![]()
অতীতের আরেক কল্পিত বিজ্ঞান হচ্ছে “বিগ ব্যাঙ থিওরি” । মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি কারণ হিসেবে সিঙ্গুলারিটি নামে এক প্রকার বিন্দুর কল্পনা করা হয় । সিঙ্গুলারিটির ভেতর লুকায়িত শক্তির “মহ-বিস্ফোরণ” এর ফলে এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি । এরপর হাজার হাজার বছর ধরে মহাবিশ্ব প্রসারিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে ।
বর্তমানের মহাবিশ্ব যে উপাদান নিয়ে হয়েছে সে সমস্ত পদার্থের ব্যাখ্যা নিয়ে তৈরী হয়েছে আরেক কল্পনার । যার নাম দেওয়া হয়েছে “ ডার্ক ম্যাটার ” । ডার্ক ম্যাটার ধারণাটি এক ধরণের অণুকল্পিত পদার্থ যার প্রকৃতি এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটার হল এমন এক ধরণের পদার্থ যেগুলো আমরা টেলিস্কোপের সাহায্য দেখতে পাই না । পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে মহাবিশ্বের শতকরা ৯০-৯৫% হল এই ডার্ক ম্যাটার বা না দেখা বস্তু । কিন্তু আমরা এই বিশাল পরিমান বস্তু সম্পর্কে এখনো ভীষণ পরিমান অজ্ঞ ।
একটি অসম্পূর্ণ তত্ত্ব হচ্ছে “স্ট্রিং থিওরি”। পুরো বিশ্ব জগতকে ব্যাখ্যা করার জন্য আরেক কল্পনা বিলাস । বর্তমানে বিজ্ঞান জগতে বহুল আলোচিত বিষয় । স্ট্রিং থিওরিকে সহজে বুঝার জন্য আমাদের দেশের বাউলদের হাতের একতারার উদাহারণ দেওয়া যেতে পারে । একতারার তারটার কম্পনের কথা চিন্তা করুণ । স্ট্রিং তত্ত্ব অনুসারে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সকল মৌলিক কণিকায় আসলে এরকম সুতা। এসব সুতা আবার বিভিন্ন কম্পাঙ্কে কাঁপছে। এসব সুতার কম্পাংকের ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্যের মৌলিক কণিকা সৃষ্টি হয়। সুতার কম্পনের পার্থক্যই এসব কণিকার আধান, ভর নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। তাই একমাত্র মৌলিক সত্তা হল স্ট্রিং, যা থেকেই মহাবিশ্বের সকল বস্তু ও শক্তির সৃষ্টি।
দেখুন, এ সমস্ত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব গুলো প্রতিষ্ঠিত কিন্তু প্রমাণিত নয় । মিডিয়াতে এ বিষয় গুলোর অধিক প্রচারণা মানুষের বিশ্বাসকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করছে । আজ থেকে ১৪’শ বছর আগে যে সময় সার্জারি এর কথা মানুষ কল্পনাতেও চিন্তা করতে পারত না, সেই সময় একজন মরু চারী রাখাল মাতৃগর্ভে শিশু-সন্তান ভেড়ে ওটার যে নির্ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তা আজ প্রমাণিত ।
এই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী লেখা “ সুপার ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন ”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



