ব্লগে রিভিউ পড়তে পড়তে অবশেষে দেবী দেখে এলাম।(২৫/১০/২০১৮ বিকেল ১.৪৫ যমুনা ফিউচার পার্ক ব্লক বাষ্টারে )
না আমি কোন নূতন রিভিউ দিতে চাইনা, দেবী দেখার আগে ও পরে আমার অনূভূতি কেমন হয়েছে শুধু তা তুলে ধরতে চাই ।
আগেই বলে নেই, ব্লগে কাভা ভাই,চঞ্চল হরিণী ও খায়রুল আহসানের রিভিউ পড়ে শক্ত পোক্ত হয়ে হলে ঢুকলাম।
সাথে যদি প্রিয়জন কেউ থাকে তাঁকে নিয়ে যান। ভয়ের মুহুর্তে যখন আঁতকে উঠে আপনার হাত খামচে ধরবে, তখনই মুভির সফলতা টের পাওয়া যাবে। হা হা হা। ,
কাভা ভাইর কথা মনে রেখে প্রিয়জন সঙ্গে নিলাম দেখি কেমন একশন হয় ।
ছবির প্রথমেই ১৭৫৭ সাল থেকে ২০১৮ তে আসার দৃশ্য এত দ্রুত দেখানো হয়েছে যে, অনেকে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারে নাই,
আমার সঙ্গের প্রিয়জন, তার কোন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না ।
রানুর চরিত্রে জয়া আহসান অবশ্য ভালো করেছে, বিশেষ ভাবে ভালো লাগল ভয় পেয়ে পানি পানের দৃশ্যটি । তবে দু এক স্হানে অতি অভিনয় মনে হয়েছে ।
দেবী ছবিতে ভয় পাবার জন্য অনেক কৌশলী পদক্ষেপ ছিল, যা আমার কাছে ভয়ের বলে মনে হয় নাই, তবে দূর্বল চিত্তের
দর্শকের জন্য ভয়ের উপাদান ছিলো । যারা নিয়মিত ভারতীয় হরর ছবি দেখে অভ্যস্হ তাদের ভয় পাবার কথা নয় । ভয় পাবার জন্য যে সকল হঠাৎ হঠাৎ উচ্চস্বরে ক্যামোফ্লেক্স তৈরীর চেষ্টা হয়েছে তা কর্ণে ভীষনভাবে আঘাত করেছে । এখানে আরও বিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল। মিসির আলী চরিত্রটি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে তাই আমার অনুভুতি বলতে চাই, একজন গোয়েন্দা বা অনুসন্ধানকারীর চোখে মুখে যেটুকু দিপ্তী বা সার্চ লাইটের আলো থাকা দরকার ছিলো তা খুঁজে পাইনি ।
মুখের ফোকাসটা আমার একদম ভালো লাগেনি । নিলুর চরিত্রে শবনম ফারিয়া অত্যন্ত ভালো করেছে, ছবির শেষ প্রান্তে ধীরে ধীরে রানুর অবয়ব প্রাপ্তিটা, দর্শকদের জন্য ভালো চমক ছিলো ।
বাস্তবে ছবিটির থীম হিসাবে বির্তক থাকতে পারে, চলমান সমাজের উপর এর কোন প্রভাব পড়বে না, তাই হরর বা
প্যারা সাইকোলজিকেল মুভি হিসেবে দেখাই শ্রেয়।
সবাইকে ছবিটি দেখার জন্য আমন্ত্রন থাকল ।
(ঢাকায় না থাকায় দেরিতে পোষ্ট দেবার জন্য দু:খিত )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫