somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জনৈক অভদ্রলোক
আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। প্রচণ্ড কল্পনাপ্রবণ মানুষ। ঠায় দাঁড়িয়ে পুরো পৃথিবী নিয়ে ভেবে ফেলি। মায়া কম, ক্রোধ বেশি। তবে সেটা নিজের ভেতরে পুষে রাখার অসীম ক্ষমতা আছে আমার।

প্রেমানন্দ নিকেতন; উৎসর্গপত্র

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফেসবুকে কেউ একজন লিখেছিলেন- "প্রতিবার প্রেমে পড়ার পরই আমার মনে হয়েছে আমি তাকে ছাড়া বাঁচবো না।" অনেকে এটা শুনে হাসেন। অনেকে ধরে নেন ইনি মানুষ ভালো না। আবার অনেকেই ভাবেন তার চরিত্রে দোষ আছে।

কিন্তু প্রেম এমনই। প্রেমের কোন স্পষ্ট সংজ্ঞা জানা আছে আপনার? হয়তো নেই। কারণ প্রেম মানুষকে বাঁচতে শেখায়। মানুষের মন রঙিন করে, পানির মত স্বচ্ছ করে দেয়। প্রতিবার প্রেমে পড়ার পরেই মানুষ নতুন একট স্বপ্নের জগতে ডুব দেয়।

আচ্ছা আপনাদের ধুম-২ সিনেমার উদয় চোপড়ার (আলি) কথা মনে আছে? এই চরিত্রে আলি প্রতিটা মেয়ের সাথে দেখা হওয়া মাত্রই কত কত স্বপ্ন দেখে ফেলে। কিন্তু নিমিষেই আবার সব চুরমার হয়ে যায়। তাই বলে আলি কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেনি।

সত্যিকারের প্রেমিকের মন রঙ বেরঙে ভরপুর। তারা নতুন নতুন আবিষ্কারে মত্ত হয়ে পড়ে। ঘর ভেঙে যায়, আবার চেষ্টা করে নতুন একটা তৈরিতে। সে জন্য তার চরিত্রে কেনো দোষ দেবো আমরা? বাঁচতেই তো পৃথিবীতে থাকা, আর স্বপ্ন দেখতেই তো বাঁচা।

প্রেমে পড়া নিয়ে বিশিষ্টজনের নানা মত রয়েছে। রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ লিখেছেন,
-হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি।’
রুদ্র'র অধিকাংশ লেখাতেই বিরহমিশ্রিত প্রেমের উপাখ্যান ঘটেছে। যেখানে অন্তত শেষ পঙক্তিতে এসে কবি ব্যখ্যা করেছেন- এক তুমিতেই জীবনটা শেষ হয়ে যাক এমন নয়। শেষ তুমি বলতে কিছুই নেই। বরং শেষের আগটুকু ছেয়ে যাক কোন এক তুমি'র আঙুলের ছোঁয়ায়।

প্রেমকে ব্যক্ত করতে রুদ্র গোস্বামী বলেছেন,
আমি প্রশ্ন
তুই বিস্ময়
চোখ চশমার নীচে বন্ধ।

ঠোঁট নির্বাক
চাওয়া বন্য
আমি ভুলে যাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
মানে প্রেমে পড়লে পুরনো ক্ষত, দ্বিধা, দ্বন্দ্বকে মানুষ মনে রাখতে চায় না। চায় না বলতে এসব ভুলে থাকার জন্যই মানুষ নতুন করে প্রেমে পড়ে।

"তুমি কালোতে ঢেকে দাও তোমার পরিচয়, আমি নাহয় ডুবে থাকি সুনীলের পূর্ব পশ্চিমে...!!" -ভাবুক কবি অরিত্র সাজ্জাদ'র এই লেখাটুকু আমায় বেশ ভাবিয়েছে। তুমি কালোতে ঢেকে দাও। তোমার সাথে কাটানো বিষাদময় অধ্যায় তুমি কালোতে ঢেকে দাও। আমি আবার ডুব মারতে চাই সুনীলে।।

হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন, "যুদ্ধ এবং প্রেম কোনো কিছু পরিকল্পনামতো হয় না।" মানে আপনি কখন, কার সাথে, কোন পরিবেশে, কোথায়, কিভাবে প্রেমে পড়বেন সেটা না জানেন আপনি; না জানে আপনার পারিপার্শ্বিক। আমার কেন জানি মনে হয় একমাত্র প্রেমের ক্ষেত্রে স্বয়ং ইশ্বরও নিজ থেকে হস্তক্ষেপ করেন না।

তবে এক্ষেত্রে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এক চমৎকার উক্তির অবতারণা করেছেন। প্রেমের মাঝে রোমান্টিকতা বোঝাতে তিনি লিখেছেন- "পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।" মানে বুঝতে পারছেন কী পরিমাণে প্রেমের রস লুকিয়ে আছে এই উক্তির মাঝে।

আজ আমার প্রিয় একটা মানুষের জন্মদিন। মানুষটা এতটাই প্রিয় যে তা লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব না। অথচ আমি তাকে সামনে থেকে না কোনদিন দেখেছি, না কোনদিন দেখার সৌভাগ্য হবে। তিনি কে জানেন? তিনি কিং অব রোমান্স শাহরুখ খান। যার কিছু সিনেমা আমি সর্বোচ্চ একুশবার পর্যন্ত দেখেছি; তাও একটানা একুশ দিনেই। কেন জানি মনে হয় পৃথিবীর ১০০ ভাগ রোমান্সের ৯৯ ভাগই ইশ্বর তার ভেতরে দিয়েছেন। বাকি ১ ভাগ বাটোয়ারা করেছেন ছয়শো কোটির মাঝে। লেখাটা তাকেই উৎসর্গ করলাম।

পরিশেষে, আমি মানুষকে প্রেমের কথা বলি। মানুষ আমাকে পাগল বলে। বলবেই তো- আমি যে প্রেমের পাগল। মানুষকে পাগল বলাও মানুষের এক সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু দুঃখ এখানেই- ওরা পাগল চিনলো, কিন্তু প্রেমিক পাগলকে আলাদা করতে পারলো না।ফেসবুকে কেউ একজন লিখেছিলেন- "প্রতিবার প্রেমে পড়ার পরই আমার মনে হয়েছে আমি তাকে ছাড়া বাঁচবো না।" অনেকে এটা শুনে হাসেন। অনেকে ধরে নেন ইনি মানুষ ভালো না। আবার অনেকেই ভাবেন তার চরিত্রে দোষ আছে।

কিন্তু প্রেম এমনই। প্রেমের কোন স্পষ্ট সংজ্ঞা জানা আছে আপনার? হয়তো নেই। কারণ প্রেম মানুষকে বাঁচতে শেখায়। মানুষের মন রঙিন করে, পানির মত স্বচ্ছ করে দেয়। প্রতিবার প্রেমে পড়ার পরেই মানুষ নতুন একট স্বপ্নের জগতে ডুব দেয়।

আচ্ছা আপনাদের ধুম-২ সিনেমার উদয় চোপড়ার (আলি) কথা মনে আছে? এই চরিত্রে আলি প্রতিটা মেয়ের সাথে দেখা হওয়া মাত্রই কত কত স্বপ্ন দেখে ফেলে। কিন্তু নিমিষেই আবার সব চুরমার হয়ে যায়। তাই বলে আলি কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেনি।

সত্যিকারের প্রেমিকের মন রঙ বেরঙে ভরপুর। তারা নতুন নতুন আবিষ্কারে মত্ত হয়ে পড়ে। ঘর ভেঙে যায়, আবার চেষ্টা করে নতুন একটা তৈরিতে। সে জন্য তার চরিত্রে কেনো দোষ দেবো আমরা? বাঁচতেই তো পৃথিবীতে থাকা, আর স্বপ্ন দেখতেই তো বাঁচা।

প্রেমে পড়া নিয়ে বিশিষ্টজনের নানা মত রয়েছে। রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ লিখেছেন,
-হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি।’
রুদ্র'র অধিকাংশ লেখাতেই বিরহমিশ্রিত প্রেমের উপাখ্যান ঘটেছে। যেখানে অন্তত শেষ পঙক্তিতে এসে কবি ব্যখ্যা করেছেন- এক তুমিতেই জীবনটা শেষ হয়ে যাক এমন নয়। শেষ তুমি বলতে কিছুই নেই। বরং শেষের আগটুকু ছেয়ে যাক কোন এক তুমি'র আঙুলের ছোঁয়ায়।

প্রেমকে ব্যক্ত করতে রুদ্র গোস্বামী বলেছেন,
আমি প্রশ্ন
তুই বিস্ময়
চোখ চশমার নীচে বন্ধ।

ঠোঁট নির্বাক
চাওয়া বন্য
আমি ভুলে যাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
মানে প্রেমে পড়লে পুরনো ক্ষত, দ্বিধা, দ্বন্দ্বকে মানুষ মনে রাখতে চায় না। চায় না বলতে এসব ভুলে থাকার জন্যই মানুষ নতুন করে প্রেমে পড়ে।

"তুমি কালোতে ঢেকে দাও তোমার পরিচয়, আমি নাহয় ডুবে থাকি সুনীলের পূর্ব পশ্চিমে...!!" -ভাবুক কবি অরিত্র সাজ্জাদ'র এই লেখাটুকু আমায় বেশ ভাবিয়েছে। তুমি কালোতে ঢেকে দাও। তোমার সাথে কাটানো বিষাদময় অধ্যায় তুমি কালোতে ঢেকে দাও। আমি আবার ডুব মারতে চাই সুনীলে।।

হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন, "যুদ্ধ এবং প্রেম কোনো কিছু পরিকল্পনামতো হয় না।" মানে আপনি কখন, কার সাথে, কোন পরিবেশে, কোথায়, কিভাবে প্রেমে পড়বেন সেটা না জানেন আপনি; না জানে আপনার পারিপার্শ্বিক। আমার কেন জানি মনে হয় একমাত্র প্রেমের ক্ষেত্রে স্বয়ং ইশ্বরও নিজ থেকে হস্তক্ষেপ করেন না।

তবে এক্ষেত্রে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এক চমৎকার উক্তির অবতারণা করেছেন। প্রেমের মাঝে রোমান্টিকতা বোঝাতে তিনি লিখেছেন- "পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।" মানে বুঝতে পারছেন কী পরিমাণে প্রেমের রস লুকিয়ে আছে এই উক্তির মাঝে।

আজ আমার প্রিয় একটা মানুষের জন্মদিন। মানুষটা এতটাই প্রিয় যে তা লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব না। অথচ আমি তাকে সামনে থেকে না কোনদিন দেখেছি, না কোনদিন দেখার সৌভাগ্য হবে। তিনি কে জানেন? তিনি কিং অব রোমান্স শাহরুখ খান। যার কিছু সিনেমা আমি সর্বোচ্চ একুশবার পর্যন্ত দেখেছি; তাও একটানা একুশ দিনেই। কেন জানি মনে হয় পৃথিবীর ১০০ ভাগ রোমান্সের ৯৯ ভাগই ইশ্বর তার ভেতরে দিয়েছেন। বাকি ১ ভাগ বাটোয়ারা করেছেন ছয়শো কোটির মাঝে। লেখাটা তাকেই উৎসর্গ করলাম।

পরিশেষে, আমি মানুষকে প্রেমের কথা বলি। মানুষ আমাকে পাগল বলে। বলবেই তো- আমি যে প্রেমের পাগল। মানুষকে পাগল বলাও মানুষের এক সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু দুঃখ এখানেই- ওরা পাগল চিনলো, কিন্তু প্রেমিক পাগলকে আলাদা করতে পারলো না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×