- বাবা, দেখছ চাঁদটাও আমাদের সাথে সাথে হাটে।
- হ্যা বাবা।
- কিন্তু চাঁদের পা কোথায়? হাটে কিভাবে?
- চাঁদ গড়িয়ে গড়িয়ে চলে।
ছোট্ট তাশান একটার পর একটা প্রশ্ন করে চলে আর আমি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে চলি। মাঝে মাঝে বাচ্চার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে "হুম" উত্তর দিয়ে কাজ চালিয়ে দিই। দেখাদেখি তাশানও মাঝে মাঝে "হুম" রোগে আক্রান্ত হয়।
তখন তাশানকে যদি প্রশ্ন করি, " বাবা, ভাত খাইছ?"
উত্তর আসে- "হুম"
-স্কুলের পড়া শিখছ?
-"হুম"
-মামা বকা দিছে?
-"হুম"
মাকে "মামা" ডাকে তাশান। ওর ছোট্ট মনে হয়তো গেথে গিয়েছে "বাবা" শব্দে যদি দুইবার "বা" থাকতে পারে তবে "মা" কে সমান মর্যাদা দেয়া উচিত।
ছোট্ট তাশান অল্প অল্প করে বেড়ে উঠছে, বুঝতে শিখছে চারপাশের জগতটাকে। তাকে যদি বলি , "বাবা, বল, কে তোমাকে সবচেয়ে বেশী আদর করে?"
তাশান উত্তর দেয়, "বাবা"
আবার যখন তাশানের মা তাশানকে বলে, "তাশান,বল, কে তোকে সবচেয়ে বেশী আদর করে?"
তাশান উত্তর দেয় ,"মামা"
তাশান ছোট থেকেই শিখে গেছে জগতে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সব বাচ্চারাই ঠিক একই ভাবে শিখে ফেলে জগতের চালচলন। বাঙ্গালীর ঘরে এমন কোন বাবা মা খুজে পাওয়া যাবে না, যারা তাদের বাচ্চাদের বলে নাই- " বলতো কে তোমাকে সবচেয়ে বেশী আদর করে, বাবা না মা? পর্যায়ক্রমে এই প্রশ্ন চলতে থাকে প্রজন্ম প্রজন্মান্তর।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৯