পক্ষে-বিপক্ষে শব্দ দুটি বিপরীত।তাই তাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে।স্বাভাবিকভাবে মানুষের পক্ষের প্রতি দুর্বলতা বেশী।আবার, মানুষ তার দুর্বলতম মুহূর্তে পক্ষের চিন্তা বেশী করে।তাকে যখন আশপাশের মানুষ ভুল বোঝে,তার সাথে ভুল করে,
সে যখন একা তখন সে পক্ষের মানুষ খোঁজে।আবার সে ভুল করলেও পক্ষের মানুষ খোঁজে।বিপরীতে মানুষগুলোও
পরিস্থিতির কারণে চুপ থাকে বা স্বভাবের কারণে চুপ থাকে বা প্রশংসার জন্য চুপ থাকে বা কাছের মানুষকে বাঁচানোর
জন্য চুপ থাকে।অতএব পক্ষের বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও সর্বদা সঠিক নয়।
পক্ষে-বিপক্ষের পরিবর্তনের হাওয়াও আমাদের সমাজে প্রবল। তাই আমরা পক্ষের মানুষকে ভুল বুঝি বা ভুল বুঝতে
বাধ্য হই।তবে সবসময় কি বিপক্ষের লোক খারাপ করে? হয়তো বা না ! কারণ একটি ব্যক্তিকে যথার্থ মূল্যায়ন
করতে পারে,তার বিপক্ষের লোক ।কারণ মিত্র শুধু কাছে থাকতে চায়,কাছে থাকাটাই তার পরম পাওয়া।কিন্তু
বিপক্ষের লোক দূরে থেকেও অনাকাঙ্খিত আচরণে ব্যস্ত থাকে।সর্বদা ভুল খোঁজাতেও। মিত্র ধরে নেয় তার
কাছের মানুষ অধিকার বলে তার জন্য করছে,তা তার দায়িত্ব । কিš ‘বিপক্ষের লোক বলতে পারে সে কতকটা
ভাল ও সত্যিকারে দায়িত্বপরায়ণ।কারণ পক্ষের লোকদের তার সহনশীলতার পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না, কিš ‘
বিপক্ষের লোকদের তা দিতে হয় প্রায়।সুতরাং বিপক্ষের লোক বলতে পারে সহনশীলতার মাত্রা কতটুকু।তারা
বলতে পারে সে কতটা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ।কারণ যে মানুষ অস্বাভাবিক পরিস্থিি ততে সর্বোচ্চ দেয়,সে মানুষ
প্রকৃত না হয়ে পারে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




