'পরিবর্তন' কথাটিকে প্রথম প্রবাদপ্রতীম রূপ দিয়েছেলেন দার্শনিক হিরাক্লিটাস (Heraclitus)। তিনি পরিবর্তনকে ধরেছিলেন জগতের জননী। বলেছিলেন, বিশ্ব জগতের সব সৃষ্টির সার-কারন এই পরিবর্তন। পরিবর্তন না হলে কোন কিছুই সৃষ্টি হয় না। তাঁর সুবিখ্যাত উক্তি- "one cannot step twice into the same river"।
পরবর্তিতে 'পরিবর্তন' নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে আলোচনা সম্প্রসারিত হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে পরিবর্তনের স্বতন্ত্র রূপের কথা বলেন। পরিবর্তনের সবচেয়ে সুবিদিত রূপটি দিয়েছেন আধুনিক দার্শনিক হেগেল। তাঁর পরিবর্তনের রূপটি ছিল 'দ্বান্দ্বিক পরিবর্তন'। এই 'দান্দ্বিক পরিবর্তন' পরবর্তীতে বস্তুবাদের সাথে মিলেমিশে জন্ম দিয়েছে কার্ল মার্ক্সের বিখ্যাত 'দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ'। জন্ম দিয়েছে এক জগত আলোড়নকারী বিপ্লবী মন্ত্রের। উৎপাদনে শ্রমিকের মালিকানাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। মালিকশ্রেণী যে তাদের দোসরদের সংগে নিয়ে উৎপাদনে শ্রমিকের অংশটুকু শোষণ করছে তা দেখিয়ে দিয়েছে। সাহস দিয়েছে শ্রমিককে নিজের প্রাপ্যটুকু বুঝে নেবার। সব মিলিয়ে বলা যায়, কার্লমার্ক্স ও পরিবর্তনের কথাই বলেন। তবে সে পরিবর্তন ক্ষমতার, উৎপাদনের মালিকানার।
বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী রাজনীতিতে পরিবর্তনের রাজনৈতিক শ্লোগান দেয়া হয়। মানুষ পরিবর্তনে ভালবাসে। পরিবর্তনের সাথে থাকে। দূর্ভাগ্য তাদের, আশানুরূপ পরিবর্তন তাদের ভাগ্যে জুটে না। মানুষ হয় বঞ্চনার শিকার। পুরোনো বোতলের পরিবর্তন হলেও থেকে যায় সেই পুরোনো পচা মদ।
** অস্বীকার করা যাবে না- শুদ্ধ মনে করা মৌলিক পরিবর্তন সব সময় শুভ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



