যাযাবরের পথ চলা সারাবেলা।
সহযাত্রী মেলার আশা নেই আর এবেলায়
জীবনের জীবন্ত চেতনারা অনেক আগেই গনধর্ষিত
তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে-
জীবনের শুরু হয়েছিল বড্ড এলোমেলো
এখন বুঝি, মূর্খ শিক্ষকদের বলে যাওয়া জ্ঞানের কথাগুলো ছিল
সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির মত অর্থহীন
তাই আমিও পালিয়েছিলাম বেশ ঘটা করে সম্রাট যাযাবরের বেশে।
এরপর শুরু হল বড়দাদাদের মিছিলের হাতছানি,
যেতাম ঠিকই , একা গিয়ে পাঁচ জন কে নিয়ে বেরিয়ে যেতাম মিছিল থেকে
বুদ্ধিমান দাদারাও বুঝে গেলেন আমার ধাঁচ,
যাযাবরের অসামাজিকতায় ক্ষুদ্ধ হতেন , বেশ বুঝা যেত
আসলে রাজনীতি কেমন যেন ঘোলাটে মনে হত শুরু থেকেই।
চলতে চলতে কতজনকে পেলাম ,
আটঘাট বেধে সবারই একি চাওয়া......
জন্মদাত্রী মা থেকে শুরু করে জীবনসঙ্গিনী প্রিয়া
কেউ বাদ যায় নি
সবার একি কথা- এভাবে নয় , অন্য ভাবে চল
এভাবে নয় অন্য ভাবে বল
চা খেতে চাওয়া পরিচিত অফিসের পিয়ন হতে শুরু করে
সবারই একি দৃষ্টি ভঙ্গি
যাযাবর বেটা বড্ডও বেয়াড়া
অহংকারী ভাবে কি ? হবে হয়ত । কি আসে যায় ?
তবে কখনও কাউ কে পাইনি ,
পিঠ চাপরে বলবে- দেখি কবি, ঝটপট লিখে ফেলত একটা কবিতা
ও ভাল কথা কবি শব্দে আপত্তি আছে আমার।
কবিরা বড্ডও বেশি ঘরকোনা,
তবে শব্দ নিয়ে খেলতে বেশ লাগে।
পলাতক শব্দ টা আগে আমার পাশে বেশ মানাত
অবশ্যই পরিচিতদের কল্পনায়
কেউ বুঝত না , আমি পলাতক নই। পথ চলতে ভালবাসি।
পথ চলাতেই সুখ !
অদ্ভুদ! এই যাযাবরের পথ চলা, সারাবেলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩২