
গত কয়েকদিন যাবত সংবাদপত্রে একটি নাম বারবার আসছে, জ্বালানী উপদেস্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরী।
এমন অনেক যদু মদু কদু দেশের উপররের পদ গুলো দখল করে থাকে, একজন্য স্কিপ করে গেছি সংবাদগুলো, কিন্তু আজকে হঠাত করে কেনো যেনো পড়লাম, পড়লাম এই করানেই কারন তার নাম শুধু তৌফিক এলাহী চৌধুরী নয়, তিনি বীর বিক্রম তৌফিক এলাহী চৌধুরী।
গতকালের সংবাদ আবার দেখলাম, বিশিষ্ট অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ তাকে কমিশন ব্যবসায়ী বলছেন, আজকে দেখলাম আর একজন তাকে বিদেশী কোম্পানী গুলোর দালাল বলছেন। তিনি যে এই সব অপকর্মের সাথে যুক্ত এর প্রমানও তারা উপস্হাপন করেছেন।
অথচ এই লোক একদিন দেশের জন্য বীরের বেশে যুদ্ধ করেছেন, ছিলেন অগ্রনী সেনা। আজ স্বাধীনতার ৪০ বছরের দ্বার প্রান্তে তার এই চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে।
গতবছর সংবাদে পড়েছিলাম দেশে কোকাকোলা কোম্পানীর লাইসেন্স মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠানের আছে, একটি হলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট ও আর একটি হলো আব্দুল মোনেম গ্রুপের। বছরের পর বছর মুক্তিযোদ্ধ কল্যান ট্রাস্টের কিছু অসাধু লোক যারা মনে করা হচ্ছে আব্দুল মোনেম কোম্পানীর কাছ থেকে বড় অংকের টাকা খেয়ে এই খাতকে অলাভজনক করে তুলেছেন। যেখান আব্দুল মোনেম কোম্পানী কোকাকোলা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা বছরে লাভ করছে সেখানে এরা ভর্তুকী গুনছে !
দেখাযাচ্ছে কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা রাস্তায় ভিক্ষা করছেন, আর কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা ফুলে ফেঁপে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন।
আমার প্রশ্ন হলো লুটেপুটে খাবার জন্যই কি তারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন?
আজ এই বিজয়ের মাসে ধিক্কার জানাই সেই সুবিধাভোগী আসাধু মুক্তি যোদ্ধাদের আর সশ্রদ্ধাভরে স্বরন করি সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁরা সত্যিই দেশকে ভালবেসে লড়েছেন এবং জীবন সংগোমে লড়ছেন এখনও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




