somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপূর্ণতা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





মনে মনে ভেবে রেখেছেন খুব লক্ষ্মী টাইপের বৌ হবেন আপনি। দুজনে মিলে খুব দারুণ ভাবে সংসার করবেন।আপনাদের ঘর আলো করে ফুটফুটে একটা সন্তান আসবে, তার নাম নিয়ে ভাবেন, ছেলে সন্তান হলে কি নাম রাখবেন, কিংবা মেয়ে হলে, এসব ভাবতে ভাবতে স্বপ্নের মতো আপনার দিন যায়।

একটা ছেলের সঙ্গে আপনার কয়েক বছরের সম্পর্ক। আপনি আপনার জীবনের সবকিছু তাকে দিয়ে দিয়েছেন।(মেয়েদের সবচেয়ে দামি সম্পদ)
কিভাবে আপনি তার সাথে সংসার করবেন এই জিনিস গুলো আপনি প্রতিনিয়ত ভাবেন।

একদিন ছেলেটা এসে কোন কারণ ছাড়াই বললো
শোন তোমার সাথে আমার আর যাচ্ছে না। আমাদের ব্রেকআপের দরকার, তুমি তোমার পথ দেখো, আমি আমারটা দেখি, কি করবেন আপনি ?

একটা মেয়েকে আপনি প্রচন্ডভাবে ভালোবাসেন।
সারাদিন তার কথা ভাবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা সে আপনার মাথায় ঘুরে বেড়ায়। দ্বিতীয় কোন মেয়ের অস্তিত্ব আপনার জীবনে কল্পনা করতে পারেন না।আপনি ভাবতে-ই পারেন না তাকে ছাড়া কিছু। কিন্তু ভয়ে সেই ভালোবাসার কথা বলতে পারছেন না।

এভাবে চলতে লাগলো দীর্ঘদিন তারপর মনে সাহস নিয়ে বলে-ই ফেললেন সেই মেয়েটাকে। ভিতরে
ভিতরে ভালোবাসার পর আপনি সাহস করে বলে
ফেললেন আপনার সকল আবেগ অনুভূতির কথা।

সব শুনে মেয়েটা আপনাকে বললো সব বুঝলাম কিন্তু আমার তো বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। কিংবা আমার একজন আছে। আমার পক্ষে কাউকে আর ভালোবাসা সম্ভব না, এতো জমানো অনভুতি মেয়েটার একটা মাত্র কথায় সবশেষ ! কি করবেন আপনি?

অথবা, একটা মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক। রাতজেগে কথা বলতে বলতে সকাল হয়ে গেছে এমন ইতিহাস আপনাদের আছে। আপনাদের আছে সামান্য দুঃখে বৃষ্টির রাতে রাতভর কেঁদে কাটানোর ইতিহাস। একদিন আপনাকে দেখতে না পেলে মেয়েটা পাগলের মতো হয়ে যায়। সেই মেয়ে একদিন আপনাকে ফোন দিয়ে বললো

আগামীকাল আমার বিয়ে। ছেলে তোমার চেয়ে অনেক ভালো, ভালো চাকরি করে! তুমি আমাকে আর ডিস্টার্ব করো না প্লিজ। ভালো থাকো" কি করবেন আপনি?

আপনি কি করবেন জানি না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে
আপনার আসলে কিছুই করারও নাই। কেউ আপনার পাশে এসে দাড়াতে না চাইলে, পাশে না থাকতে চাইলে, চলে যেতে চাইলে আপনার করার কিছু থাকে না।

তবুও মানুষ অনেক কিছু করে। নিজেকে কষ্ট দেয়।
সিগারেট না খাওয়া ছেলে বসে গাঁজা খায়। কেউ মদের
বোতল খোলে। বমি করে ঘর ভাসায়। উঠে বসে ঢুলু ঢুলু চোখে শেষরাতে কবিতা লেখে। ক্লাসের সবচেয়ে
বেশি নাম্বার পাওয়া ছাত্র ফেল করে। সারাদিন টই টই
করে বেড়ানো মেয়ে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটায়। নিজের জীবনটাকে নষ্ট করে দেয়।

এসবের আসলে কোন মানে হয় না। গভীরভাবে কাউকে চাওয়ার পর তাকে না পেলে চুপচাপ ফিরে আসতে হয়। তারপ্রতি অভিমান থাকুক, ঘৃণা থাকুক কিংবা থাকুক অনেক প্রশ্ন -সব কিছু নিয়ে ফিরে এসে নিজের জীবনটাকে গোছাতে হয়। ফিরে আসুন!

একটাই মাত্র জীবন পায় মানুষ। হেলায় কারো পথ চেয়ে আশায় কিংবা নিরাশায় শেষ করে দেয়ার জন্য জীবন দেয়া হয় নাই মানুষ কে!

মানুষ প্রেম ভালোবাসাটাকে
যতো টা গুরুত্বপুর্ণ মনে করে জিনিসটা আসলে ততোটা গুরুত্বপুর্ণ না। এইটা একটা বয়সের দাবী মাত্র। এই
বয়সটা চলে গেলেই জীবনের অন্য কোন মানে এসে
দাড়াবে।

কাউকে গভীরভাবে ভালোবাসার পর তাকে পেলে
আপনার কপাল ভালো। না পেলে কপাল খারাপ। জাস্ট
এতোটুকুও। আর কিছু না। এরচেয়ে বড়ো করে দেখতে
গেলেই জীবন আপনার কাছে মূল্যহীন হয়ে যাবে।

একটাই মাত্র জীবন আপনার। কারো জন্য যদি জীবনটা অর্থহীনই করে দিবেন তাহলে আপনার এই জীবন নিয়ে আসার দরকার ছিলো না। জীবনে ভালো থাকাটা খুব গুরুত্বপুর্ণ। ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে অথবা যে আপনাকে ভালোবাসে তাকে নিয়ে কিংবা একলা একলা
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×