ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরস্পরকে এভাবে কোপাতে পারে এমন বীভৎসতা দেখে আমরা আতঙ্কিত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’
মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ভালই বলেছেন। তার কথা যেভাবে আবিষ্কার করলাম তা হল- ঢাবির প্রতিটা ছাত্রই এমন বিভৎসতা সৃষ্টিকারী। অথচ যারা সাধারণ ছাত্রদের সামান্য স্বস্তিটুকুকে কেড়ে নিয়েছে তাদের কথা একবারও উচ্চারন করলেন না। বললেন না 'বাস, বহুত হয়েছে। আর না। এবার কুৎসিত ছাত্ররাজনীতির বিদায়।' বরং যেটা তিনি করলেন এই বরবরতার দায় ঢাবির সকল ছাত্রের উপর চাপিয়ে দিলেন। বললেন- 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা'। এই সাধারণ ছাত্ররা ঢাবির ইতিহাসের নগন্য কোন বিচ্ছিন্ন দূর্ঘটনার জন্য দায়ী নয়। সে কথা কারোর অজানা থাকবার কথা নয়।
উপাচার্য মহোদয় একটিবারের জন্য কি ভেবেছিলেন সেই ছেলেটির কথা যে একবুক আশা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। স্বপ্ন যার ছিল আকাশ ছোঁয়া। অথচ একরাতের ব্যাবধানে সবকিছু উবে গেল।
ভাল লাগছে ভেবে, ছেলেটি পণ করেছে সে এই মৃত্যুপুরীতে থাকবে না। প্রয়োজনে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে সে মানসিকভাবে প্রস্তুত।
যত আয়োজন সবতো জীবনের প্রয়োজনে। জীবন যদি এতো ঠুনকো হয়, তবে বৃথা কেন এই আয়োজন। তাই সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে জীবনের কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাটা বিচিত্র কিছুতো হওয়ার কথা নয়।
আমরা হয়তো এমন একটি বিচ্ছিন্ন দৃর্ঘটনার দায়ে সরকারের কারোর পদত্যাগ দাবী করতে পারি না!! কারণ এ আমরাই তো আমাদের সর্বস্ব দিয়ে ঐ পদটি তাদের কে উৎসর্গ করেছি!!
আমরা এমন ঘটনার দায়ে উপাচার্য়ের পদত্যাগ প্রত্যাশা করি না। কারণ তিনি তাঁর সর্বচ্চো প্রদর্শন করে ঐ পদে উপবিষ্ট!!
তারপরেও বেহায়ার অনধিকার চর্চার মত করে কিছু চাইতে ইচ্ছা হচ্ছে। উপাচার্য মহোদয়, ছাত্রদেরকে এই জগদ্দল পাথর থেকে নিষ্কৃতি দিন। বন্ধ করে দিন ক্যাম্পাস ও হল কেন্দ্রিক যাবতীয় ছাত্ররাজনীতি।
ইতিহাস আপনাকে ঠাই দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



