somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ...........................

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মার একটি চোখ ছিল । আমি তাকে দেখতেই পারতাম না । সব জায়গাতেই তার জন্য আমার লজ্জা পেতে হত । তার বিদঘুটে চেহারা দেখে সবাই আমাকে উপহাস করত ।
আমি সব সময়ই বলতাম যে তুমি মরতে পারনা ?? তোমার জন্য আর কত হাস্যকর পাত্রে পরিণত হব আমি ??
যাই হোক, এক সময় আমি উচ্চশিক্ষার জন্য বাহিরে পড়তে গেলাম । সেখানে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি বিয়ে করলাম । আমি আমার স্ত্রী আর ২ টি মেয়ে নিয়ে বেশ ভালই সুখে ছিলাম ।
একদিন মা আমার সাথে দেখা করার জন্য আসলেন । এত বছরের মধ্যে আমার বা আমার পরিবারের কারো সাথে মার দেখা হয় নাই । মা যখন দরজার সামনে দাঁড়ালেন, তখন আমার সন্তানেরা মা'কে দেখে হেসে ফেলল । আমি লজ্জায় তখন তাকে ধমক দিয়ে বললাম,"কে আপনি ? এখানে কেন এসেছেন ? আপনার সাহস কত যে আপনি আমার সন্তানদের ভয় দেখাচ্ছেন ? "
মা বুঝতে পেরে বলল, ওহ ! দুঃখিত । আমি ভুল জায়গায় এসেছি ।
কিছুদিন পর আমি এক নিকট প্রতিবেশীর কাছে খবর পেলাম যে আমার মা মারা গেছে । আমার মাঝে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হলনা । আমি গেলাম আমাদের সেই পুরনো বাড়িতে ।
একজন প্রতিবেশী আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বলল যে আমার মা আমার কাছে দিতে বলেছেন ।
আমি চিঠিটি পড়া শুরু করলাম। >>>>>
" আমার প্রানপ্রিয় পুত্র ,
আমি সবসময় তোমাকে নিয়েই ভাবি । আমি অতিশয় লজ্জিত যে আমি তোমার সন্তানদের ভয় দেখিয়েছিলাম ।
আমি খুবই দুঃখিত যে আমি সবসময়ই তোমাকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছি ।
দেখ, আসলে তুমি ছোটবেলায় খুবই ভয়ংকর এক্সিডেন্ট করেছিলে, যার জন্য তোমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মা হিসেবে আমি তা মানতে পারিনি । তাই আমি তোমাকে আমার একটি চোখ দিয়ে দিই।
আমি মা হিসেবে খুবই আনন্দিত যে আমার ছেলে এই দুনিয়াকে প্রানভরে দেখছে ।
তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি ।
তোমার মা ।"
....আমার কিছুই বলার নেই। একটা কথাই বলবো, মা-বাবার প্রতি বিরূপ না হয়ে তাঁদের প্রতিভালোবাসা দেখান। তাঁদের মনে কষ্ট দিয়েন না।
(collected)
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×