। যুবকরা পরিশ্রমের কাজ করছেনা তারা ঢাকায় আসে বিনা কায়িকশ্রমে ব্যাটারী চালিত রিক্সার হ্যান্ডেল ধরছে; এরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কীভাবে বিনা পরিশ্রমে আরো পয়সা অর্জন করা যায়, বিপথে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
এরা কোন নিয়ম জানেনা, জানতেও চায়না এবং মানেও না। এরা রাস্তার মাঝ দিয়ে অথবা ঠিক ডিভাইডারের কাছদিয়ে রিক্সা চালায়। কোন গাড়ীকে সাইড দেয়না এরা ভাবে রিক্সা নিয়ে গাড়ীর আগে যাবে। এরা অবৈধ লাইন নিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার বিদ্যুৎ চুরি করছে। এরা ধরাকে সরা ভাবছে কাউকে তোয়াক্কা করছেনা।
ব্যাটারী চালিত রিক্সা যে গতিতে চালায় সেই গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো ব্রেক নেই; এই রিক্সার এক্সিডেন্ট ভয়ানক প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে।
অনেক আগেই ফুটপাথ বন্ধ হাটার কোন উপায় নেই তার উপরে আবার নতুন করে এই উটকো ঝামেলা ব্যাটারী চালিত রিক্সা। ব্যাটারী চালিত রিক্সার জন্য না যায় হাটা না যায় গাড়ী চালানো; ভয়াবহ সমস্যা!
পরিশেষ একথা জোড় দিয়ে বলা যায় যেকোন মূল্যে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করতে হবে এবং সব মেইন রাস্তায় পায়ে চালানো রিক্সাও বন্ধ করতে হবে। আনতে হবে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



