ওয়ার্ল্ড এন্টি-ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় ভায়াগ্রা সংযুক্ত করার বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করছে। বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সিলডেনাফিল (ভায়াগ্র) খেলোয়াড়দের নৈপুণ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে লন্ডন ও বেইজিংয়ের মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, ওয়াডা অত্যন্ত গভীরভাবে ভায়াগ্রার ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি আরো বলেন, ওয়াডার একটি গবেষকদল ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা করছে। এচাড়া সেবনের পর এর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া নিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিশ্বে সাধারণত যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ হিসেবে ভায়াগ্রা সেবন করা হয়। তবে ওয়াডার মতে উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ বলেই এটি মানব হরমোনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে যা একজন অ্যাথলেট নানানভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ওয়াডা জানিয়েছে, পরীক্ষ সম্পূর্ণ করতে এবং এর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করতে আরো এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে। ফলে এ বছর বেইজিং অলিম্পিকে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ করতে পারছে না ওয়াডা। তবে প্রতিষ্ঠানটি আশা ব্যাক্ত করে জানিয়েছে, ২০১০ সালৈর শেষভাগে বার্ষিক প্রতিবেদনে তারা এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সক্ষম হবে এবং ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের আগেই নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় থাকবে ভায়াগ্রা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




