সংবাদপত্র কিংবা টিভি মিডিয়া সত্যিই কি সাধারন পাবলিককে গাধা মনে করে? তা না হলে তাদের এতটা আত্মবিশ্বাস কি করে হলো যে তারা যা বলছে আমরা তা-ই মানি/মানছি?
আগে মনে হতো বাংলাদেশের মিডিয়া চাটুকার/হলুদ। বাংলা পত্রিকা পর্ন পত্রিকা হবার পর থেকে গত কয়েকমাস খবরা-খবর জানার জন্য আমি শুধুমাত্র ইংরেজি পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিন পড়ি। এসব পত্রিকার খবর এবং তাতে সাধারন মানুষের কমেন্ট দেখে পশ্চিমাদের আসল স্বরূপ পরিষ্কার হচ্ছে আমার কাছে।
তারা প্রথমে মুসলমানদের পিছনে হালকা আঙ্গুল দিবে - যখন প্রতিবাদে মুসলমান কিছু করবে তখন জিওনিস্ট মিডিয়া সেটাকে এতটা ফলাও করে প্রকাশ করবে যে মনে হবে তারা "সাধুবাবা এবং তারা টেররিষ্টদের হামলার শিকার!"
তার রিএ্যাকশানে এই যে এতকিছূ হবে - হাজার হাজার নিরিহ মুসলমান মারবে - তাদের খবর দেখে আমরা মুসলমানরা মনে করা শুরু করবো "না আমরা মুসলমানরা খারাপ - তাই আমরা মারা খািচ্ছ"
আরে ভাই সাম্প্রতিক ফ্রান্সে পত্রিকা অফিসে হামলার শুরুটা কারা করেছে? আপনাকে একজন পিছন থেকে বার বার আঙ্গুল দিবে তো আপনি কি পিছনে ঘুরে তার মধ্যম অংশে লাত্থি দেবেন না?
ফ্রিডম অব স্পিস্ এর নামে তারা যা করছে সেটা মুলতঃ ফ্রিডম আব হার্টিং আদারস্ ফেইথ!
গে সেক্স, লেসবিয়ান সেক্স, হার্ডকোর সেক্স এমনকি ইনকাষ্ট সেক্স (মাতা-পিতা কিংবা সন্তানের সাথে সেক্স করা, যা জার্মানি এবং ডেনমার্কে খুব স্বাভাবিক বিষয়) সহ নানান বিকৃত মস্তিষ্কের মজা পশ্চিমারা নিচ্ছে। এত্ত মজার ভিতর অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করার জন্য কার্টুন ছাপিয়ে মজা নিতে হবে?
এটা আসলে তাদের পরিকল্পিত উস্কানী। এমনও হতে পারে হামলাকারীকে অস্ত্র এবং আর্থিক সহায়তাও তারাই করেছে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পিছনের দিনগুলোর দিকে তাকান - আল কায়েদার উত্থান কিন্তু আমেরিকার হাতেই। ঠিক যেমন ইরাক কুয়েত যুদ্ধে সাদ্দামের কাছের বন্ধু ছিলো আমেরিকা!
আিম এখানে বলছি না আসুন আমরা সবাই জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ি (কারন এটাতে পরাজয় নিশ্চিত - কারন বিশ্ব এটা দেখবেও না - জিওনিষ্টরা যা দেখাবে তাই বিশ্ব দেখবে)। তবে এটা বলতে পারি আসুন ঘটনার পিছনের কারন যেনে নিকৃষ্ট ওই সব কিটদের মন থেকে ঘৃনা করি যারা আমাদের মিথ্যা খবর দেখাচ্ছে - যারা আমাদের অনুভুতি নিয়ে খেলছে....