somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহবাগের উত্তাল স্রোত ছুঁয়েছে সিলেট

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শাহবাগের উত্তাল স্রোত ছুঁয়েছে সিলেট



দেশের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল সিলেট। আন্দোলনে সংগ্রামে চিরকালই জাগ্রত। শাহবাগের উত্তাল গণজাগরণ স্পর্শ করেছে সিলেটকে। কাদের মোল্লা সহ সকল যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে রাজধানীর শাহবাগের মতোই ফুঁসে উঠেছে সিলেটের চৌহাট্ট। সিলেটের এই তুমুল গণজাগরণ নিয়ে কয়েকটি নিউজ-


সিলেটনিউজ২৪.কম

শাহবাগ হয়ে ওঠেছে সিলেটের চৌহাট্টা: স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত চারপাশ
বিশেষ সংবাদদাতা

শাহবাগ হয়ে ওঠেছে সিলেটের চৌহাট্টা।সিলেট নগরীর প্রধান সড়ক চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে শুরু করে জিন্দাবাজার।মানুষ আর মানুষ। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত চারপাশ।চলছে বক্তৃতা, তরুণ-তরুণীদের নাচ গান চিৎকার। দলে দলে চলছে জাগরণের গান।

এ চেতনা মুক্তিযুদ্ধের। এ স্লোগান গান, এ মুখরতা কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবিতে। এ জনস্রোত সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে।আর পাশের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে চলছে ওয়াজ মাহফিল।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘কাদের মোল্লা’র ফাঁসি চাই, এ এক দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা ও সংস্কৃতিকর্মীরা।

একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। ফাঁসির দাবিতে একাত্মতা পোষণ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

এরআগে বিকেল ৩টা থেকে ছাত্র-জনতা ও সংস্কৃতিকর্মীরা শহীদ মিনারের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। প্লেকার্ড ও ফেস্টুন সম্বলিত খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।

সন্ধ্যার আগই চৌহাট্টা এলাকা পরিণত হয় জনতার উপচে পড়া ঢলে। কেউ মোম জ্বালিয়ে, অনেকে আবার রাস্তার ওপর ব্যঙ্গঁ কার্টুন আঁকছে গোল হয়ে বসে, কেউ মশাল মিছিল করে প্রতিবাদ মূখর করে রেখেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেকে। মাইকটিকে সারাক্ষণ সরব করে রেখেছে তরুণ প্রজন্ম।

সেখানে চলছে বক্তৃতা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান আর মূর্হুমূর্হু স্লোগান। গণ আদালত বসিয়ে একাত্তরের এ ঘৃণ্য অপরাধীর প্রতীকি রায় ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
সাথে সাথে প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করে ঘৃণার বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয় এ জনস্রোত থেকে। বিস্ফোরণোন্মুখ তরুণ প্রজন্ম কাদের মোল্লার কুশ পুত্তলিকা দাহ করে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এ জনস্রোতে তরুণ-তরুণী ছাড়াও একাত্মতা পোষণ করেন সমাজের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত মানুষ। তাদের একটাই দাবি কাদের মোল্লার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তারা কেউ ঘরে ফিরে যাবে না।#

সিলেটের আলাপ

শাহবাগের অবস্থান বিক্ষোভ সিলেটে ছড়িয়ে পড়েছে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ফুঁসছে সিলেট

ছামির মাহমুদ,সিলেট: ‘যে আগুন জ্বলছে শাহবাগে, সে আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে, এ কেমন রায় হলো-বধ্যভূমি কাঁদে কেন’ কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি সম্বলিত ব্যাণার ফেস্টুন নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনের রাস্তায় বসে পড়েন জনপ্রিয় লেখক শহীদ পরিবারের সন্তান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এর পরপরই বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যাণার, প্ল্যা-কার্ড হাতে একে একে রাস্তায় অবস্থান নেন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূহুর্তের মধ্যে চৌহাট্টা মোড় থেকে জিন্দাবাজার এলাক্ াপর্যন্ত কয়েক সহস্রাধিক মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। একই সময়ে সড়কের অপরপ্রান্তে তরুণ-তরুনীরা জাগরণের গানে সুর তুলেন ‘এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে’...। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গতকাল বিকেল চারটা থেকে রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচি পালনে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের হাজারো আন্দোলনকারী। গান, স্লোগান ও বক্তৃতার মধ্য দিয়ে চলে ক্ষোভ আর প্রতিবাদ।প্রতিবাদী গান আর স্লোগানে স্লোগানে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তাদের ফাঁসির দাবি উঠেছে সমবেত জনতার কণ্ঠে। এ ছাড়া তাঁরা চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়কে প্রতিবাদী নানা আলপনা এঁকেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলছে পুরো এলাকা। এর আগে শাজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) থেকে মিছিল সহকারে শহীদ মিনার এলাকায় আসে। এসময় মিছিলে নেতৃত্ব দেন শাবির পদার্থ বিদ্যা বিভাগের প্রধান ড.ইয়াসমিন হক, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুক্তিযোদ্ধা ড. সুশান্ত কুমার দাস, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. মুস্তাবুর রহমান মুস্তাব, সহসভাপতি ড. এম এ গণি, শাবির শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. নাজিয়া চৌধুরী। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রী হলের পক্ষ থেকে একটি আলাদা ব্যাণার সহকারে কয়েক শতাধিক ছাত্রী মিছিলে নানা ফেস্টুন ব্যাণার নিয়ে অংশ নেয়। মিছিলটি শহীদ মিনার এলাকায় এসে পৌছলে বিপুল করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে শহীদ মিনারের সানের রাস্তায় অবস্থান নেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি শুভেন্দু ইমাম, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট মহানগর জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, অঙ্গীকার বাংলাদেশের পরিচালক অ্যাডভোকেট মঈনুদ্দিন আহমদ জালাল, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সম্মিলিত সাং¯কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিরঞ্জন দে, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কীম, বাউল গবেষক ও লেখক সুমন কুমার দাস, শাবি শিক্ষক নিখিল নীল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ছামির মাহমুদ, মদন মোহন কলেজ বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক প্রণব কান্তি দে সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদ। অবস্থান সমাবেশে উপস্থিত তরুণেরা বলছেন, যতক্ষণ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় না দেওয়া হয়, ততক্ষণ কর্মসূচি চলবে। আমরা বাড়িতে ফিরে যাব না। প্রয়োজনে নতুন আইন করে তাঁর ফাঁসি দিতে হবে। বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, সংস্কৃতিকর্মীদের আগমনে অবস্থান কর্মসূচীতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। উদীচীর শিল্পীরা গেয়ে শোনান, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘আমার দেশ সব মানুষের’, ‘মা গো ভাবনা কেন’সহ বেশ কিছু গান। গতকাল বিকেলে শহীদ মিনার এলাকায় সমবেত হয়ে অবরোধ অবস্থান শুরু করে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন সূত্রে জেনে ধীরে ধীরে আরও অনেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন। সমবেত বিক্ষোভকারীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।#

সিলেটের ডাক

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে সিলেটে দুর্বার আন্দোলন জেগে উঠেছে মানুষের মানচিত্র

স্টাফ রিপোর্টারঃ সত্যিই কাঁদতে আসেনি ওরা। অসীম সাহস আর সততা নিয়ে একটি মাত্র দাবীতে ঘর থেকে পথে নেমে এসেছে। এখনো আছে পথে। দাবী না মানা পর্যন্ত পথ না ছাড়ার পণও করেছে এইসব মানুষ। কোনো দল কিংবা নেতার আহবানে নয়, তারা এসেছে প্রগাঢ় চেতনার তাগিদে। দৃপ্ত শ্লোগান নিয়ে তারা অমল কান্তির মত প্রখর রোদ্দুর হতে চায়। তারা ফাঁসি চায়, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি। সকল মানবতা বিরোধীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানোর দাবীতে নতুন প্রজন্ম আকাশকে প্রকম্পিত করে তুলছে। বুকের পাঁজরকে মেলে ধরেছে রাজপথে। অশ্রুপাত নয়, তারা মহাস্রোতে মিশেছেন ফাঁসির দাবীতে। ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে না যাবার শপথও গ্রহণ করা হচ্ছে সেই সঙ্গে। সেই শপথের মশাল শাহবাগের মত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণেও দাউ দাউ জ্বলে উঠেছে। শহীদ মিনার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বহুপথ, বহুমোড়ে। তরুণদের শ্লোগানে শ্লোগান ধরেছেন সকল মানুষ, সর্বস্তরের মানুষ। ফলে সিলেটের মানুষের কাছে শহীদ মিনার এলাকা এখন গণআন্দোলনের সূতিকাগার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় দিনের মত গতকাল শনিবারও একইস্থানে নেমেছিলো জনতার ঢল। নেমেছিলো শপথকামী মানুষের মহাস্রোত। সমুদ্রের মত বাঁধভাঙ্গা সেই তরঙ্গে স্বত:স্ফূর্তভাবে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধারা। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ,বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে তারা যেভাবে নিজেদের অস্তিত্বের টানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধতার প্রদীপ জ্বলে উঠা দেখেও বিমোহিত হন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। জনতার জোয়ারে এসে যোগ দেন শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক। দলে দলে এসে যোগ দেন শিক্ষক, ছাত্র, আইনজীবী, চিকিৎসক। আন্দোলনে এসে মিলিত হন রিকসা চালক, দিনমঞ্জুর থেকে শুরু সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সকল মানুষের স্রোত গর্জে উঠেছে নতুন এক বিপ্লবের আহবানে। এই বিপ্লব এই মহাজাগরণ জাগিয়ে তুলেছে ঘুমন্ত মানুষের মানচিত্র। আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে শহর থেকে গ্রামে। বিকেল থেকে আন্দোলন শুরু হয়। সন্ধ্যার আগেই সেই আন্দোলন মুখর হয়ে উঠে। যত সময় গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে জনতার ঢল। মায়ের হাত ধরে, বাবার সঙ্গে আন্দোলনে এসে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী তুলেছে শিশুরাও। কেউ বুকে পিটে, কেউ কঁপালে বিভিন্ন শ্লোগান লিখে, কেউবা মশাল জ্বেলে যোগ দেন সেখানে। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাস্তায় দলবদ্ধভাবে বসে অাঁকেন যুদ্ধাপরাধীদের ব্যঙ্গ চিত্র। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী সম্বলিত বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে আসেন কেউ কেউ। অনেকে মানচিত্র এঁকে সেখানে ছড়িয়ে দেন ফুলের পাঁপড়ী, শুকনো পাতা। একের পর এক চলে গণসঙ্গীত। কবিরা পাঠ করেন বিপ্লবী কবিতা। মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়া হয় রাস্তার বুকে লেখা বিভিন্ন শ্লোগানের উপর। তবে রাতে আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ করেই মঞ্চ থেকে দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন কয়েকজন। এ সময় দৈনিক সিলেটের ডাক-এর কয়েকটি কপি পুড়ানো হয়। রাতে এ ঘটনা চাউর হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই ঘটনার নিন্দা জানান। সুনামগঞ্জঃ এরা মানবতা বিরোধী, এরা যুদ্ধাপরাধী, এরা জঙ্গী, এদের ক্ষমা নাই- ফাঁসি চাই, এই শ্লোগান নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সুবীর তালুকদার বাপ্টু, সহ সভাপতি মমিনুল ইসলাম মমিন, সাধারণ সম্পাদক করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন, বিজয় তালুকদার বিজু জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, এডভোকেট মলয় চক্রবর্তী রাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনজিত চৌধুরী রাজন, সহ প্রমুখ। অন্যদিকে একই দাবীতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের জেল রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার হাজী আব্দুল মোমেন, ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি আ.ত.ম সালেহ ও জেলা যুব কমান্ডের সভাপতি ওবায়দুর রহমান কোবাদ সহ প্রমুখ। কানাইঘাটঃ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী ও দেশব্যাপী জামায়াত শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গত বুধবার সন্ধ্যায় কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি রাজাগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিমুখী পয়েন্টে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহবুব আহমদ (চুনুর) পরিচালনায় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সুহেল আহমদ, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মাওলানা এফাজ উদ্দিন, বিকাশ চন্দ্র, মানিক মিয়া, নুর উদ্দিন, প্রবাসী কমিনিটি নেতা আব্দুল মানিক, রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফখর মেম্বার, যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, আব্দুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, শহীদ মিয়া, ছালিম উদ্দিন, আছার উদ্দিন, সাগর আহমদ, সোহেল আহমদ, ইলিয়াছ, সেলিম, মিলন, সফিক, ফয়ছল আহমদ, কাশেম আহমদ, সজিব আহমদ, হামিদ আলী, নজমুল রুবেল, মনছুর, আব্দুল্লা ও রিয়াজ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা বাবরুল ইসলাম, খয়রুল ইসলাম, মানিক ও রাকান আহমদ প্রমুখ। বাসদঃ কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবীতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল টিলাগড় পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গণজমায়েতের পাশে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায় এবং পরিচালনা করেন বাসদ সিলেট জেলার সদস্য সচিব রনেন সরকার রনি। বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহা সুমন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর কমিটির সভাপতি ডাঃ জয়দীপ ভট্টাচার্য্য, সহ সভাপতি সাজু সরকার, সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমদ, মদন মোহন কলেজ শাখার আহবায়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, এমসি কলেজ শাখার আহবায়ক শিবিবর আহমদ, শাবিপ্রবি শাখার সদস্য অনিক ধর, ইশরাত রাহী রিশতা প্রমুখ। এদিকে, একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শহীদ আল-মামুন শিহাব স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আলোর মিছিল বের করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে একাত্মতা পোষণ করা হয়। আলোর মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিযুষ কান্তি দে, সুপ্রিয় চৌধুরী রাজ, নির্মল সিংহ, মোঃ আব্দুল মুনিম, শাহনেওয়াজ আলম পলাশ, বিক্রম কর সম্রাট, মোঃ তোফায়েল চৌধুরী বাবু, দিবাকর দেবনাথ, পুজন চৌধুরী, সুজন দাশ, রজত পাল, কৃষ্ণ মণি দাস, রাজন চৌধুরী, সঞ্জয় পাল, তপন চৌধুরী, সজীব গাজী রাহুল, সজল দাশ অনিক, হাসান আহমদ, সুব্রত কর্মকার অনুপ, সাইফুল আলম, বিপ্লব এষ, লিপন শেখ, নূর আলম, ইসলামুল হক সাদী, কার্জন আহমদ, স্বপন দাস, আরশ আলী, মোঃ সাজু আহমদ, বিজিত রায়, নূর আহমদ, অসিত রায়, নিকন রায়, নাঈম আহমদ, প্রণয় দাশ, আশরাফ খান, হানিফ খাঁ, মহিবুর রহমান মানিক, মোঃ ছাদিকুর রহমান, সুমন মিয়া, মিঠু দাশ, বাসু দেব, মোঃ রাসেল আহমদ, ফয়সল আহমদ, মোঃ আশফাক আহমদ বাপ্পি, সাজু আহমদ, মোঃ ফাহিম বখতিয়ার, সাইদুর রহমান, মোঃ বাছিত আহমদ, মোঃ মামুন আহমদ, সালাউদ্দিন, রাজু আহমদ চৌধুরী, বদরুল আমিন, সুমিত দেব, শিপলু আহমদ, জনী, রিফল, রুমেল, সাগর, মাধব, অংকুর, মোয়াজ্জেম প্রমুখ। #

সিলেট নিউজ

সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সিলেটে শহীদ মিনারে প্রতিবাদী ছাত্রজনতার ঢল


নিউজ সংবাদদাতা :কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল তিনটায় তৃতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় একাত্তরের ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানুষের ঢল নেমেছে।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার গণজাগরণের মঞ্চের (শাহবাগ) সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সিলেটে তিনটা থেকে মহাসমাবেশ চলবে গভীর রাত পর্যন্ত। সমাবেশ শেষে পরবর্তী কর্মসূচী নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যতক্ষণ ফাঁসির রায় হবে না ততক্ষণ রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

বিকেল আড়াইটা থেকেই শহীদ মিনারের সামনের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছে।

“ক তে কাদের মোল্লা, তুই তুই তুই রাজাকার”, “আমার ভাইয়ের হত্যাকারী, ছাড়তে হবে দুনিয়াধারী”, “জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়”, “৭১’এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘‘৭১’এ বেঁচেছিস, এবার তোরা বাঁচবি না” এ রকম শ্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড ফেস্টুন হাতে নিয়ে এবং মুখে শ্লোগান নিয়ে প্রতিবাদীরা শহীদ মিনারের দিকে ছুটে আসছেন।

সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে প্রতিবাদী ছাত্র জনতার উপস্থিতি। সেখানে সমবেত সবার মুখে একটিই দাবী, “যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা নাই, কাদের মোল্লার ফাঁসী চাই।” প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জড়ো হচ্ছেন। নির্দিষ্ট সংগঠনের গণ্ডি ছাড়িয়ে এ আন্দোলন পরিণত হচ্ছে মুক্তির গণসংগ্রামে।

গত দুইদিনের অবস্থানে একাত্ম হয়ে সংহতি জানিয়েছেন বিভিন্ন স্তরের লোকজন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সমাবেশে এসেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল, সিকৃবি উপাচার্য মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ তালুকদারসহ অনেকেই।

১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×