somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোপন প্রিয়ার প্রেমপত্র

২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিসাব করে দেখলাম ২২ বছর আগে আমি ক্লাশ এইটে পড়তাম। ১৯৮৮ সাল। হিসাবটা কি ভুল হলো? মনে হয় না। স্কুলে থাকতেই আমার পড়ার অভ্যাসটা ছিল খুবই বেশি। ভাগ্য ভালো আমার বাবা- মা আমাকে স্কুলের বই এর বাইরে অন্য বই পড়তে কখনোই নিষেধ করতো না।

নবাবপুরে আমাদের বাসা। পুরোনো ঢাকা। কান্দুপট্টির খুব কাছে আমাদের সেই বাসা। সেই কান্দুপট্টি আজ নেই। ভয়ে ভয়ে সকলের অগোচরে সেই কিশোরকালে কত যে কান্নি মেরে সেই পতিতালয়ের মেয়েদের দেখেছি, তা হিসাব করে বলতে পারবো না। এক সময় সেটি আমাদের কাছে ডাল ভাত হয়ে গেলো, সেদিকে আমি বা আমরা চেয়েও দেখতাম না। তারপরও তো এক সময় সেটি উঠে গেলো, সেই স্থানে হলো স্টিলের দোকান, খাবার হোটেল, হার্ডওয়ার আর রঙের দোকান। পতিতালয়টি নেই, স্মৃতি আছে, থাকে।

যাহোক ক্লাশ এইটে পড়ার সময় স্কুলের সময়ের পর আমার সময় কাটতো ওসমানি উদ্যানের মহানগর লাইব্রেরিতে। আর যখন স্কুল থাকতো না, তখন বাংলাবাজার। বাংলাবাজারে ঢোকার আগেই জগন্নাথ কলেজের উল্টোদিকেই পুরানো বই এর বাজার। এখন আছে কি? জানা নেই। সেখানেই আমি কাটাতাম অদিকাঙম সময়। কম দামে ভালো বই। মাঝে মাঝে মনে হত অনেক দামী বই কেবল অনেক সময ধরে দেখছি বলে, আমাকে কম দামেই দিয়ে দিত দোকানিরা্ এদের কেউ ছিল আমার মামা, কেউ ভাই আবার কেউবা দাদা। সেই মামা, ভাই আর দাদারা এখনো কেমন আছি জানিনা।
এতো লোকের মধ্যেও একজন আমার বেশ কাছের ছিল। জগন্নাথের গেটের ঠিক উল্টোদিকে দুটি পত্রিকার দোকান। একটি সামনে, আরেকটি পাশের হোটেলের সঙ্গে লাগোয়া। দ্বিতীয় দোকানটি চালাতো এক বৃদ্ধ লোক। শুকনো কাঠির মতো। চোয়ালের হাড় হাড্ডি কেবল চামড়ার সঙ্গে লেগে আছে। স্কুল থেকে কলেজ, তারপর জগন্নাথ। অনেকে টিপ্পনি কেটে বলতো, আমি নাকি বই পড়তেই বাংলাবাজারের পাশে জগন্নাথে ভর্তি হয়েছিলাম।
বেশ কয়েক বছরে সেই লোকটির সঙ্গে আমার দারুন সখ্যতা হয়ে গেলেো। আমার চাচা হয়ে গেলো সে। সেই পত্রিকার দোকানে একটা বই বেশ ভালো বিক্রি হতো। বইটির নাম গোপন প্রিয়ার প্রেমপত্র। ইচ্ছে ছিল চাচার দোকান থেকে সেই বইটি একবার পড়ে নেবো। কিন্তু পারিনি, পড়িনি। আচ্ছা কি আছে সেই বই এ। চাচাকে জিজ্ঞাস করলে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সেই যুবক কখনোই সেই প্রশ্ন করতে পারেনি দোকানি চাচাকে।
আজ সেই বই, সেই দোকানি চাচার কথা খুব মনে পড়ছে। সেই চাচার নাম যেন কি? নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করলাম...

উত্তর এলো, সাগর তুমি সেই চাচার নাম জানো না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:০৯
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×