somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘটনা এবং ইহার স্থান- কাল -পাত্র সম্পূর্ণ কাণ্পনিক।যদি কোন বাস্তব ঘটনা কিংবা চরিত্রের সহিত মলিয়া যায় তবে তাহা কাকতালমাত্র।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাসরুরুল হুদা।একটি ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।ছেলেপুলে নিয়ে তার মধ্যম শ্রেণীর পরিবার।তার স্ত্রী ঢাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।ছেলে মেয়েরা ও সেখানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই পড়ালেখা করছে।জীবনের পড়ন্ত সমযটা ভালই কাটছিলো ।অফিস থেকে এসেই পরিবারের সবার কে কোথায় খোঁজ খবর করতেন। ভাবতেন -আর কয়েকটা দিন!তারপর অঢেল অবসর।তথন পরিবারকে ঠিকমত সময় দেয়া যাবে।প্রতদিনের বাজারটা তিনিই করবেন।ব্যাংকে চাকরি করতে গিয়ে জীবনে পরিবারের প্রতি অনেক অন্যায়ই করা হযেছে।সকাল সন্ধা অফিস।কখনো ফিরতে রাত বারোটাও বেজে গেছে।
মাসরুর সাহেবের পরিকল্পনামতই কাটছিলো সময়।সব ঠিকঠাক।কিন্ত্ত বাঁধ সাধে ব্যাংকের একটা অনিয়ম।ব্যাংকের অডিট টিমের হয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে তার।তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সেটা অভিহিত করেন। কথা হয় ডিএমডি মাইনুল হকের সাথে।মাইনুল সাহেব মাসুরুর সাহেবকে এব্যাপারে নিশ্চুপ থাকতে বলেন।বলেন -'এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না।এখানে উপরের হাত আছে' ।ব্যাপারটা নিয়ে তার সাথে অনেক তর্ক-বির্তক হয। মাইনুল সাহেব তাকে বিভিন্ন্ রকম বুঝাতে চেষ্টা করেন।তিনি তা মানতে নারাজ।অবশেষে তিনি ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম সম্পর্কিত লিখিত রিপোর্টটা দেন।
মাইনুল সাহেব তাকে সেদিন দেখে নেবার হুমকি দিলেন।
রাতে ঘরে ফিরে স্ত্রীর সাথে কথাগুলো শেয়ার করছিলেন।বলছিলেন তার সমুখ আশংকার কথা।স্ত্রী তাকে ভাবতে বারণ করেন।বলেন এতসব ভেবো না যা হবার তাই হবে।

পরদিন অফিসে গিয়েই মাসরুর সাহেব খবরটা পান।তাকে রাজশাহীতে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।পরের দিনই সব গোছগাছ করে রওয়া দেন রাজশাহীর দিকে।কোয়ার্টারে সিট না থাকায় একটা মেসমত বাসায় উঠতে হয।বুয়া এসে দু'বেলা রান্না করে দিয়ে যাবে।
কিন্ত্ত দু'দিন বুয়ার রান্না খেয়েই বুঝতে পারলেন এ রান্না তার শরীর সহ্য করছে না।অতিরিক্ত তৈলযুক্ত অর্ধসিদ্ধ খাবার খেয়ে বুকজ্বালা বেড়ে চলেছে।

এদিকে ব্যাংকের বিশাল অংকের আর্থিক অনিয়ম ধামাচাপা দেবার হাজারো চেষ্টা চলতে থাকে।

কেটে যায় একমাস।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মাসরুর সাহেব অফিসে গিয়েই খামবদ্ধ চিঠিটা খুলে দেখেন-তাকে আবার স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম।তার মনটা বিষাদে ছেয়ে যায়।বাক্স পেট্রা বেঁধে আবার চট্টগ্রাম ---
চট্টগ্রামে এসে একটা হোটেলে উঠেন।কয়দিন হোটেলেই কাটাবেন ঠিক করলেন যতদিন বাসা না পাওয়া যায়।প্রথমদিন অফিস করে রাতে যেই এসে বিছানায় গা এলিয়ে সাত পাঁচ ভাবছিলেন এমনিই একটা ফোন।
-হ্যালো ..
-কেমন লাগছে?
-কে বলছেন?
-কে বলছি তা জানার দরকার নাই।কেমন মজা লাগছে বলেন?
-আপনি কি বলতে চান ?
-সাবধানে চলাফেরা করবেন।রাত বিরাতে কোথাও যাবেন না। বলাতো যায় না কখন কি ঘটে যায়।কেউ যদি মেরে সাগরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসে তখনতো আত্বীয় স্বজনরাও খোঁজ পাবে না,কী বলেন?
টো.টো...
ফোনটা কেটে যায়।মাসরুর সাহেবের কাছে কণ্ঠটা চেনা চেনা মনে হয় কিন্ত্ত নাম্বারটা অপরিচিত।ফোনের কথাগুলো ভাবেন।ভাবতে গিয়ে শরীরটা ঘেমে উঠে।হোটেল কর্তৃপক্ষকে ফোনে বিস্তারিত বলেন।তারা নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দেয়।
সকালবেলা অফিসে যান হোটেল থেকেই।কলিগ দুয়েক জনের সাথে বাসা দেখার ব্যাপারে কথা হয়েছে।রাতের ফোনালাপের ব্যাপারে বলতে চেয়েছেন কিন্ত্ত নতুন জয়েন করে কারো সাথে পূর্ব আন্তরিকতা ছাড়া এসব আলাপ করা সমীচীন মনে হযনি বলে কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন নি।তিনি অফিস থেকে গুঁটিয়ে বের হন।আবার ফেরার সময় ও গুঁটিয়ে ফেরেন ।একটা অজানা আতংক কাজ করে।কি হতে না আবার কি হযে যায়!হোটেল কর্তপক্ষের পরামর্শে থানায় একটা ডায়রি করে আসেন।

এভাবে কেটে যায় আরো একমাস।

মাসরুর সাহেব আবার বদলির আদেশ পান।এবার রংপুর।তিনি চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে থাকেন।এ বয়সে শরীর আর কুলায় না।অজানা বিপদের শংকা।নতুন পরিবেশের সাথে থিতু হবার ধকল।একেক বার মনে হয় তার বুঝি স্ট্রোক হয়ে যাবে।রাতে স্ত্রী'কে ফোন দেন।স্ত্রী চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন।কিন্ত্ত এখন চাকরি ছাড়লেও যে সমস্যা!আর মাত্র কয়েকটা বছর।এখন চাকরি ছাড়লে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।তিনি ভাবতে থাকেন।
এখানেও অবস্থান সেই হোটেল।পাকস্থলী হোটেলের খাবার সহ্য করতে পারেনা।শুরু হয় ফুড পয়জনিং।বারবার বাথরুমে গিয়ে গিয়ে যখন আর উঠার শক্তিটুকু পান না তখন ফোনটা ডায়াল করে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ডাকেন।তারা হাসপাতালে নিয়ে যান।কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলেন মাসরুর সাহেব ঠিক ঠাওর করতে পারেন না।উঠে দেখেন হাতে সেলাইন চলছে।তিনি অন্য হাত টা নিয়ে স্ত্রীকে ফোন দেবেন-এমন সময় একটা ফোন।সেই কণ্ঠস্বর!নম্বর অচেনা।সেই হুমকি!মাসরুর সাহেবের হাত কাঁপে।ফোনটা রেখে তিনি স্ত্রীকে ফোন দেন।বিস্তারিত বলেন।রাতেই তার ছোট ছেলে আর স্ত্রী রওনা দেন।

হাসপাতালে থাকতে হয় দুইদিন।পাশে থেকে ছেলে আর স্ত্রী সেবা শুশ্রূশায় সেরে উঠেন।একটা বাসা দেখে উঠে পড়েন একমাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে।মাসরুর সাহেবের স্ত্রী কয়েকদিন সাথে থাকেন।সাতদিন অফিস করার পর তিনি একটি হলুদ খাম পান।আবারোও সেই বদলির আদেশ।এবার সিলেট।রংপুর থেকে সিলেট।

এদিকে অর্থ কেলেংকারীর ঘটনাটা ধামাচাপা দেবার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে কিন্ত্ত তারপরও কিছু কিছু লিকেজ হয়ে যায়।প্রথমে যখন খবরের কাগজে ব্যাপারটা আসে তখন তেমন গুরুত্ব পায়নি।ঘটনাটাও মানুষ আচ করতে পারে নি।আর্থিক অনিয়মের একটা ভাসাভাসা খবর প্রকাশ পায়।পত্রিকার ভেতরের পাতায় ছোট একটা খবর।

মাসরুর সাহেবের খবরটা চোখে পড়ে। পড়ে হতাশ।কিছু হবে বলে মনে হয় না তার।তারপরও কোথায় যেন একটু আশার আলো দেখেন।

সিলেটে এসে দিন দশেক অফিস করেন তাও সেই হোটেলেই।পানি খেতে হয় কিনে।সিলেটের পানিতে প্রচুর আযরন।গুটি কয়েক এলাকা ছাড়া ভালো পানি পাওয়া যায় না। তবুও মাসরুর সাহেব আগের চেয়ে কিছুটা শক্ত । মাসরুর সাহেব আবারো বদলির আদেশ পান ।এবার তিনি তৈরী হঢেই ছিলেন।এবার তিনি আর সেই বদলিকে ভয় পান না।
পরের দিন গাড়িতে উঠার আগে পত্রিকা কিনে দেখেন।ব্যানার হেড লাইন করা হয়েছে পত্রিকায় ।' .... ......... .........ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা লোপাট'

আস্তে আস্তে ঘটনাটা যখন প্রকাশ পেতে থাকে তখন সেটা এক মহীরূহে পরিণত হয়।দেশ জুড়ে তান্ডব যেন।রাস্তাঘাটে ।যানবাহনে।চ্যানেলে চ্যানেলে।টক শো'গুলো নতুন খাবার পেয়ে খুব আয়েশ করে খেতে থাকে।চলতে থাকে গবেষণা।কারা কারা দায়ী।কাদের হাত আছে?কে কার বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছিলো ?ইত্যাদি ইত্যাদি।

তারপর আসে দায় চাপানোর সময় ।এতবড় একটা ব্যাপার দায়তো চাপাতেই হবে।দেশের অর্থমন্ত্রী ভুলে ভালে যদিও ব্যাপারটা হালকা করতে চেয়েছিলেন তাও পারলেন না।মিডিয়ার পাবলিক নাজেহাল করেই ছাড়লো।দায় চাপানোর জন্য ডাকা হলো দেশের দুর্নীতির তদারককারী সংস্থাকে।তারা একে একে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো।বলো কারা দায়ী?কেউ স্বীকার করলো না।একজন আরেকজনের দিকে আঙ্গুল তাক করে।তো দূর্নীতি তদারককারী সংস্থা পড়লো মহা বিপাকে।দায়তো একজনের উপর চাপাতেই হবে।কিন্ত্ত কেউ যে দায় নিতে চাচ্ছে না!

অনেকদিন পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ চললো।অনেক টাকা খরচ করে যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদেরকে চা কফি খাওয়ানো হয়েছে।খালি মুখে তো আর জিজ্ঞাসাবাদ চলে না।সবাই যেখানে বড় বড় অফিসের আমলা -কামলা?দেশের চরম বিদ্যুৎ সংকটের মাঝেও তাদের জন্য এসি চালিয়ে রাখতে হযেছে।মাস শেষে গুণতে হয় মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল।

দেশের মানুষ যখন এই অনিয়ম নিয়ে খুবই হতাশ তখন বিভিন্ন তরফ থেকে দাবি তোলা হল অর্থলোপাটকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করতে।কিন্ত্ত মামলাটা করবে কে তা নিয়ে ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গেল।দূর্নীতি তদারককারী সংস্থার দিকে আঙ্গুল তাক করে বলা হলো- আপনারা মামলা করুন।তারা সাফ জানিয়ে দিলো এটা সংস্লিষ্ট ব্যাংকের দায়িত্ব, মামলা করলে তাদেরকেই করতে হবে।
অভিজ্ঞমহল চিৎকার করে গলা ফাটালো ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মামলা খুবই দুর্বল।লোপাটকারী সংস্থা সহজেই পার পেয়ে যাবে।কিছুতেই কিছু হয় না।সময় ক্ষেপণ চলতে থাকে।কারণ সময় মানুষকে সব ভুলিয়ে দেয়।

এক সময় মাসরুরুল হুদা সিরাজীর ঘনঘন বদলির ব্যাপারটাও মিডিয়াতে আসলো।কেউ কেউ বল্লো অপরাধী'কে ধরতে এত কাঠখড় পোড়ানোর কিছু নেই।যার অডিট কার্যক্রমে অনিয়মটি ধরা পড়ে তাকে তলব করা হোক।মাসরুরুল হুদা সাহেবকে ডাকা হলো।তিনি সবিস্তারে সব বর্ণনা করলেন।তার উপর জারিকৃত অন্যায় বদলির আদেশ,তার ভোগান্তি।বলতে বলতে তার চোখে জল আসে।
ডাকা হবে ডিএমডি মাইনুল হক সাহেব কে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।মাসরুরুল সাহেব কিছুটা
উচ্ছসিত হন।অনেক ভেবে চিন্তে রাতে ফোন দেন ডিএমডি মাইনুল হক সাহেব কে।
-হ্যালোমস্লামাইকুম,কে বলছেন?
-স্যার আমি-মাসরুরুল হুদা সিরাজী বলছিলাম।(তার নামটা শুনে মাইনুল সাহেব কিছুটা চমকে যান কিংবা বিব্রত হন)
-বলুন কি জন্যে ফোন করেছেন?
-না এমনিই...স্যার আমাকে যেন কয়বার বদলি করেছিলেন?
-কেনো আপনি জানেন না?
-জানি স্যার তবু জিজ্ঞেস করছি আপনার মনে আছে কিনা সেটা জানার জন্য।আচ্ছা ভুলে গেলে মনে করতে চেষ্টা করুন।আগামীকাল যখন আপনাকে ডাকা হবে তখন তারা জিজ্ঞাসা করবে যে।না বলতে পারলে স্যার বড়ই শরমিন্দা হতে হবে আপনাকে।রাখি স্যার ....

ফোনটা কেটে যায়।মাইনুল সাহেব রাগে কটকট করতে থাকেন।তার শরীর কাঁপে।তবু তিনি মনে করতে চেষ্টা করেন মারুরুল হুদাকে কতবার বদলি করেছিলেন।তিনি হিসাব কষেন -প্রথমে ঢাকা থেকে ...
এমনিই একটা ফোন আসে।মাইনুল সাহেব কাঁপা কণ্ঠে বলেন -হ্যালো?
.....সাহেব বলছেন ?
-হ্যাঁ কি ব্যাপার বলেনতো? ( নাম্বারটা একটি বিশেষ সংস্থার)
-আপনাকে আগামীকাল আমাদের অফিসে আসতে হবে।আর আসার সময় অবশ্যই লাইসেন্স বিহীন গাড়ী নিয়ে আসবেন না।মিডিয়া খুব তৎপর আছে।
-জ্বি স্যার .জ্বি স্যার।

মাইনুল সাহেব একটা গ্রিন সিগন্যাল পান।তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে উঠে।
মাইনুল সাহেব মাথা চুলকান আর ভাবেন।ঢাকা থেকে ...হ্যা ৬ বার।মাসরুর সাহেব কে ৬বার বদলি করেছিলেন।

পরদিন মাইনুল হক সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।তিনি একটা ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বের হন।

রাতে মাসরুরুল হুদা'কে ফোন দেন।মাসরুরুল সাহেব ফোন ধরেই বলেন-
-হ্যালো স্যার, ভালো আছেন আপনি?
-হ্যাঁ অনেক ভাল আছি।আপনার কি খবর?
-জ্বি -জ্বি স্যার ভালো ।
-কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন না আমি আপনাকে কতবার ট্রান্সফার করেছি?
-হ্যাঁ স্যার!
-প্রশ্নটা করে আমার উপকারই করেছেন।বলা যায় পরীক্ষার আগে আপনি প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়েছেন।তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আপনাকে কতবার বদলি করেছি।
-কতবার বললেন স্যার।
-হ্যাঁ বলেছি ৬ বার।
-তারা আপনাকে আর কি জিজ্ঞেস করলো?
-করলো আপনাকে কেন এতোবার বদলি করলাম?
মাসরুর সাহেব চুপ করে থাকেন।ফোনটা কানে।
-হ্যাঁলো,আমি কি বলেছি উত্তরটা শুনবেন না?
-...........
-এখন আপনি কথা বলতে পারবেন না তা আমি জানি।শুনুন তাহলে আমিই বলি।তারা যখন আপনাকে বদলির কারণটা জিঞ্জেস করলো যে ,কেনো আমি আপনাকে এতোবার বদলি করলাম-তার উত্তরে আমি বললাম যে -আপনি আমার ব্যাংকের একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তা।আপনার কারণেই আর্থিক অনিয়মটা ধরা পড়েছে। তাই আমি ভাবলাম আপনাকে দেশের প্রতিটা শাখায় দিতে পারলে ভালো হতো।সব জায়গার অনিয়মগুলো আপনাকে দিয়েই উদঘ্টন করা সম্ভব হবে।কিন্ত্ত একজনকে তো আর ১৪০০ শাখার দায়িত্ব দেয়া যায় না!তাই শুধুমাত্র বিভাগীয় শহরগুলোতেই আপনাকে পাঠিয়েছি।আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।কেমন হলো উত্তরটা?মাসুরুর সাহেব?
?
?
?
.......
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৩
২৫টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×