somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্টারনেটে জামায়াত-শিবিরের প্রপাগাণ্ডা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর সঙ্গে জামায়াত-শিবির সমথির্ত
একদল প্রযুক্তি বিশেষঙ্গও কাজ করে যাচ্ছেন
-আনিস রায়হান
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সালের আই এম এফ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগ সরকার। আওয়ামীলীগ সরকার
বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে চায়, এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের কিছু অনুষ্ঠান দেখলে বুঝা যায় যে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। ই-মেইলের
মাধ্যমে ছেলেকে বাবার চিঠি, গ্রামে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি সম্যাসা সমাধানসহ নানা ডিজিটাল কাহিনী। ডিজিটাল সরকারের আমলে
গ্রেফতার হন জামায়াত ইসলামীর আমিরসহ বেশ কয়েক জন নেতা। প্রথমে জামায়াত ইসলামী শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলন
করে ডিজিটাল সরকার রাজপথে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী দ্বারা তাদের অপসারন করে। অস্ত্র আর লগি-বৈঠার সামনে বেশিক্ষন
দাড়াতে পারেনি জামায়াত ইসলামী, দেশীও মিডিয়ার তেমন সাহায্য পায়নি তারা। শেষ পর্যন্ত জামায়াত ইসলামী বিশ্ব মিডিয়ার আশ্রয় নেয়।
তারা ইন্টারনেট ব্যবস্তাকে কাজে লাগিয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন ডিজিটাল সরকার জামায়াত ইসলামীর শেষ আশ্রয়ে
আগাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিম্নে পয়েন্ট ভিত্তিক একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে তা খন্ডনের চেষ্ঠা করছি।

পত্রিকার পরিচিতিঃ

পত্রিকার নাম সাপ্তাহিক। প্রতিবেদনটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। বর্ষ ৩ প্রকাশনা কাল ২ ডিসেম্বর ২০১০।

জামায়াত-শিবিরের মেধার কাছে পরাজিত???:

এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল ডিজিটাল স্লোগান নিয়ে। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহনের পর তাদের অঙ্গ-সংগঠনের বাংলাদেশকে এনালগিই থাকতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ ব্যস্ত ছিল
প্রশাসন দলীয় করণে যুবলীগ ঠেন্ডারবাজি আর ছাত্রলীগ চাদাবাজি, ছিনতাই, হত্যা, গণ-ধষর্ন আর ইভটিজিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে তারা ব্যায়শাল তৈরি করছে
পড়ালেখা দূরে তাক তারা তো অস্ত্র আর নারী নিয়েই তারা বেশামাল। জামায়াত-শিবিরের মেধার কাছে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ তারই প্রমান মিললো এই প্রতিবেদনে।
"সরকারের অসচেতনতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত-শিবির
এখন আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম বাহন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার ক্ষেত্র হিসেবে"
প্রতিবেদনের অন্য আংশে বলা হয়: "ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নানা ধরনের ভুল তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সারা
পৃথিবীতে। এসব লেখায় যুক্ত করা হচ্ছে নানা ধরনের অপমানসূচক ব্যঙ্গচিত্র এবং সংবাদপত্রের কাটিং"

তথ্যের ক্ষেত্রে মানা গেল জামায়াত-শিবির যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে তাহলে তারা অপরাধ করছে। আর পত্রিকা সংবাদ তো আর মিথ্যা নয়, এগুলো প্রবাসী আর সচেতন
বিশ্ববাসীকে জানালে আওয়ামী লীগের এত জ্বলে কেন?

প্রতিবেদনে আরও বা হয়: "অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ কাজে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ
পড়ুয়া শিবিরকর্মী। বিদেশে অবস্থানকারী কর্মজীবী সাবেক শিবিরকর্মীদেরও একটা বড় অংশ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে"

আপনাদের ছাত্রলীগ কয়ই? ভালো ভাবে পড়ালেখা করলে ছাত্রলীগ একটা কেন হাজারটা সাইট খুলতে পারবে। দাদারা এগুলো খুলতে আর পরিচালনা কতে যে মেধা আর
শিক্ষার প্রয়োজন আছে এখন তা বুঝলেন। আরে ছাত্রলীগ দাদারা এখন নারী, মদ আর অস্ত্রের পিছনে না ঘুরে পড়ার টেবিলে বসুন।

নিয়ম-নীতি!!!!:
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- "ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না।
সরাসরি প্রচারণা চালানো হচ্ছে"

আনিস ভাই ওয়েব সাইট খুলতে কী কী নিয়ম-নীতি মানা লাগে? কোথায় সেই নিয়ম-নীতি লিপিবদ্ধ? আকাশের কততম স্তরে গেলে সেই নিয়ম-নীতির পুস্তক পাওয়া যাবে?
আর ওয়েব সাইটে প্রচারনা ব্যাপারে কী আপনারে বাতাসেও ১৪৪ ধারা জারি করছেন?

ফ্রি জামায়াত লিডারস:
প্রতিবেদনের এই অংশে বলা হয়: "এর মাধ্যমে চালানো হচ্ছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের মুক্তির পক্ষে প্রচারণা।
সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণের আদলে এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত যোগ করা হচ্ছে ঘটে যাওয়া এ সংক্রান্ত সব খবরাখবর।
প্রতিদিন এই সাইটটিতে কয়েক হাজার মানুষ ঢুকছেন"

জামায়াতের নেতাকর্মীদের মুক্তির পক্ষে রাজপথে তো প্রচারনা করতে দেয়নি সরকার তাই এখন শেষ ভরসা অনলাইন. আর এ সংক্রান্ত সব খবরাখবর পাওয়া না গেলে
কি ভাবে বুঝবো যে আপনারা কত জনকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিঠিয়ে মেরেছেন আর কত জন কে গুম করেছেন.

সোনার বাংলাদেশ ব্লগ:
এই অংশে বলা হয়েছে "ব্লগটি পুরোপুরি জামায়াত-শিবিরপন্থিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে"
এখানে দুষ্ঠু মেয়েকে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, এবং একজন কোণঠাসা ব্লগার হিসেবে বলা হয়েছে. এখানে রোদেলা নামের ব্লগার কে একই কথা বলা হয়েছে.
প্রতিবেদক তিতুমীর, পচাঁত্তরের হাতিয়ার এবং এ্যাডভেঞ্চারস ভয়েজকে মুক্তি যুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন.

সামোয়্যরইনব্লগ প্রসঙ্গে:

এই ব্লগ প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন "এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্লগসাইট হিসেবে স্বীকৃত"
তিনি আরো বলেন "বিশ্বস্ত সূত্রে প্রকাশ, এই ব্লগের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক এবং বর্তমান বেশ কয়েকজন শিবিরকর্মী রয়েছেন"
তাহলে আওয়ামীলীগের ডিজিটাল নীতির সবটুকুর দখল কী এখন শিবিরের হতে.

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহকৃত: http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=4545
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×