প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ, একটি আশার কথা শোনানোর জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অভিপ্রেত নয়, সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এটা আশার খবর বৈকি!
কিন্তু বিনীতভাবে জানাতে চাই তাঁর পরের কথাগুলোর সঙ্গে একমত হতে পারছি না। তিনি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী কারা, সেটা স্থির করতে না কি সমস্যা আছে! এ তো ঠিক জামাতীদেরই কথার প্রতিধ্বনি!
তিনি আরো বলেছেন, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি এগিয়ে আসে, তিনি স্বাগত জানাবেন। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা সংগঠন নয়, রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটাই নিয়ম। এমনকি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করারও কোনো সুযোগ নেই, যদ্দূর জানি এই উদ্যোগ নিতে হলে বাংলাদেশের সরকারকেই নিতে হবে।
আর বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে নিজেই ব্যবস্থা নিতে পারে, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করতে কেন পারবে না?
উদ্যোগটা আসলে নিতে হবে ফখরুদ্দীন আহমেদ আর তাঁর সরকারকেই। ব্যক্তি পর্যায়ে মামলা দায়ের করলে সেই মামলার পরিণতি যে শেষ পযর্ন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মতো হবে না, সেটা কে বলতে পারে?
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে নিজের উদ্যোগে, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ওই বিচার শেষ না করে প্রচলিত বিচার পদ্ধতিতে আস্থা রেখেছিল। তার ফল কি ফল হয়েছিল সেটা তো আমরা এখন দেখতেই পাচ্ছি। দশ বছরেও শেষ হচ্ছে না মামলা, আইনি ভাষায় আমরা বলতে পারছি না কে বা কারা ছিল খুনী।
ওই ফাঁক-ফোকড় দিয়ে একাত্তরের খুনীদেরও আরো খানিকটা সময় দেওয়ার ভুল করা কোনোভাবেই উচিত হবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



