মাত্র ৬১টি স্কুল পোড়ানো হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত হয়ত তা পাঁচ শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। নির্বাচন কি বন্ধ হবে তাতে? হবে না। যেমন হয়নি জিয়ার হ্যাঁ না ভোট, এরশাদের ৮৮'র নির্বাচন, ৯৬'র বেগম জিয়ার নির্বাচন। এভাবে নির্বাচন বন্ধ করার ইতিহাস নাই আমাদের। এভাবে স্কুল পোড়ানোর ইতিহাসও নাই। ইতিহাস নাই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার।
একটা স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়ার মানে শুধু একটা ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া নয়, শত সহস্র শিশুর স্বপ্নকে জ্বালিয়ে দেয়া। তাদের ভবিষ্যত জ্বালিয়ে দেওয়া। একেকটি শিশুর চোখে, পড়ে থাকা স্কুলের এক একটি পোড়া টুকরো যেন তার ভবিষ্যত জীবনের প্রতিচ্ছবি। যা তাদের দেওয়া আমাদের ব্যর্থ রাজনীতির উপহার। একটা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাষ্ট্রের জন্য যে কতো ভয়াভহ হতে পারে স্কুলে আগুন দেওয়া তার জলন্ত প্রমান। একতরফা নির্বাচন যদি গনতন্ত্র না হয় তবে এসব কেমন গনতন্ত্র? এমন গনতন্ত্রই বা কার কাম্য?
চাই না এমন গনতন্ত্র। যে দেশ স্বাধীনতার স্বপক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তিতে বিভক্ত থাকে সে দেশে সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক চর্চার আশা করাটা বোকামি। সেই দেশেই শক্তিশালী গনতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব যেই দেশে সবার মধ্যে দেশাত্ববোধ থাকবে। স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দ্বিধাহীন থাকবে। তাই গনতন্ত্রের বুলি আওরানোর আগে জাতীয়তা ঠিক করুন। আর পেশির জোরে ক্ষমতায় টিকতে চাইলে স্বাধীনতা বিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের নির্মূল করতে হবে।