somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, আসুন না একটি নিষ্পাপ ফুল ঝরে যাওয়া থেকে রোধ করি

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নিষ্পাপ ফুলের এই কুঁড়িটি সবেমাত্র ফুটতে শুরু করেছে। অথচ খুবই কষ্টের কথা যে, ফুলটি ফুটে ওঠার আগেই ঝরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে ফারহাতুল মাহমুদ হাসান এর নামটির সাথে পরিচিত হয়েছেন। বয়স মাত্র ১১ বছর। পড়াশুনা করছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায়। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া ফারহাতুল মাহমুদ হাসান প্রায় দুই বছর হলো হেপাটাইসিস-সি ভাইরাস ও ব্লাড কান্সার ই-বিটা থ্যালাসিমিয়া (মেজর) রোগে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে থাকার এক দূরন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ এক জটিল রোগ। ভয়াবহ এই রোগগুলোর একটিকে একটু দুর্বল করতে না করতেই আরেকটি রোগ আবার সবল হয়ে শরীরে ফিরে আসছে। যুদ্ধ করতে করতে এই ফুলটি এখন ক্লান্ত।

হাসানের বাবা মো. সাদেকুল ইসলাম পেশায় একজন ইলেক্টনিক্স পণ্য ব্যবসায়ী। প্রিয় পুত্রকে পৃথিবীর আলো বাতাসে রাখতে শেষ সম্বল রংপুরের জমিটুকু বিক্রি করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংক-সংস্থা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় ছেলের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু সামনে যে আরও দূর্গম পথ। যেতে হবে আরও কণ্টকিত পথ। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসানের বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এটি। হাসানের বাবা ভারতের সিএমসি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানকার হেমাটোলজি বা রক্তরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অশোক সুভাস্ত জানিয়েছেন বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। হাসানকে প্রতি মাসে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। এ ছাড়া ওষুধসহ অন্যান্য খাতে তার চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে ব্যবসাও প্রায় বন্ধ হয়েছে পিতা সাদেকুলের। তিনি জানিয়েছেন, ছেলের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তার যে টাকা পেয়েছেন, তাতে করে তাদের কাছে ২০ লাখ টাকার মতো জমা আছে। এই মুহূর্তে যদি ২০ লাখ টাকা সহায়তা পাওয়া যায়, হয়তো ছেলের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তাই ছেলের জীবন বাঁচাতে বাবা সাদেকুল এবং দুঃখিনী মা শিউলি আকতার দেশের জনগণের কাছে হাত পেতেছেন।


ছবিঃ প্রআ
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, ফারহাতুল মাহমুদ হাসানের হাসি মুখটা দেখুন তো। আমরা কি পারিনা এই হাসিটা অমলিন রাখতে। কোন শোকের ছায়া যেন এই মা বাবাকে স্পর্শ না করে। আসুন না, আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা এই হাসিটা বেঁচে রাখি। বিন্দু বিন্দু করেই তো সিন্ধু হয়।

হাসানকে সহায়তা করতে চাইলে আপনার আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন নিচের ঠিকানাগুলোতে।

মো. সাদেকুল ইসলাম,সঞ্চয়ী হিসাব নং ১২৬৩২০১০০০০০৮৩৮৮ ইউসিবি ব্যাংক, বনশ্রী শাখা।
মো. সাদেকুল ইসলাম, হিসাব নং ১২৫১১, ইসলামী ব্যাংক, রামপুরা শাখা।
মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৯২২১০৭০০১০৪৪০, প্রাইম ব্যাংক, বনশ্রী শাখা।
মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৭৮ ১৫১ ১১০৬০৫ ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, রামপুরা শাখা।
বিকাশ করতে পারেন ০১৮৬৪২৯১৩২৭, ০১৮৬৪২৯১৩২৮ ও ০১৯৭৯৬৪৪৮৮৮ নম্বরে।

হাসানের বাবা মোঃ সাদেকুল ইসলামের ফোন নম্বর -০১৮৬৪২৯১৩২৭

সুন্দরের জয় হোক। মানবতা-ভালোবাসার জয় হোক। পৃথিবীর আলো বাতাসে লালিত হোক সকল ফুটফুটে শিশু।

তথ্য এবং ছবি সংগ্রহঃ বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন মাধ্যম এবং টিভি চ্যানেল।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
৩৮টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×