না পড়লেন তো মিস করলেন।
(১) আমার ছোট বোন রিনি। খুব আদরের। ও যখন খুব ছোট তখনকার ঘটনা। একদিন বাড়িতে খেলা করছে। কিভাবে যেন একটা মার্বেল কুড়িয়ে পেলো। মার্বেল চিনেন তো? কাঁচের ছোট্ট গোল বল। ওর খুব পছন্দ হল জিনিসটা। ঘরের মেঝেতে ফেলে দিচ্ছে। টক টক টক করে শব্দ হচ্ছে আর ড্রপ খাচ্ছে।
ছোট ভাই হোসেন। বান্দরকুলের নেতৃস্থানীয়। বাইরে থেকে এসে দেখে এই অবস্থা। দুস্টুমী করার জন্য কেড়ে নিল বলটা। এখন রিনি ওর পিছে পিছে ঘুরছে আর বলছে -দে, দে। হোসেন বলছে -না দিবো না। আগে বল এর নাম কি? রিনি বলল- দানিনা। হোসেন বলল- এর নাম মার্বেল। রিনি চিৎকার মেরে বলে উঠলো- না এ মাল বেল না। আমি লান্না ঘলেল পিতনে পাইতি। এ আমাল বেল।
(২) রিনির বড় মিলি। আমার সেঝো বোন।
পাঠক মনটাকে শক্ত বেড়ার বাঁধনে বাঁধুন। লিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
ও তখন ছোট। ছোট বাচ্চারা সচরাচর "র" উচ্চারন করতে পারেনা। "ল" হয়ে যায়। মিলি "র"-ও পারেনা, "ল"-ও পারেনা। ওর উচ্চারন হতো "ন"। যেমন- গাড়ী শব্দটি অধিকাংশ বাচ্চারা উচ্চারন করে "গালি"। মিলি বলতো-"গানি"।
মেরি'র মা নামের এক খ্রীস্টান মহিলা আমার দাদীর আমল থেকে আমাদের বাড়ীতে কাজ করতেন। সেদিন বাড়িতে মাংশ রান্না হয়েছে ,মেহমানদারী উপলক্ষ্যে। হোসেন আর মিলি খানিক সময় পর পর এসে মাংশ খেয়ে যাচ্ছে। শুধু ওরা না, সাথে বন্ধু-বান্ধব। মা দেখলেন এভাবে চললে মেহমান খাবে কি? মেরীর মাকে বললেন মাংশের কড়া দড়ির ছিকেয় করে উপরে উঠিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে। ওরা এবার এসে দেখে মাংশের কড়া উপরে, নাগালের বাইরে। খাবে কি করে? প্লান করলো মাংশ চেয়ে তো পাওয়া যাবে না, দেখি একটু ঝোল চেয়ে দেখি। মিলি মেরির মা'র কাছে ঝোল চাচ্ছে-" মানিন মা, মানিন মা, গোততেন কনাদা ইত্তু নামাই দাওনা, ধোন তেকে দেকি।
(মেরির মা, মেরির মা, গোশতের কড়াটা একটু নামাই দাওনা, ঝোল চেখে দেখি।)
(৩) এবার হোসেনের গল্প।
ও এখন বসতে পারে। পাছা সরিয়ে সরিয়ে এখান থেকে ওখান যেতে পারে। আমাদের একটা কুত্তী ছিলো তখন। বরাবরই আমাদের কুত্তী ভাগ্য প্রসন্ন। কুত্তা হয় না। যদিও হয়, তা হয় আলসের কুড়ে। বছর গেলে ঐ কুত্তীর মাধ্যমে আবার তিন চারটা। বুঝতেই তো পারছেন।
সেবারের ঘটনা। কুত্তীর চারটা বাচ্চা হয়েছে। তারা দৌড়াতে পারে। সারা বাড়িতে তাদের দৌরাত্ব। হোসেনের সাথে ওদের বড় সখ্যতা। ওদের ধরে কান মলে দেয়। ওদের সাথে খেলা করে। মাঝে মইধ্যে যখন ধরতে না পারে তখন কান্না জুড়ে দেয়। আবার ধরে ওর কাছে এনে দিলে কান্না থেমে যায়। এমন একদিন, হোসেন বাচ্চা গুলোর সাথে খেলা করছে। আমরা ব্যস্ত টুকরো টুকরো কাজে। হঠাৎ হোসেনের খিলখিল শব্দের হাসি শুনে আমরা ওর দিকে তাকালাম। দেখি একটা বাচ্চা হোসেনের নুনু'কে দুদু মনে করে চুষতেছে। আর বাকি গুলো চক্রাকারে ঘুরতেছে। লেকিন চান্স নেহি মিলতা হ্যায়
বিঃ দ্রঃ- নাগু ও আমুতেও প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



