২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালের একদিন।
মিশরীয় কন্যা হুরাইরার বয়স তখন কেবল ১৫ বছর।
দরজা খুলেই সে দেখল বাইরে এক পুরুষ তার বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গে কথা বলছে ।
তার সামনেই হলো সব কথাবার্তা। মাত্র ১,৭৫০ ইউরো (প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা) মোহরানার বিনিময়ে সৌদি আরব
থেকে আসা সেই ব্যক্তিকে তার বিয়ে করতে হবে। ওই বিয়ের বয়স ছিল মাত্র ২০ দিন।
এই বিয়ের মাধ্যমে ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হতে হয় হুরাইরাকে।
এরপর গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ। হুরাইরাকে আবার বাবা-মায়ের কাছে ফেরত দিয়ে নিজ দেশে ফেরত চলে যান
ওই সৌদি নাগরিক।আর কখনো সে ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়নি হুরাইরার।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মিশরে যৌনকর্মীদের আরেক নাম ‘গ্রীষ্মকালীন স্ত্রী’। তাদেরই একজন হুরাইরা।
প্রতি বছরই উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে এমন ‘স্ত্রী’ বেছে নিতে মিশরে আসেন পর্যটকেরা। এর বিনিময়ে
মেয়ের পরিবারকে যে অর্থ দেয়া হয় তা তাদের জন্য অনেক কিছু।
হুরাইরার বয়স এখন ২৮। এর মধ্যে তার আরো আটবার বিয়ে হয়েছে। প্রতিবারই অল্প কিছুদিনের জন্য। নিজের অতীত নিয়ে তিনি লজ্জিত এবং নিজের আসল নামও প্রকাশ করতে চান না।
বাইরে বের হলে নিজেকে কালো নেকাবে সবসময় আড়াল করে রাখেন ।
হুরাইরা এখনও তার বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গেই আছেন। সৎ বিয়ের জন্য মনে মনে একজন সত্যিকার প্রেমিক পুরুষের
সন্ধান করছেন ।তবে হুরাইরার সে আশা পূরণ হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। কেননা মিশরে গ্রীষ্মকালীন স্ত্রীদের
খুবই খারাপ চোখে দেখা হয়।মিশরের রক্ষণশীল সমাজের কোনো পুরুষই এমন মেয়ে বিয়ের যোগ্য মনে করেন না।
সে জন্য হয়তো কোনো বিদেশি পর্যটকের সঙ্গে আরেকবার গ্রীষ্মকালীন বিয়েতে রাজি হতে হবে হুরাইরাকে।
সূত্র : ডেইলি হান্ট।
একটি মিশরীয় সরকারী সংস্থা, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর চাইল্ডহুড অ্যান্ড মাদারহুডের চাইল্ড অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং ইউনিট দ্বারা প্রাপ্ত তদন্তে দেখা গেছে যে সমীক্ষিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতারা মেয়েদের চেনেন যারা এই ব্যবসায় জড়িত আছেন এবং তাদের বিশ্বাস ছিল যে হার বাড়ছে। এটি সত্য যে ক্রেতা্দের সিংহভাগই উপসাগরীয় দেশ থেকে আসছে ,
সৌদি আরব থেকে ৮১ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১০ শতাংশ এবং কুয়েত থেকে ৪ শতাংশ।
......................................................................................................................................................................
এবার আপনারাই বলুন, মুসলিম দেশ থেকে আগত পর্যটকরা মুসলিম দেশেই, ইসলামকে পুঁজি করে যে কান্ড ঘটায় তার বিচার করবে কে ???
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪২