বিগত দিনগুলোতে যেসব স্থানে/পাত্রে "ব্লগার / মুক্তমনা / মুক্তচিন্তা / ফি্রডম অফ স্পিচ্" এসব শব্দগুলো ব্যাবহার করা হচ্ছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব শব্দকে কলঙ্গিত করছে। কারনঃ এ সবগুলো শব্দের দ্বারা যা করা হচ্ছে তা হলো "অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করা" কিংবা অন্যকে ছোট দেখানোর প্রয়াস রাখা।
সাধারনত যারা অন্যের ধর্ম (যেকোন ধর্ম; যেমন একজন মুসলিম হিন্দু ধর্ম নিয়ে, কিংবা একজন হিন্দু খ্রিষ্টান ধর্ম নিয়ে) কটাক্ষ করে অথবা আমার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাংঘর্ষিক মতাদর্শের থাকে তাকে আমি ফলো/ফ্রেন্ড হিসেবে এ্যাড করিনা। কারন আমি মনেকরি তার মতমত পছন্দ করা লোকই তার বন্ধু হবে অন্য কেউ তার সঙ্গ না দেয়াই শ্রেয়।
রাজীব হত্যার পর তার কিছু লিখা পড়লাম, অভিজিৎ হত্যার পর তারও কিছু লিখা পড়লাম, ওয়াশিক হত্যার পর তার কিছু পোষ্ট বিভিন্ন মাধ্যমে পড়া হয়েছে। এদের প্রত্যেকের লিখা পড়ে আমি যেটা মনে করি তা হলো তারা একজনও "নাস্তিক" নয়। বরং তারা চরম মাত্রার "ধর্মবিদ্ধেষী"। এদের (দু/একটি লিখা বাদে) কোন লিখায় এদের একজনও ইশ্বর/আল্লাহ্কে অবিশ্বাস করছে বলে মনে হলোনা। তবে তাদের অশ্লিল প্রকাশভঙ্গিতে অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করার প্রবনতাই বেশি দৃশ্যমান হয়েছে।
নাস্তিক শব্দের প্রাথমিক মানে/অর্থ কোন ধর্ম বিশ্বাস না করা। বহিঃবিশ্বে দেখা যায় নাস্তিকরা বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে তাদের বিশ্বাসকে অন্যের কাছে প্রকাশ করে। কিন্তু আমাদের দেশের ধর্মবিদ্ধেষীদের শিক্ষার দৌড় সে পর্যায়ে না। তাই তারা গালিগালাজ অথবা অশ্লিল কথা বলে নিজেদের বিশ্বাস অন্যের কাছে জাহির করার চেষ্টা করে। স্বভাবত কারনে এসব মতামত আমাদেরকে আহত করে।
পরিশেষঃ আমার মতে মেরে ফেলা কোন সমাধান নয় - এর জন্য দরকার যথাযথ আইন প্রনয়ন এবং তার সঠিক প্রয়োগ। প্রত্যেক ধর্ম তার অনুসারীদের কাছে গুরত্বপুর্ন। অন্য ধর্মালম্বিদের কাছে আমার ধর্মের অনেক কিছুই অস্বাভাবিক লাগতে পারে। ধর্মে বিশ্বাস আছে বলেই আমি/আপনি - হিন্দু/মুসলিম/খ্রিষ্টান সবাই নিজস্ব ধর্মানুসারে পাপ থেকে বিরত আছি। ধর্ম না থাকলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকতো না - অনুশাসন আছে বলেই আমরা যুগ যুগ ধরে ভালো আছি। আমাদের এই ভালো থাকাকে নষ্ট করছে যেসব "কীট" তাদের কঠিন শ্বাস্তি হওয়া অবশ্যক! এবং সমাজে পঁছন ধরানোর আগেই তাদের কোনঠাঁসা করা অবশ্যক!!