
জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ও দেশের মুরব্বি খ্যাত নেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতোটাই খারাপ যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এক হিংসুটে হাইনী বুড়ির হাতের কালো ছায়ায় খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর পথযাত্রী। তার অপরাধ সৌদির অনুদানকৃত টাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে স্থানান্তর করে আত্নসাত করেছেন। বিএনপি দাবি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে বাট টাকা আত্নসাত করা হয়নি বরঞ্চ টাকা বেড়ে কয়েক গুন হয়েছে; কে শোনে কার কথা?
যে মানুষটা হেঁটে হেঁটে জেলে গেলেন সেই মানুষটা ফিরে এলেন হুইল চেয়ারে। ডাইনি বুড়িটা এতোটাই হিংসুটে ছিল যে খালেদা জিয়াকে সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত দিতে দেয়নি। চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেয়নি উল্টো যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছিল! নিরাপদে হরিলুট করার জন্য খালেদা জিয়াকে পথের কাঁটা মনে করেছিল এজন্য তাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে সব ধরনের চক্রান্ত করেছিল। জেলখানায় লৌহমানবীকে স্লো পয়জনিং করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগও তুলেছে বিএনপি; এই অভিযোগ অমূলক নয়।
পরিশেষে বলবো মানুষ মরণশীল সকলকেই মরতে হবে তবে খালেদা জিয়া আপনি দেশবাসির কাছে যে ভালোবাসা পেয়েছেন সেটার মূল্য পরিমাপ করার মতো না পরিমাপ করাও যায়না, আপনি ধন্য। আজ আপনার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোটা দেশবাসী। রোগমুক্তি কামনায় মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল আয়োজন হয়েছে। অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট দিয়ে আপনার সুস্থতা কামনা করছে দেশবাসী।
আপনার অসুস্থতার খবরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ উদ্বেগ, সমবেদনা ও জন্য দোয়া চেয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা। হাসপাতালে দেখতে গেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আপনার রোগমুক্তি কামনা ও দোয়া করে দেশের আলেমসমাজ।
একটা মানুষের জীবনে এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী থাকতে পারে? আপনি তো পালাননি। পালানো তো আপনার চরিত্রের অংশ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


