ছোটবেলায় হলিউড নির্মিত একটি ডেইলি সোপ দেখতাম, নাম রুটস্। তৎকালীন আমেরিকার দাসপ্রথা, ক্রয়কৃত দাসদের প্রতি মনিবদের নির্মম অত্যাচার এই ছিল ধারাবাহিকটির মূল কাহিনী। তখন থেকেই অনেক প্রশ্ন জাগতো মনে, দাস মানে কি? তারা কি আমাদের বাংলাদেশে নিয়োজিত গৃহকর্মীদের মতো? তাদেরকে ক্রয় করে নিয়ে আসা হতো কেন? আর কিনেই যদি আনা হতো তাহলে এতো অত্যাচার করা হতো কেন? এরকম ব্যবস্থা কি শুধু আমেরিকাতেই ছিল? আরও নানা প্রশ্ন। কিন্তু না দাসপ্রথার শুরু মূলত রোমান সভ্যতা থেকে। আজ আমরা রোমান সভ্যতায় দাসপ্রথার ইতিবৃত্ত জানব।
রোমান সভ্যতার প্রসঙ্গে উঠলে সভ্যতাটির উজ্জ্বল কীর্তিসমূহই আলোচিত হয়, সচরাচর নিষ্পেষিত পদদলিত দাসদের অসহনীয় জীবনযাপনের কথা উঠে আসে না। অথচ দাস শোষন ছিল রোমান সভ্যতার অন্ধকার এক দিক। সেনেকা, রোমান ষ্টোয়িক দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ একবার ভারিক্কি চালে বলেছিলেন কাউকে পুরোপুরি দাস করা যায় না। শরীর প্রভুর; মন তার নিজের। হোরাস, রোমান কবি, বলেছিলেন: সত্যিকার অর্থে কে স্বাধীন? জ্ঞানী মানুষ ছাড়া। জ্ঞানী মানুষ নিজের প্রভু নিজে বলেই স্বাধীন।
রোমান সভ্যতার অধিকাংশ দাসই যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত। যুদ্ধজয়ের পুরস্কার হিসেবে রোমান সৈন্যরা বন্দিদের ধরে আনত। পরাজিত সৈন্যদের দাসে পরিণত করত। কখনও বন্দি করে রাখত, কখনওবা হত্যা করত। উপরোন্তু লোকে সন্তান বিক্রি করতে পারত। পাওনাদার ঋনগ্রস্থকে দাস হিসেবে গ্রহন করতে পারত। অবশ্য কেউই নিজেকে দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারত না! একে রোমান সমাজে প্রবঞ্চনা মনে করা হত।
খ্রিস্টীয় ২য় শতকে অর্থাৎ রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ানের (১১৭-১৩৮) সময়কালে রোম এর জনসংখ্যা ছিল বিপুল। প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ এর মতো। এর অর্ধেকই ছিল দাস। রোমান সমাজে ৬টি স্তর ছিল। ১. দাস। ২. মুক্তমানুষ। ৩. মুক্ত মফস্বলের লোক, ৪. সাধারন রোমান জনগন অথবা প্লেবিয়ানস, ৫. ইকুয়েটেস (অভিজাত অশ্বারোহী) এবং ৬. সিনেটর।
বলাবাহুল্য দাসদের অবস্থান ছিল সমাজের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এদের আলাদা পোশাক ছিল না। অন্যান্য সাধারণ রোমানদের মতোই দাসেরা বিবর্ণ রঙের টিউনিক পরত। একবার দাসদের স্বতন্ত্র পোশাকের কথা উঠেছিল রোমান সিনেটে, অর্থাৎ রোমান আইনসভায়। একজন চতুর সিনেটর প্রতিবাদ করে বলেছিল,‘দুরাত্মারা তাহলে জেনে যাবে তারা সংখ্যায় কত ভারী’! দাসদের প্রতি এই ছিল তৎকালীন রাজনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি।
দাসদের অধিকাংশই অ-রোমান; অল্প সংখ্যকই ইতালিয় এবং লাতিন বলতে পারত। একটি ঘোড়ার যতটা আইনি প্রতিরক্ষা ছিল খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের পূর্বে একজন দাসের রোমান সভ্যতায় তাও ছিল না। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের পরে সম্রাট হাদ্রিয়ান ঘোষণা করলেন যে ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মতি ব্যতীত প্রভু তার দাসকে হত্যা করতে পারবে না। মনে রাখতে হবে এই ম্যাজিষ্ট্রেটও প্রভুরই সমগোত্রীয়। কাজেই, ‘হাফ অভ রোম, দেয়ারফর, কনটিনিউজ ইন দ্য অ্যাবসুলুট পাওয়ার অ্যান্ড পজেশন অভ দি আদার হাফ।’ (উইলিয়াম স্টারনস ডাভিস; আ ডে ইন ওল্ড রোম)
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।