somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঁচার তাগিদে মানুষ কত কি করে নররাক্ষসের’ সঙ্গে কিছুক্ষণ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রক্তিম দাশ কলকাতা করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
রোজ গোটা দশেক জ্যান্ত মুরগি আর বেশ পরিমাণে কাঁচা শাকসবজি খেয়ে চলেছেনে স্রেফ বাঁচার তাগিদে। পয়সা উপার্জনের জন্য বেছে নিয়েছেন এই বিচিত্র জীবিকা শঙ্কর।

পুরো নাম শঙ্কর রাজভড়। আদি নিবাস ভারতের উত্তরপ্রদেশের বেনারসে। বছর ২২-এর এ যুবক এখন পশ্চিমবাংলায় ‘নররাক্ষস’-এর খেলা দেখিয়ে বেড়ান। হাওড়া জেলার বাকড়ায় গিয়ে দেখা মিলল এই নররাসের সঙ্গে।

বাকড়ার একটি মেলার এখন অন্যতম আকর্ষণ শঙ্কর রাজভড় ওরফে নররাক্ষস। গায়ের রঙ ঘোর কালো। মাথায় বড় বড় চুল। কপালে লাল কাপড়ের ফেট্টি। তাঁবুর ভেতরে চেন দিয়ে বাঁধা দুটি পা। একের পর এক জ্যান্ত মুরগি খেয়ে চলছেন তিনি। গোটা মুখ রক্তাক্ত। রোজ দশটি মুরগি তার খাদ্য। শুধু এটাই নয়, তার খাদ্যের তালিকায় আরও রয়েছে একটি রুই মাছ, ধানের কুঁড়ো, খড়, ডিমের খোসা, টিউব লাইটের কাচ, ঘাস, কুমড়ো, লাউ এমনকি ইট পর্যন্ত!

দেখা গেল, রোমহর্ষক এই প্রর্দশনীতে নকল রাসক্ষকে দেখে শিশুরা অনেকেই ভয়ে বাবা-মার কোলে কেঁদে ওঠছে। মাঝেমধ্যে আঁতকে উঠছেন অভিভাবকরাও।

খেলা শেষে ১০ মিনিটের বিরতি। বাংলানিউজের মুখোমুখি নররাক্ষস। বললেন, দশ বছর ধরে এই খেলা দেখাচ্ছি। বাবা বেকার। সংসার চালতে বাধ্য হয়ে এই জীবিকা বেছে নিয়েছি।

চোখের কোণে জল, একটা চাকরি দিতে পারেন? আর ভালো লাগে না। নররাক্ষসের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে বললেন মানুষ শঙ্কর।

কীভাবে এলেন? বললেন, হুগলীর বেগমপুরে মহাদেব মাজি বলে একজন দেখাতেন। তাকে দেখেই শুরু। প্রথমে এসব খেলে পেটে যন্ত্রণা হতো। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। জানেন, রোজ প্রর্দশনীতে এসব খেয়ে দিনে-রাতে আর স্বাভাবিক খাবার খেতে পারি না।

প্রর্দশনীর ঘণ্টা বাজল। ‘যাই’ বলে উঠে পড়লেন নররাক্ষসরুপী শঙ্কর। মেলার মাইকে তখন বাজছে, ‘মানুষ নয় গো, নররাক্ষস দেখে যাও। এ সুযোগ আর পাবে না...’।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১০০, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০

৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×