শহরে হিজড়াদের সংখা বেড়ে যাচ্ছে হু হু করে, গতকাল আমার বাসার দোতালায় হিজড়াদের হঠাট আক্রমন, তারা মোটামুটি দরজায় লাথি মারা শুরু করে দরজা না খোলায় সেই সাথে আস্রব্য গালি যা একজন সুস্থ মানুষের শোনার জন্য ভয়ানক, কারন কি, কারন হোল ওই বাসায় তিন মাস আগে একটা মেয়ে শিশু জন্ম নিছে এখন তারা দাবি করছে তাদের ওই শিশু দেখাতে হবে এবং ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। স্বভাবিক ভাবে বাসার বাসিন্দারা আপারগ জানায় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়, এর পর শুরু হয় গালির সুনামি সেই সাথে লাথি কিল ঘুসি বর্ষন দরজার উপরে, আমরা যারাই গেছি এদের থামাতে তাদের সাথে ও এরা মারমুখি হয়ে ওঠে, পরে শুনেছি ৩০০০ টাকায় দফা রফা হয়।
আজ অফিস যাচ্ছি দুই হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ বাসে উঠে চাদা দাবি করে, একজন সজ্জন ব্যাক্তি চাদা কেন দিবে , কেন তারা কাজ করে না , এটা চাদা না এটা ভিক্ষা এই ধরনের কথা তাদের বলে, ব্যাস, হয়ে গেলো, দুই হিজড়া পারে ত ওই লোক কে মেরে ফেলে আর কি, ধাক্কা ধাক্কি করে অস্থির, বাসের একটা লোক ও কিছুই বলল না , আমি বাসের হেল্পার কে বললাম এদের থামাও, হেল্পার কন্টাক্টর দাত বের করে হাসে , এর পর আমি গেলাম লোক টা কে উদ্ধার করতে, আমার সাথেও এক প্রস্থ ধাক্কা ধাক্কি হোল, সেই সাথে আমার মা বাবা সকলের ইজ্জত হরন হোল। এবং এই বলে শাসিয়ে গেলো আগামিকাল আমাকে ওরা দেখে নিবে। আমার বাসায় গিয়ে ওরা হামলা করবে।
গতবছর, না না ঠিক গতবছর না, ২০১৮ সালে অফিসে বসে আছি, রমজানের সময়, ইদ তখন ১০ থেকে ১২ দিন বাকি, হঠাত শুনি অফিসে ঢোকার মূল দরজায় বিশাল হৈচৈ, যেহেতু আমি এডমিনের লোক , আমাকে যেতেই হোল, দেখতে কি হচ্ছে, যেয়ে দেখি আমার অফিসের গার্ড আর দুই পিয়ন এর সাথে বিশাল হাতাহাতি লেগে গেছে। এক পিয়নের নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছে, দুই জন হিজড়ার কাপড় নাই, তাদের কাপড় মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে বাকি যারা উন্মাদের মত লাফাচ্ছে। আমি দৌড়ে গেলাম পিয়ন দুই জন কে বাচাতে, এরা আমার উপরেও হামলা করলো, আমার অফিসে তখন সাইটের লেবাররা ছিলো তাদের বিল নেয়ার জন্য এসেছিলো, যখন দেখলো আমিও হামলার শিকার , সাইটের লেবাররা অফিসের পেছনে পরে থাকা বাশ, কাঠ নিয়ে হিজড়াদের উপর আক্রমন শুরু করে দিল, এখন আমি পরে গেলাম উভয় সংকটে, কোন রকমে নিজেকে সেফ করে পাসের থানায় ফোন করলাম, তারা আমার কথা শুনে এলো কিন্তু তাদের আসার আগেই হিজড়ারা পালিয়ে গেলো, যাই হোক পুলিশ কে সব ঘটনা খুলে বললাম, তারা আমাকে আশ্বস্ত করলো যে আগামিতে তারা ব্যাপারটা দেখবে, আমি আমার আহাতো পিয়ন ও গার্ড কে চিকিৎসার জন্য পাসের হস্পিটালে পাঠিয়ে দিলাম। ভাবলাম ঝামেলা শেষ, কিসের কি পরের দিন কি করে যেন গেট খোলা পেয়ে এরা দল বেধে অফিসে ঢুকে গেলো, আমি তখন কাজ করছিলাম, এমনিতেই রোজা তার উপর ম্যানেজমেন্টের চাপ , মেজাজা ভয়াবহ খারাপ, হটাত শুনি একাউন্টস রুম থেকে আর্ত চিৎকার আমাদের একাউন্টস অফিসারের, ভদ্রলোকের বয়স ষাট এর উপরে, রিটায়ার্ড জীবনে পার্ট টাইম কাজ করেন , ওনার যখন ইচ্ছা আফিসে এসে কাজ করেন। তার আর্ত চিতকাত কর শুনে ভাবলাম তিনি বুঝি স্ট্রক করেছেন , আমি দৌড়ে তার রুমে গিয়ে দেখি, এক হিজড়া আর্ধ উলং হয়ে তার কোলে বসে আছে অন্যরা তাকে নিয়ে হাসি তামাসা করছে, ভদ্রলোক এক জন নামাজি মানুষ , তিনি আমাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরলেন, আমি হতবাক হয়ে চেয়ে থাকলাম, অনেক টা কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে গেলাম, এর পর তো হুলুস্থুল কান্ড। আবার পুলিশে কল করলাম, পুলিশ এলো এদের ধরে নিয়ে গেলো। কিন্তু আমারা একজন ভালো মানুষ হারালাম, তিনি চাকড়ি ছেরে দিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫