somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার অনেক দিনে গবেষণার ফসল এই বিপ্লবী পোস্ট। ব্লগ এবং ব্লগারদের শক্তি সম্বন্ধে আশা করি আপনারা সবাই এখন অবগত। আমি মেইনস্টৃম মিডিয়াতে যাবার আগে এই ব্লগেই আপনার কাছে আমার এই বিপ্লবী বার্তা পৌছাতে চাই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অনেক দিনে গবেষণার ফসল এই বিপ্লবী পোস্ট। ব্লগ এবং ব্লগারদের শক্তি সম্বন্ধে আশা করি আপনারা সবাই এখন অবগত। আমি মেইনস্টৃম মিডিয়াতে যাবার আগে এই ব্লগেই আপনার কাছে আমার এই বিপ্লবী বার্তা পৌছাতে চাই।

আসুন, আমার জগতে।

আপনি জানেন, ভাষার উদ্দেশ্য সহজে ভাব বিনিময়।
সময়ের সাথে সাথে ভাষার বিবর্তন ঘটবেই। কোন কিছুই স্থির থাকবে না। নদীর ঢেউ বয়ে যাবেই। ভাষাও নদীর মতোই।
কিছু মুখচেনা বিশেষজ্ঞ যে অচলায়তন আঁকড়ে ধরে আছেন, তাদেরকে একটা পুশ দিতেই এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই।
আধমরাদের ঘা মেরে আমাদেরই বাচাতে হবে।
আমাদের কাউকে বা না কাউকে তা অবশ্যই শুরু করতে হবে।
কারণ, আমাদের মেইন ফোকাসটা হওয়া উচিত প্রো-পিপল।
মানুষের কাছাকাছি।
মানুষের জন্য।
এজন্যে আমরা ব্লগাররাই এই অল্টারনেটিভ মিডিয়াতে আমাদের ভাবনাগুলো একত্রিত করতে পারি। পারি একে সাধারণের আরো কাছে নিয়ে যাবার প্রথম পদক্ষেপটা ফেলতে।

আসুন তবে সংস্কার হোক, বাংলা বর্ণমালায়।
কেন? নিম্নে দেয়া যুক্তিগুলো পড়ুন খোলা মন নিয়ে?
যে কোনো সমালোচনা সাদরে স্বাগতম।

র১ডী, ১.২.৩....

_____--_____
র, ড়, ঢ় বিভীষিকা
_____--_____
ভেবে দেখুব তো,
র, ড়, ঢ় কয় রকমের র দরকার আমাদের বর্ণমালায়?
মনের ভাব সহজে প্রকাশের জন্যই তো ভাষা, নাকি?
তাহলে এই তিন বর্ণ "র/ড়/ঢ়" দের মাধ্যমে কি মনের ভাবটা সহজে প্রকাশ হচ্ছে?
বর্তমানে, মৌখিকরূপে এদের ফারাক এতোটাই কমে গিয়েছে যে এদের একীভূত করে একটি বর্ণতেই আনা যায়।
কি, ব্লগার বন্ধুরা,সত্যি করে বলুন তো কখনো মনে হয়নি এত র/ড়/ঢ় এর কী প্রয়োজন?
লৈখিক রূপে এদের পার্থক্য ঘোচানোর দিন কী এখনো আসেনি?

_____
স, শ, ষ
_____
তেমনিভাবে,
স, শ, ষ তিনটি বণ যেকোনো একটি রাখা হোক। অথবা, যে কোনো একটি বর্ণ আপাতত: ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হোক। (আমার রিকমেন্ডশন-ষ)

____
ন, ণ
____
বাংলা বর্ণমালা হতে ন, ণ এই দুটোর যেকোনো একটি রাখা হোক।
ণ, এই বর্ণটির ব্যবহার আসলে খুব শিগগিরই কমিয়ে বিলুপ্ত করা যায়; কোনো সাইড এফেক্ট ছাড়াই ।

____
ং ঙ
____
উপরের বর্ণ দু'টি দেখুন ং আর ঙ । এদের উচ্চারণ প্রায় ৯৮% একই রকম । কিন্তু এরা আলাদা বর্ণ আমাদের প্রিয় বর্ণমালায়। একটিকে বেছে নিয়ে কী বর্ণমালাকে বিভীষিকামুক্ত করা যায় না। আমার রিকমেন্ডেশন ঙ এর ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে বিলুপ্ত করে ভাষাকে সহজ করা।
অনেক ভাষা সন্ত্রাসী বাংলা, বাংলাদেশকে বলে বাঙলা, বাঙলাদেশ। যেমন, মৃত হুমায়ূন আজাদ ও তার অনুসারীরা। তাদেরকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে ভুলটা।

_________
অকারণ য-ফলা (ট্যাক্স=টেক্স)
_________
এই শব্দগুলো দেখুন তো, এভাবে লেখা যায় কিনা!
ব্যবসা=বেবসা;
ব্যাংক=বেংক;
ব্যক্তি=বেক্তি;
ব্যাকরণ=বেকরন;
কী? দেখতে খারাপ লাগছে?!
কী মনে হচ্ছে? বাংলা ব্যাকরণের মহাভারত ড্যাশ ড্যাশ ড্যাশ!!
এভাবে লেখা চালু করলে কেমন হয়? নিশ্চয়ই ভালো হয়।

_________
স্থ সমাচার
_________
স্থ জিনিসটার মাজেজা কী?!
এটা কী স+হ এর মতো উচ্চারণ হচ্ছে!?
দেখুনতো কোনো লজিক আছে কী?
অবস্থা, ব্যবস্থাপনা, গৃহস্থ এগুলোকে অবসথা, বেবসথাপনা, গৃহসথ লিখলে কী সমস্যা?
স্থ-এর কোন দরকার আছে কী?????

________

________
এর কোনো দরকার আছে???
অদরকারী একটা বর্ণ। বিদায় করা হোক, এটা।
আমরা 'ঋতু', 'ঋণ', 'ঋষি' কে যথাক্রমে 'রীতু', 'রীশী', 'রীন' লিখেই মনের ভাব বোঝাতে পারবো, এবং এটা হবে একটা স্মার্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়ে।



==========
এ-কার (ে) বিভীষিকা
===========

বাংলাতো বৈজ্ঞানিকভাবে সবচেয়ে পিউর ভাষা, নয় কি?
বাংলা যদি এতই সায়েন্টিফিক ভাষা হয়, তাহলে এ-কার (ে) এর অবস্থান নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই কেনো?

অর্থাৎ, বেলা = ব্ + এ + ল্ + আ
এখানে, এ-কার (ে) টা কেনো ব এর আগে বসলো?
এইটা বাংলা ভাষায় অযৌক্তিক।

তাহলে, অর্থাৎ এই এ-কার(ে) চিহ্নটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
নতুন ভাবে, বেলা = ব১লা এভাবে লেখা শুরু করা যায় কি??
এভাবে,
তেল = ত১ল;
মেলা = ম১লা;
ঢেউ = ঢ১উ


=================
হ্রস্ব ই কার (ি) বিভীষিকা
=================
উপরের মতোন একই যুক্তি; বাংলাতো বৈজ্ঞানিকভাবে সবচেয়ে পিউর ভাষা, নয় কি?
বাংলা যদি এতই সায়েন্টিফিক ভাষা হয়, তাহলে ি এর অবস্থান নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই কেনো?

অর্থাৎ, মিল = ম্ + ই + ল
এখানে, ই-কার (ি) টা কেনো ম এর আগে বসলো? কেনো? ক১নূ?
এইটা বাংলা ভাষায় অযৌক্তিক।
তাই ি কার অবলুপ্ত করে ী চিহ্ন দিয়ে সবকিছু লেখা উচিত।
য১মন,
লিচু = লীচু
নিমপাতা = নীমপাতা
ইত্যাদি = ইত্তাদী


=================
ও-কার (ো) বিভীষিকা
=================

যেহেতু(য১হ১তু) আগেই(আগ১ই) দীর্ঘ ঊ-কার(ূ) বিলুপ্ত করার প্রস্তাবনা ছিলো(ছীলূ)। তাই দীর্ঘ ঊ-কারের প্রতীকক১ (ূ) ো-কার হিসেবে(হীস১ব১) ব্যবহার(ব১বহার) করার জোর(জূর) দাবী জানাচ্ছী।

উদাহরণ:
কোথায়= কূথায়
পোনা মাছ=পূনা মাছ
ঠোলা = ঠূলা
কাদের মোল্লা = কাদ১র মূল্লা!

=====
আজকে এই পর্যন্তই।
তাহলে, প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা একটু ভাবুন তো, আপনি কী আপনার প্রিয় ভাষাকে সহজরূপে দেখতে চান না? ভাষাকে বিভীষিকামুক্ত করতে চান না? আমাদের এজন্য যা যৌক্তিক তা বলতে হবে। কোদালকে কোদালই বলতে হবে। চোখ মেলতে হবে।
আমরা না জাগলে তো সকাল হবে না। আমাদের ভাষাকে আমাদেরই সংস্কার করতে হবে। সেটা কোনো এলিয়েন এসে করে দিয়ে যাবে না।

তাই, আলোচনা করুন। ছড়িয়ে দিন এই বিপ্লব।
আমরা বাংলাকে বিজ্ঞানসম্মতরুপে দেখতে চাই।

জয় বাংলা।
জয় ভাষা।
জয় ব্লগ।
জয় মুক্তমন।
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×