somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরিফের পোস্টেড "খত্‌নার প্রয়োজনীয়তা আসলে কি?" এর জবাবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ধর্ম চর্চ্চা মানে শুধু নিজের ধর্মকে জান তা নয়, সব ধর্মকেই জানা উচিৎ বলে আমি মনে। কারণ এতে অন্য ধর্ম থেকে আমার নিজের ধর্ম কতটুকু সঠিক বা রেসনার তা আমরা ভাল ভাবে জানতে বা বুঝতে পারি। এ কাজটা একমত্র ধর্মিক গবেষকরাই করে থাকে, সাধারণ ধার্মিকরা এটা করতে পারে না বা করতে চাই না। এটারও কারণ আছে, তারা ধর্মিক গবেষকদের প্রতি এতই বিশ্বস্ত যে, অন্ধের মত তাদের কথা শুনে ধর্মকে বিশ্বাস করে। ধর্ম সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ততটুকু যতটুকু ধর্মগুরু কাছ থেকে পাওয়া। এই জন্যেই আমরা সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে বলে থাকি তারা ধর্মে অন্ধ বিশ্বাসী। যেটা আসলেই ঠিক না এবং আমি এদেরকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি। কারণ এতে পথভ্রষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। ঈমান যে কোন সময় নষ্ট হয়ে পাপ হতে পরে। তারপরেও যাহোক তারা একটা বিশ্বাসকে নিয়ে সহজ সরল ভাবে ধর্ম পালন করছে, পাপ এবং পুণ্যের মাধ্যমে।

কিন্তু আরিফের নাস্তিকতা এতই অজ্ঞতা পূর্ণ যে, সত্যিই তা হাস্যকর বিষয় বস্তুতে পরিনত করে তুলে। এই ধরনের পোস্ট দিয়ে সে এতদিন আনন্দ লাভ করে এসেছে এই কারনে যে এখানে তার ঐসব পোস্টের বিপরীতে কেউ যুক্তিযুক্ত ভাবে প্রতিবাদ করতে পারে না। এটারও কারণ এই যে তার পোস্টের বিপরীতে যারা যুক্তিযুক্ত মন্তব্য করবে তারও এর উত্তর জানে না তাই। এই সুযোগটা সে দির্ঘদিন থেকে নিয়ে এসেছে। ফলে সে অযৌক্তিক বিষয় বস্তু নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে চুপচাপ মজা দেখে সাইড লাইনে বসে এবং সাধারণ ধর্মভীরু ব্লগাররা নিজেরা নিজেরাই লাড়াই করতে থাকে।

নাস্তিকদের বলতে শুনেছি এরা নাকি অনেক যুক্তিবাদী। তবে যুক্তিবাদী হতে হলে তাকে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হয় এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনা করে তা তারা সেই বিষয়গুলোর উপর যথেষ্ট পড়াশুনা করে ভালবাবে জেনে তবেই তা নিয়ে যুক্তি তর্কে নামে। কিন্তু আরিফ এতই ধুরন্ধর ধরনের চালাক নাস্তিক যে, ধর্ম বা ধর্মীয় মানুষের বিশ্বাসকে নিয়ে খেলা করা যায়, এমন বিষয় বস্তুকে নিয়ে অতি সন্তর্পনে সেই বিষয়গুলোর উপর কোন জ্ঞান লাভ না করেই মানুষের লিখা কিছু চটি পোস্ট পেস্টিং করে বেড়ায় বিভিন্ন ব্লগে। অতি চালাক হওয়া সত্তেও ধর্ম সম্পর্কে তার যে জ্ঞান এতই কম তা বোঝা যায় তার পোস্টের লিখার ধরন দেখে। কারণ এই কাজে সে অতটা পটু নয় বলেই হয়তো এটা ঘটে থাকে।

এখন আসি তার পোস্টেড "খাতনার প্রয়োজনীয়তা আসলে কি" ( Click This Link ) সম্পর্কে কিছু কথায়। সে জানে না এই বিষয়টা কিভাবে এসে। এই উক্তিটিই প্রমান করে সে ধর্ম নিয়ে কোনই পড়াশুনা করেনি। কারণ খতনা সম্পর্কে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা আছে। ঘটনাটা এভাবে বর্ণনা করা আছে, একদিন জিব্রাইল অব্রামের কাছে এসে বলে তোমার জন্যে সুসংবাদ আছে। ঈশ্বর তোমার জন্যে সন্তান দান করবেন। ফলে তোমার নাম আব্রাম থেকে আব্রাহাম করা হলো। আব্রাম মানে পিতা এবং আব্রাহাম মানে মহাপিতা। তুমি একসময় সমগ্র বিশ্বের পিতাতে পরিনত হবে। তাই তোমার পরিচিতির জন্যে তোমকে এখনই খতনা করতে হবে এবং তোমার বংশধর যারা তারও এই খাতনা করতে থাকবে। এই দুনিয়া যাদের খাতনা করা পাবে তারাই তোমার বংশদ্ভূত বলে পরিচিতি লাভ করবে।

এই হলো খাতনা প্রচলনের ইতিহাস। যাহোক সে আরও একটি কথা বিজ্ঞানের দোহায় দিয়ে সেই পোস্টে লিখেছে। তার এই রকম বিজ্ঞানের দোহায়গুলো দেখে মনে হয় সেও ধর্ম ব্যবসায়ী ধর্ম প্রচারকের চেয়ে কম না। কারণ ধর্ম ব্যবসায়ী ধর্ম প্রচারকরা তাদের ধর্ম ব্যবসা ঠিক রাখার জন্যে যেমন তেমন হদিস বা ফিকাহ বা ফতুয়া তৈরী করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে, সেও সেইরূপে ফ্যাক কিছু কথাবর্তাকে বিজ্ঞান বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তার পোস্টে সে লিখেছে, "মেডিকেল সায়েন্স অনুসারে এর কোন দৈহিক উপকারিতা নেই। বরং পুরুষের যৌনতা হ্রাস ঘটায় এটি।" আরিফকে বলবো মুসলিম নয় এমন দেশগুলোর জনসংখ্যা এবং মুসলিম দেশ গুলোর জনসংখ্যা তুলনা করে দেখুক। তাহলে বুঝতে পারবে খাতনার কারনে সেক্স কম হয় নাকি। তাও যদি বিশ্বাস না হয় তাকে এই লিংটা ( Click This Link ) পড়তে বলি, দেখ মুসলমানের সেক্স কি আসলেই কম না বেশী।
১৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×