বাংলাদেশে এখন কয় ধরণের মানুষ আছে জানেন? ২ ধরণের। একদল ভাষ্কর্যের পক্ষে, আরেকদল ভাষ্কর্যের বিপক্ষে। আমি পক্ষের দলে সবসময়েই। না আওয়ামীদের পা চাটতে নয়। প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানের ভাষ্কর্যও যদি তৈরি হয় আমি তারও পক্ষে। জামায়াতে ইসলামি যদি কোনদিন ক্ষমতায় এসে মনে করে সাঈদী সাহেবের একটা ভাষ্কর্য তৈরি করলে মন্দ হয় না, আমি সেদিনও ভাষ্কর্যের পক্ষেই থাকবো।
ভাষ্কর্য হলো একটা জাতীর শিক্ষা, সংষ্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিফলক। একটা মনুষ্য তৈরি মূর্তি অনেক কিছু ধারণ করতে পারে। অন্যদের কাছে নিজেদেরকে চেনায় ভিন্নভাবে। মানুষ ভাষ্কর্য দেখবে সেটা সম্পর্কে জানবে, সেটাকে শ্রদ্ধা করবে এটাই তো হওয়া উচিৎ। বাবার হাত ধরে হাঁটতে বের হওয়া শিশুটা কৌতুহলবশত বাবাকে জিজ্ঞেস করবে- বাবা এটা কে? বাবা তাকে পরম স্নেহ নিয়ে বোঝাবে ইনি আমাদের জাতীর পিতা। যার ত্যাগে তুমি পেয়েছো এই রাস্তাটায় স্বাধীনভাবে হাঁটার অধিকার। ইনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক। যার দরাজ কণ্ঠে সেদিন বেতার থেকে লাখো বাঙালী শুনেছিলো এই বাংলার স্বাধীন হওয়ার বার্তা। এটা হলেন ভাসানী। যার সাধাসিধে জীবন যাপন তোমার অনুকরণ করা উচিৎ। ইনি মাওলানা সাঈদী। যে মৃত্যুমুখেও কারও কাছে মাথা নত করেননি। যার ধ্যান ধারণায় শুধুই পরম দয়ালু আল্লাহ। হ্যা এটাই তো হওয়ার কথা- নাকি?
আমি ভাষ্কর্যবিরোধীদেরও পক্ষে যদি সেটা হয় লালসালু গল্পের মতন। যদি সেটা হয় ভাষ্কর্যের পাদদেশে ভক্তদের নাচন কোদন কিংবা টাকার ছড়াছড়ি। আমি শান্তির পক্ষে, আমি শিল্পের পক্ষে। আমি এই পৃথিবীতে সৌহার্দ্যের বৃষ্টি নামানোর পক্ষে। আমাকে দোষ দেবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০