
পৃথিবীতে নানান ধরনের পানীয় আছে। সবগুলোর নাম তো আমরা কেউই জানিনা। কিন্তু সারা বিশ্বে কোকাকোলার নাম শুনেনি এমন লোক হয়ত পাওয়াই যাবে না। কোকাকোলা যুগ যুগ ধরে এর জনপ্রিয়তা ধরে রেখে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ টির বেশি দেশে কোকাকোলার পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে।
কোকাকোলার আবিষ্কারক এর প্রচার শুরু করেছিলো মাথা ব্যাথা ও দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে।
প্রথম কোকাকোলার দাম ছিলো মাত্র ৫ সেন্ট।
কোকাকোলা নামকরনের প্রবর্তক ফ্রাঙ্ক রবিন্সন। cocain এবং cola nut থেকে কোকাকোলার মূল উপাদান সংগ্রহ করা হয় তাই এর নাম হয় কোকাকোলা।
এখন পর্যন্ত উত্পাদিত কোকাকোলার ৮ আউন্সের বোতল সবগুলোকে যদি পাশাপাশি এক মাথার সাথে আরেক মাথা লাগিয়ে শেকলের মত করে রাখা হয় তাহলে অন্তত ১০০০ বার চাদে আসা যাওয়ার সমান লম্বা হবে।
একই ভাবে এ যাবত কালে উত্পাদন হওয়া সব কোকাকোলার চেইন বানালে পুরো পৃথিবী ৪০০০ বারের বেশি ঘুরে আসা যাবে।
এখন পর্যন্ত উত্পাদিত কোকাকোলার সব বোতল যদি মানুষের মাঝে বিলি করা হয় তাহলে প্রত্যেকে ১০০০ টির বেশি বোতল পাবে।
পুরা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮০০০ গ্লাসেরও বেশি কোকাকোলা খাওয়া হয়ে থাকে।
এ যাবত কালে উত্পাদিত সব কোকাকোলা ঢেলে যদি একটি সুইমিং পুল বানানো হতো তাহলে সেটা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০ মিলোমিটার ও প্রস্থে ১৫ কিলোমিটার হতো। এর গভীরতা হতো ২০০ মিটার। এই সুইমিং পুলে প্রায় হাফ বিলিয়ন মানুষ গোসল করতে পারতো।
নিখুঁত বক্রতা আর নিজস্ব বৈশিষ্টের কারণে কোকাকোলার বোতলটি ক্রেতাদের মন কেড়েছে এর জন্ম থেকেই। এখন এটি একটি দেশের সামাজিক ইতিহাস, চলচ্চিত্র, সৌকর্য এবং চারুকলায় গ্লোবাল আইকনে পরিণত হয়েছে। আর এ বোতলটি পা দিল ১০০ বছরে।
১৯১৫ সালের ১৬ নভেম্বর জন্ম নেয়া কোকাকোলা বোতলটি টেরে হাউট ইন্ডাস্ট্রির রুট গ্লাস কোম্পানির সৃষ্টি। নিজস্ব ঐতিহ্য ধরে রেখে এ বছরই পা দিল ১০০ বছরে।
কোকাকোলা তার প্যাকেজ ডিজাইনের জন্য শুরু করেছে গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ২০১৫। যাতে জড়িত করা হয়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা তারকা এলভিস প্রিসলি, মেরিলিন মনরো, এবং রে চার্লস-কে।
কোকাকোলা ব্রান্ড কোক ছাড়াও আরো প্রায় ৩৫০০ রকমের বেভারেজ তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত ৩টা করে বেভারেজ খেলেও সবগুলোর স্বাদ নিতে আপনার ৩ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
[ তথ্য সংগ্রহ : ইন্টারনেট ]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




