স্বামী স্ত্রীকে ও স্ত্রী স্বামীকে গোসল দিতে পারে (আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, নাইলুল আওতার ৪র্থ খন্ড ২৭ পৃঃ);
জানাযা মসজিদে পড়া যায় (মুসলিম, যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৫০০ পৃঃ);
শুধু জানাযা পড়লে এক কিরাত নেকী এবং দাফনে শরীক হলে দু’কিরাত নেকী (সহীহ আল বুখারী আঃ প্রঃ ১ম খন্ড ৫৪০ পৃঃ হাঃ ১২৪৭; মুসলিম, মেশকাত ১৪৪ পৃঃ);
মহিলা লাশের মাঝ বরাবর দাঁড়ান (বুখারী, মুসলিম ১৪০ পৃঃ);
পুরুষ লাশের মাথা বরাবর দাঁড়ান (আবু দাউদ, তিরমিযী, যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৫২২ পৃঃ);
«لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب».
জানাযায় তাকবীর চারটি দিতে হয় । রাসুল (সঃ) প্রথম তাকবীরে সুরা ফাতেহা পড়তেন (আবু দাউদ, তিরমিযী, মেশকাত ১৪৬ পৃঃ);
তালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন আউফ (রাঃ) বলেন আমি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) পিছনে এক জানাযা পড়ি । দেখলাম সুরা ফাতেহা পড়লেন এবং নামায শেষে বললেন আমি সুরা ফাতেহা এই জন্য পড়েছি যে তোমরা জেনে রাখ সুরা ফাতেহা জানাযায় পড়া সুন্নাত (বুখারী ১ম খন্ড ১৭৮ পৃঃ; বায়হাকী ৪র্থ খন্ড ৩৮-৩৯ পৃঃ; আবু দাউদ ২য় খন্ড ৪৫৫ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ১২২ পৃঃ; কেতাবুল উম্ম ১ম খন্ড ২৩৯ পৃঃ; ইবনে মাযাহ ১০৮ পৃঃ; মেশকাত ১৪৫ পৃঃ; যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড হাঃ নং ১২৪৭; মেশকাত নুর মোঃ আযমী ৪র্থ খন্ড হাঃ নং ১৫৬৫-১৫৮৩);
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) সুরা ফাতেহা এবং আরও একটি সুরা জোরে পড়লেন এবং আমাদের শোনালেন (তালহা বিন আব্দুল্লাহ বলেন) যখন তিনি নামায থেকে ফারেগ হলেন আমি তার হাত ধরে এ বিষয় প্রশ্ন করি । তিনি বলেন এটা সুন্নাত এবং হাক্ক (নাসাঈ ১ম খন্ড ১৮১ পৃঃ);
হযরত যাবের (রাঃ) বলেন রাসুল (সঃ) আমাদের জানাযা নামাযে চার তাকবীর বলতেন এবং প্রথম তাকবীরে সুরা ফাতেহা পড়তেন (আল মুসতাদরাক ১ম খন্ড ৩৫৮ পৃঃ; বায়হাকী ছাপা ইউসুফী ৪র্থ খন্ড ৩৯ পৃঃ);
উম্মে শারিক আনসারী (রাঃ) বলেন রাসুল (সঃ) আমাদের হুকুম দিয়েছেন আমরা যেন জানাযা নামাযে সুরা ফাতেহা পড়ি (ইবনে মাযাহ ১৪০ পৃঃ);
হযরত ফুজালা বিন আবি উমাইয়াহ (রাঃ) বলেন যে, যে ব্যক্তি হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত ওমরের জানাযা পড়িয়েছেন তাঁরা সুরা ফাতেহা পড়েছিলেন (আল মুনতাকা মা’আ শরহে নাইলুল আওতার ৪র্থ খন্ড ৬৫ পৃঃ; উমদাতুল কারী শরাহ বুখারী ৮ম খন্ড ১৪১ পৃঃ);
হাসান বসরী (রহঃ) বলেন বাচ্চদের জানাযায়ও সুরা ফাতেহা পড়বে (বুখারী ১ম খন্ড ১৭৮ পৃঃ);
আল্লামা কাস্তালানী বলেন জানাযা নামাযে সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত (মেরআত ২য় খন্ড ৪৭৭ পৃঃ);
জানাযা নামাযে সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নত । কেননা সুরা ফাতেহা উত্তম এবং মজবুত দোয়া । আল্লাহ তায়ালা কোরআন পাকে তার বান্দাদের শিখিয়েছেন (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ ২য় খন্ড ৩৬ পৃঃ);
জানাযা নামাযে সুরা ফাতেহা মুসতাহাব অথবা সুন্নাত বুঝে পড়া সমর্থিত হয়েছে । কেননা ওটার প্রমান বহু হাদিসে থেকে এসেছে । জানাযার ওটাকে সাধারণত মাকরুহ অথবা কেরাতের নিয়তে মাকরুহ, ছানার নিয়তে পড়া যায় যারা বলেছেন তাদের নিকট এ ব্যাপারে একটা দলিলও নাই যে ওটাকে মাকরুহ বলবে (ইমামুল কালাম ২৩৩ পৃঃ);
২য় তাকবীরে দরুদে ইব্রাহিম পড়তে হবে (বুখারী, যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৫০৫ পৃঃ);
তৃতীয় তাকবীর দিয়ে দোয়াঃ আল্লাহুম্মাগ ফিরলী হায়্যিনা……ওয়ালা-তাফতিন্না-বা আদাহ (বুখারী, মেশকাত হা; নং ১৬৯০);
৪র্থ তাকবীর দিয়ে ডনে বামে সালাম ফিরাবে (যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৪৯২ পৃঃ);
প্রতি তাকবীরে রফউল ইয়াদাইন করতে হবে । গায়েবানা জানাযা পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১৪৪ পৃঃ);
জানাযায় সুরা ফাতেহা পাঠের আরও দলিল দেখুন (মেশকাত মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ৪র্থ খন্ড হাঃ ১৫৬৫, ১৫৮৩; সহীহ আল বুখারী আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ১২৪৭);
জানাতে পারেন
২৭) জানাযার নামাযে সুরা ফাতেহা পড়তে হবে না । এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল লিখিত জানাবেন ।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




