ভবিষ্যতে কেউ যাতে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই সরকার গঠন করবে।’ আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতির (নোয়াব) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া উচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করার পথ সুগম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটির কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা সুসংহত করতে এমনভাবে সংবিধান সংশোধন করা হবে, যাতে কেউ আর অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় আসতে না পারে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্যতার কথা উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া কখনোই একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
নোয়াবের প্রতিনিধিরা বর্তমান সরকারের নেওয়া সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, তাঁরা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন। বৈঠকে নোয়াবের নেতারা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের আমলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে পরিচিতি ছিল, এখন আর তা নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল।
সব অন্যায়ের বিচারের ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লে¬খ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হবে ইনশাআল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে দেশে অসাংবিধানিক শাসন চালুর রাস্তা করে দিয়েছিলেন। মতবিনিময়কালে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার রায়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারে আপনার পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’ ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সম্পাদক ও নোয়াবের সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন ইত্তেফাকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকালের গোলাম সারওয়ার, সংবাদের আলতামাস কবির, নিউজ টুডের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলোর মতিউর রহমান প্রমুখ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




