নিন্দুকেরা বলে পুলিশের চেয়ে সাংবাদিক নাকি আরও খারাপ। কেউ কেউ আবার সাংঘাতিক বলেও সম্বোধন করে থাকেন। সে যাই হোক আমরা সাংবাদিকদের আলোর দিশারী হিসাবে ভাবতাম। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সবকিছুই যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে!
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের আন্দোলনের মধ্যে রোববারের হাতাহাতির ঘটনার পর আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। এছাড়া এটিএন বাংলার টক শোসহ সব অনুষ্ঠান বর্জনের জন্যও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সাংবাদিকদের চারটি সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এই ঘোষণা দেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মাহফজুর রহমানের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী হল নাম্বার ওয়ান ভন্ড। উদাহরণ হিসেবে বলি, রাজউকের গত পূর্বাচল প্রকল্পে দু চারজন সাংবাদিককে লটারির মাধ্যমে প্লট দিয়ে ওই কোটায় বাকি অন্তত ৩০০ প্লট তিনি আওয়ামী লীগের দাসানুদাস সাংবাদিকদের মধ্যে বন্টন করেছেন লটারি ছাড়াই, একেবারেই গোপনে। কারো কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়েও তিনি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এবারও যতোদূর জানি, ঝিলিমিলি প্রকল্পে তিনি ওই একই কাণ্ড করার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন।
এই লোককে আওয়ামী লীগের দাস বলাই ভালো। নির্বাচনও করেছেন আওয়ামী লীগের টিকেটে। সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলনে তার সম্পৃক্ততা কেবলই তার নিজস্ব অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে, বিবেকের সেখানে ভূমিকা নেই, সাংবাদিকদের স্বার্থোদ্ধার তো দূরের।
ব্যাপারা টা এমন হয়ে গেছে ইকবাল নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ভাল সেজে আন্দোলনকে স্থির করে ফেলছে আর মাহফুজুর ঘেটুপুত্রদের দিয়ে প্রকাশ্যে কাজটা করছে ।
কিন্তু দুঃখের বিষয় মাহফুজুরকে সবাই জুতা মারলেও সোবহানকে কেউ মারবেনা। কারণ সে আওয়মী লীগ ঘরানার একজন সাংবাদিক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


