আমাদের এবাদত বন্দেগী (নামায, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত), দোয়া কবুল হওয়ার একটা শর্ত হল পবিত্র বস্তু আহার করা । আপনি যদি লোক চক্ষুর আড়ালে কোন হারাম ভক্ষণ করেন তাহলে আপনার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে । আজ হতে আমরা খাঁটি তওবা করে নেই । এবং আল্লাহ-রাসুলের হারাম হালাল মেনে চলার চেষ্টা করি ।
হে রাসুল গণ পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং সৎ কাজ করুন (মু’মিনুন, আয়াত ৫১);
হে মুমিনগণ এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমুহ এসব শয়তানের অপ্রবিত্র কার্য বৈ তো নয় । অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাক যাতে তোমরা কল্যাণ প্রাপ্ত হও (মায়েদা, আয়াত ৯০);
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস যে সব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎস্বর্গ কৃত হয়……(মায়েদা, আয়াত ৩);
অনেকেই তামাক জাতীয় দ্রবাদি যেমন বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা দ্বারা পান, হুক্কা, গুল ইত্যাদি সেবন করে থাকে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা যায় এগুলো হচ্ছে স্লো পয়জনিং যা মানুষকে ধিরে ধিরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় । এগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করব ।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেছেন-
হে মানুষ! পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার মধ্য থেকে পবিত্র ও উত্তম জিনিসগুলো খাও (বাকারার ১৬৮ নং আয়াত)
ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজেদের জিবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করনা (বাক্বারাহ, আয়াত ১৯৫);
রাসুল (সঃ) বলেন- হে সা’দ হালাল কামাই খাও তাহলে তোমর যে কোন দোয়া কবুল হবে । হে সা’দ আল্লাহর কসম বান্দা যখন হারাম লোকমা পেটের মধ্যে ঢুকায় ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোন ইবাদত কবুল করা হয়না (তাবারানী)
তামাক জাতিয় দ্রব্যে ইসলামের বিধান
বিস্তারিত দেখার জন্য অনুগ্রহ করে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ।
Click This Link
জানাতে পারেন-
২) তামাক দ্বরা তৈরী দ্রবাদি (বিড়ি, সিগারেট, জর্দ্দা, হুক্কা, গুল ইত্যাদি) সেবন করা ইসলামে কোন ধরনের কাজ তা কুরআন ও সহীহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল উল্লেখ করে জানাবেন ?
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




