somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাংবাদিকতার মত এমন জঘন্য পেশা বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টা নেই

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(এখন পর্যন্ত বিবেচনায় অপরাধী যেহেতু দুজনেই তাই ছবি নিয়ে কোন বিতর্ক থাকবে না আশা করি)

বোধ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি সাংবাদিকতা মহান পেশা। পেশা যদি কাউকে মহৎ করে তুলতে পারে তাহলে শিক্ষকতার পরেই সাংবাদিকতার স্থান। যেখানে চিকিৎসকের অবস্থানও নাকি পরে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবথেকে ব্যবসাসফল পেশাই এগুলো। কথা না বাড়িয়ে প্রসঙ্গে আসি। সাংবাদিকতাকে কেন জঘন্য পেশা বলবো? কী অধিকার আছে এমন তথাকথিত মহৎ একটি পেশাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার? হ্যা আছে, কারণ আমি নিজেই এই পেশার সাথে জড়িত দীর্ঘদিন। কাজ করছি বাংলাদেশের প্রথম সারির এবং প্রথম দিকের একটি গণমাধ্যমে। পড়াশোনাও সাংবাদিকতায়। সুতরাং আমার পেশা তথা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার আমার আছে।

গতরাতে গুলশানে একটি মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। অভিযোগ একটি শিল্পগ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। তার পরিচয় ফেসবুকের সুবাদে আমাদের কারোরই এখন অজানা নয়। তিনি হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার সায়েম সোবাহান। গতরাতের এই কাণ্ডে শুরু থেকেই সবাই অবগত। কে করেছে, কী করেছে, কীভাবে করেছে, কেন হয়েছে সব মিডিয়াগুলোই অবগত। অথচ কেউ একটা সংবাদ ছাপলো না। অনেকক্ষণ পরে এসে প্রথম সারির একটি জাতীয় পত্রিকা খবর করলো তাও নাম, পরিচয় ব্যতিরেকেই। মানে খবরের জায়গাটা কোথায় গিয়ে ঠেকলো? এরপরে অনেকেই করেছে নাম, পরিচয় ছাড়াই। অথচ এমন ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গণমাধ্যমে অভিযুক্তের নাম পর্যন্ত আসেনি। একটা খবর করা দরকার তাই দায়সারা একটা দুই লাইনের কন্টেন্ট দিয়ে উধাও।

আচ্ছা মানুষ যদি খবর ফেসবুক থেকেই জানবে তাহলে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী? হ্যা, ধরে নিলাম নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে নিউজ পাবলিশ করার বিষয়ে। কিন্তু এখানে প্রতিবন্ধকতা নাকি চিরাচরিত ব্যবসায়িক স্বার্থ কাজ করলো? মাসে একটা বিজ্ঞাপন আর পিআর-মার্কেটারের চা চক্রের কাছে মুখ থুবড়ে পড়লো দর্শক/পাঠক চাহিদা সম্পন্ন একটা খবর। বাহ! কোন সাংবাদিক খবর ছাপতে পারলো না। নিজের ওয়ালে তাচ্ছিল্য করতে করতে দু-চারটা পোস্ট করে ঝিমিয়ে গেলো। গণমাধ্যম আবার মন দিলো মামুনুলের কথিত স্ত্রী ঝর্ণার ওপর।

তাহলে যে পেশায় সত্য বলা যায় না, সত্য প্রকাশ করা যায় না, সত্যটাকে আলিঙ্গন করা যায় না সেটা কীভাবে মহৎ পেশা হতে পারে? সত্যটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়াও মিথ্যের সাথে হাত মেলানোর সমান। সত্যকে অস্বীকার করাও তেমনি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এদিকে ক্রমাগত ফোনালাপ ফাঁস করা একটি টেলিভিশনও আজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দর্শকদের ফোনালাপ শোনাতে ব্যার্থ হয়েছে। এর থেকে হাস্যকর আর কী হতে পারে? আচ্ছা সায়েম সোবাহান কী রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী? এই স্বাধীন রাষ্ট্র কী সায়েম সোবাহানদের কাছে এখনও পরাধীন? প্রশ্ন রেখে গেলাম।

তবে একটা কথা। ভুক্তভোগী মেয়ের প্রতি আলাদাভাবে সহমর্মিতা দেখানোর কিছু নেই এখানে। পুলিশের ভাষ্য ও পরিবারের স্বীকারোক্তিতে এটা স্পষ্ট যে লোভে পড়েই ঢাকায় থাকতো ভুক্তভোগী। এবং তার পুরো পরিবারও সুবিধাভোগী। সুতরাং লোভে পাপ, আর পাপে কী হয় তা নিশ্চই অজানা নয় কারও। সায়েম সোবাহানের শাস্তির আগে আমি ওই মেয়ের পুরো পরিবারের শাস্তির দাবি জানাই।
বোধ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি সাংবাদিকতা মহান পেশা। পেশা যদি কাউকে মহৎ করে তুলতে পারে তাহলে শিক্ষকতার পরেই সাংবাদিকতার স্থান। যেখানে চিকিৎসকের অবস্থানও নাকি পরে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবথেকে ব্যবসাসফল পেশাই এগুলো। কথা না বাড়িয়ে প্রসঙ্গে আসি। সাংবাদিকতাকে কেন জঘন্য পেশা বলবো? কী অধিকার আছে এমন তথাকথিত মহৎ একটি পেশাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার? হ্যা আছে, কারণ আমি নিজেই এই পেশার সাথে জড়িত দীর্ঘদিন। কাজ করছি বাংলাদেশের প্রথম সারির এবং প্রথম দিকের একটি গণমাধ্যমে। পড়াশোনাও সাংবাদিকতায়। সুতরাং আমার পেশা তথা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার আমার আছে।

গতরাতে গুলশানে একটি মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। অভিযোগ একটি শিল্পগ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। তার পরিচয় ফেসবুকের সুবাদে আমাদের কারোরই এখন অজানা নয়। তিনি হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার সায়েম সোবাহান। গতরাতের এই কাণ্ডে শুরু থেকেই সবাই অবগত। কে করেছে, কী করেছে, কীভাবে করেছে, কেন হয়েছে সব মিডিয়াগুলোই অবগত। অথচ কেউ একটা সংবাদ ছাপলো না। অনেকক্ষণ পরে এসে প্রথম সারির একটি জাতীয় পত্রিকা খবর করলো তাও নাম, পরিচয় ব্যতিরেকেই। মানে খবরের জায়গাটা কোথায় গিয়ে ঠেকলো? এরপরে অনেকেই করেছে নাম, পরিচয় ছাড়াই। অথচ এমন ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গণমাধ্যমে অভিযুক্তের নাম পর্যন্ত আসেনি। একটা খবর করা দরকার তাই দায়সারা একটা দুই লাইনের কন্টেন্ট দিয়ে উধাও।

আচ্ছা মানুষ যদি খবর ফেসবুক থেকেই জানবে তাহলে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী? হ্যা, ধরে নিলাম নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে নিউজ পাবলিশ করার বিষয়ে। কিন্তু এখানে প্রতিবন্ধকতা নাকি চিরাচরিত ব্যবসায়িক স্বার্থ কাজ করলো? মাসে একটা বিজ্ঞাপন আর পিআর-মার্কেটারের চা চক্রের কাছে মুখ থুবড়ে পড়লো দর্শক/পাঠক চাহিদা সম্পন্ন একটা খবর। বাহ! কোন সাংবাদিক খবর ছাপতে পারলো না। নিজের ওয়ালে তাচ্ছিল্য করতে করতে দু-চারটা পোস্ট করে ঝিমিয়ে গেলো। গণমাধ্যম আবার মন দিলো মামুনুলের কথিত স্ত্রী ঝর্ণার ওপর।

তাহলে যে পেশায় সত্য বলা যায় না, সত্য প্রকাশ করা যায় না, সত্যটাকে আলিঙ্গন করা যায় না সেটা কীভাবে মহৎ পেশা হতে পারে? সত্যটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়াও মিথ্যের সাথে হাত মেলানোর সমান। সত্যকে অস্বীকার করাও তেমনি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এদিকে ক্রমাগত ফোনালাপ ফাঁস করা একটি টেলিভিশনও আজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দর্শকদের ফোনালাপ শোনাতে ব্যার্থ হয়েছে। এর থেকে হাস্যকর আর কী হতে পারে? আচ্ছা সায়েম সোবাহান কী রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী? এই স্বাধীন রাষ্ট্র কী সায়েম সোবাহানদের কাছে এখনও পরাধীন? প্রশ্ন রেখে গেলাম।

তবে একটা কথা। ভুক্তভোগী মেয়ের প্রতি আলাদাভাবে সহমর্মিতা দেখানোর কিছু নেই এখানে। পুলিশের ভাষ্য ও পরিবারের স্বীকারোক্তিতে এটা স্পষ্ট যে লোভে পড়েই ঢাকায় থাকতো ভুক্তভোগী। এবং তার পুরো পরিবারও সুবিধাভোগী। সুতরাং লোভে পাপ, আর পাপে কী হয় তা নিশ্চই অজানা নয় কারও। সায়েম সোবাহানের শাস্তির আগে আমি ওই মেয়ের পুরো পরিবারের শাস্তির দাবি জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৮
১২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×