বৃষ্টির জন্য
যখন ধূলো জমে ওঠে শহুরে জীবনের প্রতি কোনে কোনে, যখন সন্ধ্যার বিষন্ন আকাশ বেগুনী কালোয় ছেয়ে যায়, যখন ভাবতে গেলে ভাবনারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন বৃষ্টির জন্য মনটা কেমন খা খা করে। কখনো বাসের ভাঙ্গা জানলা দিয়ে, কখনো বাসার ছোট বারান্দায় দাঁড়িয়ে, কখনো চলতি পথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখ চলে যায় ঝুলন্ত আকাশে, মেঘের খোঁজে। মেঘ, নেই কোথাও। তখন মেঘের জন্য মন খারাপ করে।
যখন মন খারাপ করে তখন জীবন নিয়ে ভাবনার আয়োজন চলে। অনর্থক কাটে সারাবেলা। হাতের মুঠোয় বন্দি জলবিন্দুর খুনশুটির সুরেলা অনুভব জীবনকে ভাবনাহীন করতে পারেনা। অস্থির... জীবন নিয়ে। মানুষ। কতোটুকুই বা ভাবতে পারে? জীবন মানে খাঁচার ভেতর অচিন পাখি। কোনো সল্যুশন নাই।
তাই বৃষ্টির জন্য মনটা ভিষন কেমন কেমন করে। থমকে যাই প্রতিটি পদে। এক্সাম চলে আসে চোখের সামনে। প্রশ্ন পড়ি, প্রশ্ন দেখি, প্রশ্ন নিয়ে নাড়াচাড়া করি, প্রশ্নগুলোর কোনো সল্যুশন পাইনা।
এখানে আজ বৃষ্টিহীন প্রতিক্ষন, কাটে বিষন্ন মরমর। রাত কাটে নির্ঘূম নিথর। বেদুঈন ঝরাপাতারা সুখ হারায়। একা পাখি ঘর ভুলে যায়। মোড়ের দোকানীর তেলসিঁটে চেহারায় লোভাতুর দৃষ্টি জাগে। খুলনা টি স্টলে জায়গা পাওয়া যায় না। বিজয় স্মরনী যাত্রীর অপেক্ষা বাড়ায়। কদম দিন দিন তার পরিচয় হারায়।
বৃষ্টি... এ অবেলায় তুমি নাই;
তাই, তোমার অপেক্ষায়। পঁচিশ পেরোনো একটি ছেলে, একাকী, নিরালায় জীবনানন্দে জীবনের মেঘ খুঁজে বেড়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



