somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহিলা হজ্ব যাত্রীদের জন্য কিছু জ্ঞাতব্য বিষয় – যারা হজ্বে যাচ্ছেন তারা বিষয়গুলো জেনে গেলে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহিলা হজ্ব যাত্রীদের জন্য কিছু জ্ঞাতব্য বিষয় – যারা হজ্বে যাচ্ছেন তারা বিষয়গুলো জেনে গেলে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।

বছর ঘুরে আবারও হজ্বের মওসুম সমাগত। মুসলিম তীর্থস্থানে যাবার উদ্দেশ্যে যারা তৈরী হচ্ছেন, বিশেষ করে মহিলা হজ্বযাত্রী যারা আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাপ্রসূত কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরতে চাই, যদি কারও কিছুমাত্র উপকারে আসে সেই উদ্দেশ্যে। হজ্বের নিয়ম-কানুন, ফরজ-ওয়াজিব, করণীয়-বর্জনীয় ইত্যাকার বিষয়গুলো এজেন্টরাই ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন। তাছাড়া হজ্ব সম্পর্কিত পুস্তকাদি পড়লেও জানা যায় অনেক কিছু। মনে রাখতে হবে যে, যারা হজ্বে যাচ্ছেন তারা সবাই আল্লাহ তায়ালার খাস মেহমান। কাজেই যত বেশী সম্ভব হজ্ব সম্পর্কিত পুস্তকাদি পড়ে ও অভিজ্ঞ আলেম-ওলামাদের কাছ থেকে খুঁটি-নাটি বিষয়গুলো জেনে নিজকে তৈরী করে নিবেন। যেন আল্লাহর ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর আগেই আপনার মন চলে যায় সেখানে। যেন সেখানে গিয়ে আপনার জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে কখনও কোন প্রকার বেয়াদবী প্রকাশ হয়ে না পড়ে। আমরা সকলেই জানি যে, মক্কা ও মদিনার প্রতিটি স্থান, প্রতিটি ধূলিকণা, গাছ-লতা-পাতা পবিত্র। নবী করিম (সাঃ) এর পদষ্পর্শ মিশে আছে এই দুই নগরীর ধূলিকণায়। কাজেই যারা আল্লাহ-তায়ালার অশেষ অনুগ্রহে এই দুই নগরীতে পা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের আচার-আচরণ, চলাফেরা হতে হবে অত্যন্ত মার্জিত ও সংযত। সত্যি কথা বলতে কি ? হজ্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক সময় আল্লাহর মেহমানদেরকে নানারকম ঝুট-ঝামেলা পোহাতে হয়। বিশেষ করে মহিলা হজ্ব যাত্রীদের বেলায়। অনেক সময় এ কারণে হজ্বের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনে অপূর্ণতা থেকে যায়।

প্রথমেই বলতে হয় শারিরীক সুস্থতার কথা। স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা দুর্বল প্রকৃতির। তাই হজ্বের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগ থেকে শারিরীক সুস্থতার দিকে একটু বেশী মনযোগী হওয়া প্রয়োজন। এটা শুধু মহিলাদের বেলায় নয়, পুরুষদের বেলায়ও প্রযোজ্য। হজ্বের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে দেশে ফেরত আসতে সাধারণত দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। এই সময়ের মধ্যে বয়স্ক নন এমন মহিলাদের বেলায় মাসিকের সমস্যাটা একটা বড় উদ্বেগের কারণ। মক্কা ও মদিনায় থাকাকালীন সময়টায় প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকে আহার-নিদ্রার সময়টুকু ছাড়া বাকী সময়টুকু হেরেম শরীফে কিংবা ঘরে বসে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকা। কিন্তু মাসিকের কারণে কোন মহিলা যদি এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন তাহলে আফসোসের শেষ থাকেনা। তাই এই সমস্ত মহিলা হজ্ব যাত্রীদের জন্য সঠিক কাজ হবে হজ্বে যাওয়ার পূর্বে একজন গাইনী ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে হজ্বকালীন সময়ে পিড়িয়ড বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেয়া। তাছাড়া সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধ তো সাথে থাকবেই।

হজ্বযাত্রী যে সমস্ত মহিলাগণ আগ থেকে পর্দা প্রথায় অভ্যস্ত নন আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবাণী তাদেরকে সেই প্রথায় অভ্যস্ত করে তুলবে। কথা হচ্ছে পর্দা রক্ষা করার জন্য বোরকাই যে পরতে হবে এমন কোন বাধ্য-বাধকতা নেই। যারা বোরকাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তাদের বেলায় তো কোন কথাই নেই। কিন্তু যারা বোরকা ব্যবহারে অভ্যস্ত নন তারা নিজেদের মতো করে পর্দা রক্ষা করার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। মক্কায় এ সময় প্রচন্ড গরম থাকে। তাই সূতী কাপড় সবচেয়ে আরামদায়ক ও উত্তম ব্যবস্থা। শাড়ির চেয়ে সালোয়ার-কামিজে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন। ফুলহাতা কামিজের সাথে লম্বা করে সূতী কাপড়ের ঘোমটা বানিয়ে নেয়া যায়, আগের দিনে বোরকার সাথে যেরকম ঘোমটা পরতেন আমাদের মা-চাচীরা। তাছাড়া হেরেম শরীফের আশেপাশের দোকানগুলোতে বিভিন্ন সাইজের প্রচুর ঘোমটা কিনতে পাওয়া যায় ১০/২০ রিয়েলে। এগুলো গরমে ভীষণ আরামদায়ক। আরও একটি কাজ করতে পারেন মহিলা হজ্ব যাত্রীগণ। কামিজের সাথে একটি চেইনওয়ালা পকেট লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে সাথে করে নেয়া টাকা কড়ির নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন, বিশেষ করে মিনা, আরাফাত ও মুযদালিফার দিনগুলোতে। পোশাকের ব্যাপার যেহেতু আসল সেহেতু আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখি। সেটা হলো মহিলা হাজিদের জন্য আলাদা কোন ইহরামের কাপড় লাগে না। সাধারণ ব্যবহৃত কাপড় পাক-পবিত্র হলেই চলবে। তবে অতিরিক্ত রংচঙা দৃষ্টিকটু কাপড় না পরাই ভাল।

যারা হজ্ব ফ্লাইট শুরুর প্রথম দিকে যাচ্ছেন, মক্কায় গিয়ে হজ্বের আগে তাদের হাতে অনেক সময় থাকবে। এই সময়টুকু কোনমতেই গল্পগুজবে অতিবাহিত না করে যত বেশী সম্ভব হেরেম শরীফে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগীতে কাটানোই উত্তম। ঘরে বসে থাকলে দেখা যায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নানা গল্পে মেতে উঠা হয়, বিশেষ করে মহিলারা। এ সময় শয়তান তটস্থ থাকে হাজিদেরকে গুমরাহি করার জন্য। তাই বলে আহার-নিদ্রা ভুলে এমনভাবে নিজকে ব্যস্ত রাখা ঠিক হবেনা যাতে মূল হজ্বের সময়টাতে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ প্রসঙ্গে বাস্তব দুটো উদাহরণ তুলে ধরছি। আমরা একরুমে থাকতাম পাঁচজন মহিলা। এক আপা পবিত্র পাথর হজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য রাতের পর রাত হেরেম শরীফে নির্ঘুম কাটিয়েও সফল হননি। কাজের কাজ যা হয়েছে তা হলো হজ্বের আগে মিনায় গিয়ে তিনি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন আরাফাত দিবস। এর আগের রাতে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া, হাসপাতালে নেয়া কি যে ঝক্কির ব্যাপার ঐ সময়ে তা একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া কেউ আন্দাজও করতে পারবে না। তাই আল্লাহর কাছে সব সময় পার্থনা করতে হবে তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা সবার জন্য সহজ করে দেন ও সবাইকে সুষ্ঠুরূপে হজ্ব সম্পাদনের তৌফিক দান করেন।

আমার রুমের আর এক আপার কথা বলি। হজ্বের আগে উনারা স্বামী-স্ত্রী কম করে হলেও ৫/৬টি ওমরাহ করেছেন। রাত দু’টোয় চলে যেতেন আয়েশা মসজিদে ইহরাম বাঁধার জন্য। তারপর হেরেম শরীফে এসে ওমরাহ শেষ করে ফজর ও এশরাকের নামাজের পর ন’টায় ঘরে ফিরতেন। মাঝে মাঝে দেখতাম আপা রোজাও রাখতেন। কিন্তু সব ব্যাপারে শরীরের যে একটি সহনীয় ক্ষমতা থাকে সেকথাটা উনারা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত উনি যদিও আরাফাত দিবসটা অর্থাৎ হজ্বের দিনটা পার করতে পেরেছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হজ্বের পরদিন আমরা যখন দলবেঁধে মুযদালিফা থেকে মিনার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম শয়তানকে পাথর মারার জন্য, তখন টানেলের ভিতর প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে ঐ আপা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাকে ধরাধরি করে একপাশে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে সেবা করার পর জ্ঞান ফিরে আসে। এখানে একটা কথা বলা যৌক্তিক মনে করছি যে, প্রচন্ড ভীড়ের কারণে যদি মহিলারা জামারায় না যেতে পারে শয়তানকে পাথর মারার জন্য তাহলে তাদের পক্ষ থেকে সংগী পুরুষেরা সেই পাথর নিক্ষেপ করতে পারেন। পুরুষদের চাপাচাপি থেকে মহিলাদের ইজ্জত আব্রু সুরক্ষার জন্য মহান আল্লাহ-তায়ালা এই ব্যবস্থা কবুল করেছেন। একইভাবে হজরে আসওয়াদ চুম্বন করার ক্ষেত্রে মহিলাদের বেলায় অন্য ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য এ ব্যবস্থা শুধু মহিলাদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য। কাছে গিয়ে হজরে আসওয়াদে চুম্বন করা আর দূর থেকে ইশারায় চুম্বন করার মধ্যে সওয়াবের কোন হেরফের নেই। বিশেষ করে মহিলাদের বেলায় দূর থেকে ইশারায় চুম্বন করাই উত্তম। কারণ, পুরুষদের ভীড় ঠেলে হজরে আসওয়াদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করা মানে বাড়তি পাপের ভাগীদার হওয়া, আল্লাহর ঘরে যা মোটেও কাম্য নয়।

আমি আমার এই লেখায় শুধুমাত্র মহিলা হজ্বযাত্রীদের জন্য জ্ঞাতব্য বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সব যে পেরেছি তা ও কিন্তু নয়। কারণ, হজ্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আরও কিছু লিখতে গেলে অনেক কিছু লিখতে হবে। ছোট্ট আর একটি তথ্য দিয়ে মক্কার অংশ শেষ করব। যাদের চা খাওয়ার নেশা আছে তারা টি-ব্যাগ চিনিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সাথে নিয়ে গেলে অনেকটা অর্থের সাশ্রয় হবে। কারণ, আমি প্রতিদিন সকাল/বিকাল এক কাপ করে লাল চা দুই রিয়াল অর্থাৎ বাংলাদেশী ৪৪/৪৫ টাকায় কিনে খেয়েছি। হাজিদেরকে যেসব বাড়িতে রাখা হয় প্রত্যেক বাড়িতে ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা থাকে। আপনার সাথে টি-ব্যাগ থাকলে আপনি ঘরে বসেই এই পর্বটা সারতে পারবেন। তাছাড়া মহিলাদের পক্ষে দোকানে গিয়ে চা খাওয়ার ঝক্কিটাও কম নয়।

এখানেই মক্কা পর্বের ইতি টানতে চাই আমি। মদিনা পর্ব মানেই মসজিদে নববী, যেখানে শুয়ে আছেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)। কেন যাওয়া ? কি কি আনুষ্ঠানিকতা, কিভাবে সেসব আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে ? সব বুঝিয়ে দিবে আপনার এজেন্ট। আর যারা হজ্বের উপর পড়াশুনা করছেন তারা তো জানবেনই। কাজেই ঐদিকটায় আমি যাচ্ছি না। আমি শুধু তুলে ধরতে চাইছি মহিলা হাজিদের রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর রওজা মোবারক জিয়ারতের দিকটা। হজ্বে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া মানেই একজন হজ্বযাত্রীর মনে জেগে উঠে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর রওজা মোবারক জিয়ারতের পরম আকাংখা। এক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে ভিন্নতর ব্যবস্থা। পুরুষরা যে কোন সময় সুযোগ পেলেই রওজা মোবারক জিয়ারত করতে পারেন। কিন্তু মহিলারা সেভাবে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। হয়তো এই ব্যবস্থা এখন পাল্টাতেও পারে। তবু আমি যেভাবে নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারত করার সুযোগ পেয়েছিলাম তা এখানে তুলে ধরছি।

মহিলা হাজিদেরকে জিয়ারতে নিয়ে যাওয়া হয় ফজর, জোহর ও এশার নামাজের পর। মসজিদে নববীর ২৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে এক জায়গায় সমবেত হতে হয়। স্বেচ্ছাসেবীগণ এক এক দেশের মহিলাদেরকে দেশ অনুসারে আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে বসান। ধৈর্য সহকারে এখানে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। এখানে নবীজির রওজা মোবারক সম্পর্কে কিছুক্ষণ বয়ান করা হয়। কিন্তু আরবী ভাষার বয়ান অনেকেই বুঝে না।

আমি তিন দিন নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারতের সুযোগ পেয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত প্রথম দিনই আরবী বয়ানের একজন বাংলা তর্জমাকারী মহিলা পেয়েছিলাম আমি। আবরী বয়ানের তিনি যে বাংলা তর্জমা করেছিলেন তার অর্থ হলো, মনে রাখতে হবে নবীজি এখানে ঘুমিয়ে আছেন। তাই উনার কবরের পাশে গিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবেনা যাতে উনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তবে সালাম দিলে উনি তা শুনতে পান এবং সবার সালামের জবাব দেন। প্রথম দিন এই বর্ণনা শুনে আমার বুকের ভিতরট কেঁপে উঠেছিল এই ভেবে যে, না জানি কি বেয়াদবী করে ফেলি ওখানে গিয়ে নিজের অজান্তে। তাই রওজা মোবারকের পাশে দাঁড়িয়ে যখন দোয়া পড়তে গেলাম তখন আমার গলা শুকিয়ে জিহবা-তালু প্রায় লেগে আসছিল। তারপর রিয়াজুল জান্নাতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে আমি নিজের অস্তিত্বকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। যাই হোক। এর পরের দুই দিন আমি সাথে করে নিয়ে যাওয়া বই পড়ে জিয়ারতের নিয়ম-কানুন জেনে প্রচুর দোয়া-দরুদ পড়ে নিজকে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম আগ থেকে। ফলে অত্যন্ত শান্ত ও নিবিষ্ট মনে জিয়ারত সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম।
এখানে যে দরকারী কথাটা না বললেই নয়। সেটা হলো স্বেচ্ছাসেবীরা দেশ অনুসারে ভাগে ভাগে মহিলা জিয়ারতকারীদেরকে রওজা মোবারকে নিয়ে যায়। ওদের নির্দেশ মতো চললে সুশৃংখলভাবে জিয়ারত করে রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করা যায়। ওরা সবাইকে সেই সুযোগ করে দেয়। তানাহলে ওখানে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাবার মতো অবস্থা হয়।

শেষমেষ অত্যন্ত খেদের সাথে বলতে হচ্ছে যে, আমি কিছু কিছু মহিলাকে মোবাইলে রওজা মোবারকের ভিতরকার ছবি তুলতে দেখেছি। যদিও মসজিদে নববীর ভিতরে ফটোগ্রাফী কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হজ্বের আমলের ভিতরে থেকে এমন নিষিদ্ধ কাজ মানুষ কি করে করতে পারে ভাবলে আজও আমার শরীর শিউরে উঠে। বিশেষ করে নবীজির রওজা মোবারকের ছবি, যেখানে গেলে নিজের ইহজাগতিক অস্তিত্ব মন থেকে মুছে যায়, চারপাশে অনুভূত হয় নবীজির অস্তিত্ব, সেখানে ছবি তোলান চিন্তা কিভাবে মাথায় আসে আমি আজও ভেবে পাইনা। ।

সবশেষে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করছি হজ্বে যেতে ইচ্ছুক সকল মুসলিম উম্মার মনের আশা তিনি পূরণ করুন, সকলের হজ্ব তিনি কবুল করুন। এবার যারা হজ্বে যাচ্ছেন তাদের সকলের দোয়ার উসিলায় দেশ ও দেশের সকল মানুষের কল্যাণ কবুল করুন।


৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×