রোমানদের দাসপ্রথা-১
রোমান সভ্যতার প্রসঙ্গে উঠলে সভ্যতাটির উজ্জ্বল কীর্তিসমূহই আলোচিত হয়, সচরাচর নিষ্পেষিত পদদলিত দাসদের অসহনীয় জীবনযাপনের কথা উঠে আসে না। অথচ দাস শোষন ছিল রোমান সভ্যতার অন্ধকার এক দিক। সেনেকা, রোমান ষ্টোয়িক দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ একবার ভারিক্কি চালে বলেছিলেন কাউকে পুরোপুরি দাস করা যায় না। শরীর প্রভুর; মন তার নিজের। হোরাস, রোমান কবি, বলেছিলেন: সত্যিকার অর্থে কে স্বাধীন? জ্ঞানী মানুষ ছাড়া। জ্ঞানী মানুষ নিজের প্রভু নিজে বলেই স্বাধীন।
রোমান সভ্যতার অধিকাংশ দাসই যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত। যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে রোমান সৈন্যরা বন্দিদের ধরে আনত। পরাজিত সৈন্যদের দাসে পরিণত করত। কখনও বন্দি করে রাখত, কখনওবা হত্যা করত। উপরোন্তু লোকে সন্তান বিক্রি করতে পারত। পাওনাদার ঋনগ্রস্থকে দাস হিসেবে গ্রহন করতে পারত। অবশ্য কেউই নিজেকে দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারত না! একে রোমান সমাজে প্রবঞ্চনা মনে করা হত।
খ্রিস্টীয় ২য় শতকে অর্থাৎ রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ানের (১১৭-১৩৮) সময়কালে রোম এর জনসংখ্যা ছিল বিপুল। প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ এর মতো। এর অর্ধেকই ছিল দাস। রোমান সমাজে ৬টি স্তর ছিল। ১. দাস। ২. মুক্তমানুষ। ৩. মুক্ত মফস্বলের লোক, ৪. সাধারন রোমান জনগন অথবা প্লেবিয়ানস, ৫. ইকুয়েটেস (অভিজাত অশ্বারোহী) এবং ৬. সিনেটর।
বলাবাহুল্য দাসদের অবস্থান ছিল সমাজের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এদের আলাদা পোশাক ছিল না। অন্যান্য সাধারণ রোমানদের মতোই দাসেরা বিবর্ণ রঙের টিউনিক পরত। একবার দাসদের স্বতন্ত্র পোশাকের কথা উঠেছিল রোমান সিনেটে, অর্থাৎ রোমান আইনসভায়। একজন চতুর সিনেটর প্রতিবাদ করে বলেছিল,‘দুরাত্মারা তাহলে জেনে যাবে তারা সংখ্যায় কত ভারী’! দাসদের প্রতি এই ছিল তৎকালীন রাজনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি।
দাসদের অধিকাংশই অ-রোমান; অল্প সংখ্যকই ইতালিয় এবং লাতিন বলতে পারত। একটি ঘোড়ার যতটা আইনি প্রতিরক্ষা ছিল খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের পূর্বে একজন দাসের রোমান সভ্যতায় তাও ছিল না। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের পরে সম্রাট হাদ্রিয়ান ঘোষণা করলেন যে ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মতি ব্যতীত প্রভু তার দাসকে হত্যা করতে পারবে না। মনে রাখতে হবে এই ম্যাজিষ্ট্রেটও প্রভুরই সমগোত্রীয়। কাজেই, ‘হাফ অভ রোম, দেয়ারফর, কনটিনিউজ ইন দ্য অ্যাবসুলুট পাওয়ার অ্যান্ড পজেশন অভ দি আদার হাফ।’ (উইলিয়াম স্টারনস ডাভিস; আ ডে ইন ওল্ড রোম)
মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন