-আতিক মাহামুদ রোমেল
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অর্থনীতির এই দুরন্ত অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে ২০২১সালে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে দেশকে মধ্যম আয়ে উন্নিত করার লক্ষ্যে ২০১৬-২০২০ মেয়াদে পাঁচ বছরের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার। ২০ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের কনফারেন্স কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ মহাপরিকল্পনার খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
এর আগে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি বিভাগ এই খসড়াটি তৈরি করে। অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদের নেতৃত্বে অর্থনীতিবিদদের একটি প্যানেল গত এক বছর ধরে খাত ও উপখাতভিত্তিক ৩০টি গবেষণাপত্র এবং ৫৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে বিষয়ভিত্তিক তথ্য নিয়ে এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। আগামী পাঁচ বছর মেয়াদী অর্থনীতির এই নতুন রুপরেখায় সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮শতাংশ, যা পাঁচ বছরে গড়ে ৭ দশমিক ৪শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ে দেশে এবং বিদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অধিক কর্মসংস্থানের ফলে দারিদ্রতা ২৪.৮% থেকে হ্রাস পেয়ে ১৮.৬%-এ নেমে আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ হবে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যা সরকারি ও বেসরকারি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রেমিটেন্স প্রবাহের উচ্চ মাত্রা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সামাজিক ও মানবিক সূচকে অভূতপূর্বক সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রযাত্রা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
“প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, নাগরিকের ক্ষমতায়ন” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রস্তুতকৃত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চুড়ান্ত এই খসড়ায় বলা হয়, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য নিরসনের সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়নকে প্রতিপাদ্য করে নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের আয় বণ্টন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যতম কৌশল হবে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগে গতিশীলতা আনা। একইসঙ্গে সর্বাধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা। সভায় আরও জানানো হয়, ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে মূলধন ও শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রফতানিমুখী বাণিজ্য ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি টেকসই, সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ুসহিষ্ণু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হচ্ছে এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।
৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
নতুন এই পরিকল্পনায় ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গড় হার ৬.৫ ভাগের মধ্যেই আটকে আছে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, “রাজনৈতিক হাঙ্গামা মাথায় রেখেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। না হলে ৯ থেকে ১০ শতাংশ ধরা হত।” পরিকল্পনার মেয়াদকালের প্রথম বছর অর্থাৎ চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পরবর্তি বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ৭.২, ৭.৪, ৭.৬ হারে বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। এই সময়ে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বাড়বে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হিসাবে জিডিপির ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে জিডিপি ও রাজস্বের অনুপাত বৃদ্ধি করা হবে। ২০২০ সালে এ অনুপাত দাঁড়াবে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন এ অনুপাত প্রায় ১১ শতাংশ।
কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরত্ত্বারোপ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আলোকে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এর জন্য দেশি- বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে। বর্তমানে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০ লাখ তরুন-তরুনী কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। সে হিসেবে পাঁচ বছরে প্রায় এক কোটি লোক কর্মবাজারে আসবে। যেহেতু শ্রমবাজারে আসা লোকের চেয়ে কর্মসংস্থান বেশি হবে সেহেতু বেকারত্বের হার কমে যাবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিভিন্ন প্রনোদনার ফলে দারিদ্র্যতার হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। অতিদারিদ্র্যের হার ২০২০ সালের মধ্যে ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে, যা বর্তমানে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীন অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে পরিকল্পনায়।
রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স
২০২০ সাল নাগাদ রপ্তানি আয় ৫৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে নতুন এই পরিকল্পনায়। বর্তমানে যা ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমত্রা অর্জনের জন্য শিল্পখাতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশি- বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার কথা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ জন্য শিল্প খাতের ব্যাপক প্রসার, রপ্তানি পন্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পন্য সৃষ্টি এবং রপ্তানিমুখী বানিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ প্রণোদনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালে বর্তমানের ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি উন্নীত হবে ৭২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বৃহৎ খাত হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যার পরিমান ছিলো প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬-২০ মেয়াদে দেশে প্রবাসী আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৫৮ কোটি মার্কিন ডলার। যা বাৎসরিক গড়ে ২০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার প্রায়।
সামাজিক নিরাপত্তা
সামাজিক সুরক্ষা খাতে নানামূখী কর্মসূচীর প্রক্ষেপণ করা হয়েছে নতুন এই পরিকল্পনায়। দেশের সব নাগরিকের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, শহরে শতভাগ ও গ্রামে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে পরিকল্পনায়। এ ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা হবে ২০২০ সালের মধ্যে। এই সময়ে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ উচ্চশিক্ষিত হবে। মাতৃমৃত্যু হার ১৭০ থেকে ১০৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বাধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য বাজেট বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ০২ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে জিডিপির ২ দশমিক ৩০ ভাগে উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি, ‘গবেষণা কার্যক্রমকেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনায়। গবেষণা ব্যয় জিডিপি’র শূন্য দশমিক ছয় ভাগ থেকে বাড়িয়ে এক ভাগে উন্নীত করা হবে।
অবকাঠামো উন্নয়ন
বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আরো গতিশীল করতে অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনায়। জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নিত করা হবে। এ সময়ের মধ্যে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল, মাতারবাড়িসহ বেশ কয়েটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। শুধুমাত্র আগামী পাঁচ বছরেই দেশে নতুন করে ১২ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে ৭ হাজার ৬৮২ মেগাওয়াট ও বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৯০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনার খসড়ায়।
যোগাযোগ ক্ষেত্রেও আগামী পাঁচ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। পরিকল্পনায় ৮৫৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মানের কথা বলা হয়েছে। পরিকল্পনা মেয়াদকালে পদ্মা সেতু ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ন জাতীয় মহাসড়কগুলো চারলেনে উন্নিত করন, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল, কর্নফুলির তলদেশে টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিনিয়োগ
বিশাল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ হবে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর সরকার বিনিয়োগ করবে ৭ লাখ ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে জিডিপির ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে জিডিপি ও রাজস্বের অনুপাত বৃদ্ধি করা হবে। ২০২০ সালে এ অনুপাত দাঁড়াবে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন এ অনুপাত প্রায় ১১ শতাংশ।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ৩১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রাক্কলন করা হয়েছে। মোট বিনিয়োগের ৭৭ দশমিক ৩ ভাগ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। বাকি ২২ দশমিক ৭ ভাগ আসবে সরকারি খাত থেকে।
মোট বিনিয়োগের ৯০ দশমিক চার শতাংশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে আহরণ করা হবে। যার পরিমান ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বাকি নয় দশমিক ছয় শতাংশ অর্থাৎ ৩ লাখ ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে। মোট বিনিয়োগ বর্তমান জিডিপি’র ২৮ দশমিক নয় শতাংশ থেকে ২০২০ সালে জিডিপি’র ৩৪ দশমিক চার শতাংশে উন্নীত করা হবে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি ২০২০ সালে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে। এজন্য ২০২০ সাল নাগাদ রাজস্ব ও জিডিপি’র অনুপাত বর্তমানের ১০ দশমিক আট ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১৬ দশমিক এক ভাগে উন্নীত করা হবে।
২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করবে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের বৃও থেকে মধ্যম আয়ে উন্নিত করে সমৃদ্ধির পথে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্য অর্জনে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। যা অর্জিত হলে বাংলাদেশ পৌছতে পারবে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮