somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামাযে সুরা ফাতেহা পড়ার নিয়ম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আউযুবিল্লাহ এভাবে পাঠ করবে
«أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم، من همزه، ونفخه، ونفثه».
আউযুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ্ শায়ত্বানির রাজীম মিন হামযিহী ওয়া নাফখিহী অয়া নফসিহী (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১১৩ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ৩৩ পৃঃ; মেশকাত ৭৮ পৃঃ; বুলগুল মারাম ২০ পৃঃ)
“আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাই, তার আছর থেকে, তার অহঙ্কার থেকে ও তার খারাপ অনুভূতি থেকে” (আহমদ: ৩/৫০; আবু দাউদ: ৭৭৫; তিরমিযি: ২৪২) ইত্যাদি
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রত্যেক বার সুরা ফাতেহার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়বে কারণ ওটা এর একটি আয়াত (দারা কুতনী, বুলগুল মারাম ২১ পৃঃ)

আমি আপনাকে সাতটি বারবার প্রঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি (হিজরঃ আয়াত-৮৭)
সুরা ফাতেহার এক নাম নামায (মুসলিম ১ম খন্ড ১৬৯ পৃঃ)

কির-আতুন অর্থঃ কোরআন আবৃত করা (মাওলানা মহিউদ্দিন খান সংকলিত আরবী বাংলা অভিধান আল কাউসার ৫০৩ পৃঃ)

মাওঃ আশরাফ আলী থানভী (রাঃ)- কোরআন পাঠ করাকে কিরাত বলে (বেহেশতী জেওর ১৫০ পৃঃ)

সুরা ফাতেহা কি কোরআনের অংশ ?

কোন কিছু আরম্ভ করার নাম ফাতেহা । সুরা ফাতেহা কুরআনের মুখবন্ধ, উম্মুল কুরআন- কুরআনের মা । সুরা ফাতেহা কুরআনের অংশ নয় ।

কুরআন ৩০ পারায় সীমাবদ্ধ, প্রথম পারা আরম্ভ হলো আলিফ লাম মিম দিয়ে এবং শেষ পারার শেষ হলো মিনাল জিন্নাতে ওয়ান্নাস । সুরা ফাতেহা এর মধ্যে নেই ।

তাছাড়া মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন- ওয়া লাকাল আতায়াইনাকা সাবআম মিনাল মাছানী ওয়াল কুরআনাল আযীম (হিজরঃ আয়াত ৮৭)

অর্থ- হে রাসুল! আপনাকে এমন সাতটা আয়াত দান করেছি যা সব সময় পড়ার উপযোগী এবং আপনাকে দান করেছি মহান কুরআন ।

উদ্ধৃত আয়াতে আল্লাহ সাবা-মাছানী (সুরা ফাতেহা) এবং মহান কুরআনকে পৃথক বলেছেন ।

রাসুল (সঃ) উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) কে বললেন- তোমাকে এমন একটি সুরার কথা বলব যার মত সুরা তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে নেই ।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম- হে রাসুল (সঃ)! সেই সুরাটি কি ? তিনি (সঃ) বললেন- নামাযের প্রারম্ভে তোমরা কি পাঠ কর ? আমি বললাম, আল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন । তিনি (সঃ) বললেন এই সুরা সেটি (বিস্তারিত তাফসির ইবনে কাসির ১ম খন্ড পৃঃ ৫৭ ও ৫৮)

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ও জানতেন, কুরআন এবং সুরা ফাতেহা এক নয় । যেহেতু তিনি বলেছেন, মুক্তাদীদের কিরআত পড়া জায়েয নেই । সুরা ফাতেহা পড়াও জায়েয নেই (মেশকাত ২য় খন্ড কিতাবুস সালাহ, মাদ্রাসার আলেম ক্লাশে পাঠ্য ৩য় সংস্করণ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ ইং ৩৩০ পৃঃ ইমামের পিছনে কিরআত পড়ার ব্যাপারে মতভেদ দ্রঃ)

সাহাবায়ে কেরামগণ ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়তেন (বায়হাকী ২য় খন্ড ১৭০ পৃঃ)

ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়বে । ইমাম দ্রুত পড়লে তার পরে পড়বে অথবা তার সাথে সাথে পড়বে । কোন অবস্থায় ছাড়বে না (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ)
«لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب».
যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়বে না তার নামায হবে না (কেতাবুল কেরাত বায়হাকী ৪৭ পৃঃ; আরবী বুখারী ১ম খন্ড ১০৪ পৃঃ; মুসলিম ১৬৯ পৃঃ; আবু দাউদ ১০১ পৃঃ; নাসাঈ ১৪৬ পৃঃ; ইবনু মাযাহ ৬১ পৃঃ; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ৯৫ পৃঃ)

উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) বলেন, আমরা ফজরের নামায রাসুল (সঃ) এর পিছনে পড়ছিলাম । অতঃপর রাসুল (সঃ) পড়লেন কিন্তু তাঁর কেরাত তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে যখন তিনি নামায থেকে ফারেগ হলেন তখন বললেন মনে হয় তোমরা ইমামের পিছনে কেরাত পড়েছ ? তখন সবাই বললেন হ্যাঁ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) ; তখন রাসুল (সঃ) বললেন
«لا تفعلوا إلا بفاتحة الكتاب؛ فإنه لا صلاةَ لمن لم يقرأْ بها».
ইমামের পিছনে কিছুই পড়বে না সুরা ফাতেহা ব্যতীত । যে ব্যক্তি সুরা ফাতেহা পড়বে না তাঁর নামায হবে না (দেখুন, আবু দাউদ আরবী ১ম খন্ড ১১৯ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ৩৪/৪১ পৃঃ; দারা কুতনী আরবী ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ; যুযউল কেরাত বুখারী ২৮ পৃঃ; সুনানে কুবরা ২য় খন্ড ১৬৫ পৃঃ; মুসতাদ্‌রাকে হাকেম ১ম খন্ড ২৩৮ পৃঃ; যুযউল কেরাত ১২, ২২ পৃঃ; কেতাবুল কেরাত ৪৪ পৃঃ)

হযরত উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) আমাদের ঐ নামায পড়ালেন যে নামাযে কেরাত উচ্চ স্বরে পড়তে হয় । রাসুল (সঃ) বললেন যখন আমি জোরে কেরাত পড়ব তখন তোমাদের ভিতরে কেউ সুরা ফাতেহা ছাড়া কিছুই পড়বে না (নাসাঈ আরবী ১ম খন্ড ১১২ পৃঃ; কেতাবুল কেরাত বায়হাকী ৪৩ পৃঃ)

হযরত উবাদা বিন সামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুল (সঃ) এর নিকট হতে শুনেছি, তিনি বলেছেন যে ব্যক্তি সুরা ফাতেহা পাঠ করল না তার নামাযই হয়নি । তা সে ব্যক্তি ইমাম হোক বা ইমাম ছাড়া অন্য কেউ হোক (কেতাবুল কেরাত বায়হাকী আরবী ৪১ পৃঃ)

হযরত উবাদা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়ে সে যেন সুরা ফাতেহা পড়ে (জামেউস সাগির ৩য় খন্ড ৩৭০ পৃঃ)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি নামায পড়বে আর তার ভিতরে সুরা ফাতেহা পড়বে না, তার নামায অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ । আবু হুরায়রাহ (রাঃ) কে বলা হল, আমরা ইমামের পিছনে থাকি তাওকি পড়া লাগবে? তিনি বললেন হ্যাঁ আস্তে আস্তে পড় । কেননা আমি রাসুল (সঃ) বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন আমি নামায (সুরা ফাতেহা) কে আমার এবং আমার বান্দার মধ্যে দুই ভাগে ভাগ করেছি (শেষ পর্যন্ত) (সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড ১৭০, ১৮৯ পৃঃ; যুযউল কেরাত বুখারী ৩, ২৩, ২৮ পৃঃ; কেতাবুল কেরাত বায়হাকী ১৮, ১৯, ২৫, ২২-২৩ পৃঃ)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে রাসুল (সঃ) নামায পড়িয়ে আমাদের দিকে ফিরে বললেন, তোমরা কি ইমামের পিছনে কিছু পড় ? কিছু লোক বললেন আমরা পড়ি । আর কিছু লোক বললেন আমরা পড়ি না । রাসুল (সঃ) বললেন তোমরা সুরা ফাতেহা পড়বে (কেতাবুল কেরাত ৫১ পৃঃ)
«لا، إلا أن يقرأ أحدكم بفاتحة الكتاب»
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে রাসুল (সঃ) সাহাবায়ে কেরামদের নামায পড়ালেন । নামায শেষে সাহাবসদের দিকে ফিরলেন এবং বললেন যখন ইমাম কেরাত পড়ে তখন তোমরাও কি নামাযে কেরাত পড় ? সাহাবারা চুপ থাকলেন । (এভাবে) তিন বার জিজ্ঞেস করলেন । তখন একজন অথবা তার বেশি লোক বললেন হ্যাঁ আমরা অবশ্যই পড়ি । রাসুল (সঃ) বললেন এরকম করবেনা । তোমাদের প্রত্যেকে শুধু সুরা ফাতেহা মনে মনে পড়বে (বায়হাকী ২য় খন্ড ১৬৬ পৃঃ; দারা কুতনী ১ম খন্ড ১৪৯ পৃঃ)

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন রাসুল (সঃ) বলেছেন, আমি যখন পড়ি তখন তোমরা কি আমার পিছনে কেরাত পড় ? এরকম করবেনা । তোমাদের প্রত্যেকে সুরা ফাতেহা মনে মনে অর্থাৎ আস্তে পড় (কান্‌যুল উম্মাল হাশিয়া মুসনাদে আহমাদ ২য় খন্ড ১৮৬ পৃঃ)

সুরা ফাতেহা ইমামের আগে, পরে, সাথে সব সময় পড়া যায় দেখুন (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ; বায়হাকী ২য় খন্ড ১৭১ পৃঃ)

ইয়াযিদ বিন শারিক হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকিট ইমামের পিছনে কেরাত পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন । ওমর (রাঃ) বললেন, সুরা ফাতেহা পড় । আমি বললাম যদি আপনি ইমাম হন ? তিনি বললেন, যদিও আমি ইমাম হই । আমি বললাম যদি উচ্চ স্বরে পড়েন ? তিনি বললেন যদিও আমি উচ্চ স্বরে পড়ি তখনও সুরা ফাতেহা পড় (আসারটি ইমাম বুখারী তার যুয্‌উল কেরাতে ১৫ পৃঃ এবং তারিখে কবিরের ২য় খন্ড ৩৪০ পৃঃ; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বার ১ম খন্ড ৩৭৩ পৃঃ; সুনানে দারা কুতনী ১ম খন্ড ৩১৭ পৃঃ; ইমাম বায়হাকী সুনানে কুব্‌রার ২য় খন্ড ১৬৭ পৃষ্টায় বর্ণিত হয়েছে)

হাকাম এবং হাম্মাদ বলেন হযরত আলী (রাঃ) ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়ার হুকুম দিতেন (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ১ম খন্ড ৩৭৩ পৃঃ)

ইমাম শাফেঈ (রঃ) বলেন সুরা ফাতেহা প্রত্যেক রাকাতে পড়া ফরয । যদি কোন রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া নামাযী ছেড়ে দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হবে । শায়খ আবু হামেদ আসফারইনী বলেন এই কথার উপর সমস্ত সাহাবাগণের ইজমা রয়েছে এবং হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত ওমর (রাঃ) হযরত আলী (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) ও এই একই কথায় বলেছেন দেখুন (তাফসিরে কবীর ১ম খন্ড ২১৬ পৃঃ)

ইমাম হাসান বসরী (রহঃ) বলতেন, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা আস্তে পড় (বায়হাকী ২য় খন্ড ১৭১ পৃঃ; ইবনে আবি শায়বা ১ম খন্ড ৩৭৩ পৃঃ)

যখন ইমাম জোরে পড়তেন না তখন ইমাম ইবনে শিহাব ইমামের পিছনে সুরা পড়তেন (কেতাবুল কেরাত ১০০ পৃঃ)

ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন- অসংখ্য তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈন, যাদের গণনা করা সম্ভব নয়, তারা সবাই বলেন মুক্তাদি ইমামের পিছনে (সুরা ফাতেহা) যেন অবশ্যই পড়ে, যদিও ইমাম উচ্চ স্বরে কেরাত পড়ে (কেতাবুত কেরাত বায়হাকী ৭১ পৃঃ)

ইমাম তিরমিযী বলেন- বহু আহলে ইলম সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন এবং তাদের পরবর্তী আহলে ইলম ইমামের পিছনে কেরাত পড়ার পক্ষপাতি (তিরমিযী ১ম খন্ড ৪২ পৃঃ)

হানাফী মাযহাবের দলিল

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদের (রহঃ) এই মসলায় দুটি কওল রয়েছে । একটি হল, মুক্তাদির জন্য সুরা ফাতেহা পড়া না ওয়াজেব না সুন্নাত । আর এটা তাদের প্রথম সিদ্ধান্ত । ইমাম মোহাম্মদ তাঁর প্রথম লেখনীর ভিতরে ঐ উক্তিটি অর্থাৎ প্রথম মতটি তুলে ধরেছিলেন আর সেই লেখনী গুলি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল । এইজন্য তাঁদের প্রথম সিদ্ধান্তটি বেশি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে । দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি হল, মুক্তাদির জন্য ইমামের পিছিনে সুরা ফাতেহা পড়া সর্তকতা মুলক ভাবে উত্তম দেখুন (গাইসুল গাম্মাম হাশিয়া ইমামুল কালাম ১৫৬ পৃঃ)

বাদশা আলমগীরের ওস্তাদ মোল্লাজিওন (রহঃ) বলেন- সুফী কেরামদের জামাত এবং মাশায়েখে হানাফীয়াদের যদি দেখ তাহলে তোমরা জানতে পারবে এসব বুজুর্গানে দীন ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া মুক্তাদিদের জন্য ‘মুস্‌তাহসান’ উত্তম জানতেন (তাফসীরে আহমাদী ২৮১ পৃঃ)

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) ও মোহাম্মাদ (রহঃ) এর নিকট ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়ায় কোন অসুবিধা নাই (জামে রমুজ ১ম খন্ড ৭৬ পৃঃ; মিসখুল খেতাম ১ম খন্ড ২১৯ পৃঃ)

ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া সতর্কতামুলক মুস্তাহসান বা উত্তম (হেদায়া ১ম খন্ড ১০১ পৃঃ)

আমাদের অনেক ফুকাহায়ে হানাফী সকল নামাযে মুক্তাদির জন্য ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া মুস্‌তাহসান বা উত্তম জানতেন (উমদাতুল কারী শরাহ বুখারী ৩য় খন্ড ২৯ পৃঃ)

যদি ইমাম জোরে পড়ে তাহলে মুক্তাদি ইমামের সাক্তার সময় পড়বে । আর যদি ইমাম আস্তে আস্তে পড়ে কেরাত পড়ে তাহলে মুক্তাদি যখন খুশি পড়বে তার ইচ্ছা । সুরা ফাতেহার ব্যাপারে এ পদ্ধতিটা অনুসরণ করা উচিত । যাতে ইমামের কেরাতের অসুবিধা না হয় । অর্থাৎ আস্তে আস্তে পড়বে আর ইমামের পিছনে পড়াটাই আমার কাছে উত্তম (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ২য় খন্ড ৯ পৃঃ)

ইমামের সাক্তার সময় যদি সুরা ফাতেহা পড় তাহলে অসুবিধা নাই (সাবিলুর রশাদ ২০, ২১)

মুক্তাদির জন্য সুরা ফাতেহা পড়া (মুবাহ্) বৈধ, অন্য কিছু নৈধ নয় (ফসলুল খেতাব ১১৮, ২৭৮ পৃঃ)

বাংলাদেশের শামসুল হক ফরিদপুরী (সদর সাহেব হুজুর রহঃ) তিনি বলেন- যদি কোন হানাফী মাযহাবের লোক জোরে আমিন বলে এবং ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়ে তাহলে তার হানাফিয়াত টুটিয়া যাইবে না বরং আরও মজবুত হইবে (ওসিয়াতনামায় ৭ নং ওসিয়াত)

কোন মারফু সহীহ হাদিসে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা না পড়ার কথা বর্ণিত হয় নাই । আর এ সম্পর্কে উলামায়ে হানাফীগণ যত দলিল উল্লেখ করেন, তা হয় তার কোন ভিত্তি নেই, মনগড়া, আর না হয় সেটা সহিহ নয় (তালিকুল মুমাজ্জাদ ১০১ পৃঃ)

ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়ার আরও দলিল দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৫, ৭৬৬, ৭৯৪; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৫, ৭৬৬, ৭৯৪; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৪৪১; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭১২; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৫৬; বুলগুল মারাম ইবনু হাজার আসকালানী ১ম খন্ড হাঃ ২১৭;

বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭১৮; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬১; আবু দাউদ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮২১, ৮২২, ৮২৩, ৮২৪; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ২৪৭; ইবনে মাযাহ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৩৭, ৮৩৮; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ ইঃ ফাঃ হাঃ ১১৫; মুয়াত্তা ইমাম মালিক ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড রেওয়ায়েত ২৩৫, ২৩৬; বেহেশতি জেওর ২য় খন্ড নামাযের ওয়াজিব মাসআলা ২ ও ৩; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নুর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ২৯৮)

জানাতে পারেনঃ-
১২) জামায়াতে নামায পড়ার সময় মুক্তদির সুরা ফাতেহা পড়তে হবে না এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ।

(চলবে)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭



সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪



২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্রপতি হিসাবে ড. ইউনুসের বিকল্প বাংলাদেশে নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪


রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেবের মন ভালো নেই। জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তিনি রীতিমতো কোণঠাসা! শেখ হাসিনা ভারতে প্রস্থানের পূর্বে তাকে জানিয়ে যান নি। শেখ হাসিনা চুপ্পু সাহেবকে উনার দুরবস্থার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×