(উৎসর্গঃ ওয়াহিদ সুজন,বন্ধু প্রিয়)
আমরা হতে পারি নীলাম্বর,অক্ষয়
গাছের চূড়া সাক্ষী, কুয়াশা পেছনে
অবিরাম দৌড়; এই গভীর শীতরাতে
কারো জন্য লিখি যেন শের অনশ্বর
লিখেছি ঘনগদ্য, শীতকম্প পাখির কথা
ব্যাকুল কুয়াশা মেখে ডানার ওমে
জাগ্রত হৃদয়। পাখির কাঁপন অনেক
দেখেছি শীতে, ঝরতে দেখিনি কোন
অমর অক্ষয় পালক …
পালক উড়তে পারে, কোন কোন রাস্তায়
এঁকে দিতে পারে ছক; ফের আমরা যারা
চলেছি সে পথে – কবিতাবিদ রাষ্ট্রবিদ
আরও আরও সঙ্ঘনায়ক : আমাদের
কো্টরে কত স্পষ্ট স্মৃতি, নির্জলা নিঃসীম
পালক বিভঙ্গ পাখির নিঃসঙ্গ কান্নার মত ।
পাখি-কান্নায় আকূল পৃথিবী,আভূমি নত
নিরেট নিঃসঙ্গ নির্মাণে যে গাছের আত্মা
ক্ষয় হয়, শেকড় পর্যন্ত বাড়বাড়ন্ত পাতাহীন;
তারও বহুল সখ্য থাকে পাখির জন্য …
এভাবে লিপিজটে শব্দপট খুলি, বর্ষাঘন
উজানিগাঙ্গেয় মাছের উদ্যমে । ঘোররাতে
বালুভূমে কাটানোর আস্বাদে এবং
পুনমসন্ধ্যায় খাদকোণে দাঁড়ানো মুহূর্তের
ঠিকুজি জেনে নিতে ।
পৃথিবীতে এখন যত রাত ততই নির্মম সুন্দর ।
নির্জন কুয়াশালগ্ন রাত, অলো্কসামান্য
পাতা-অন্তর্বর্তী পাখির নিদ্রালু লাজ
কখ্খনো কি ভেবেছিল – আকাশপথে
এমন সঙ্কোচহীন যাত্রা, দ্বিধাকম্পিত
শূন্য পাখনা মেলে !
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



